ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল ডাকঘর বাস্তবায়নের লক্ষ্য অর্জনে কোন ধরনের অবহেলা বরদাশত করা হবে না।
তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা বাস্তবায়নে বিদ্যমান ডাকঘরকে ডিজিটাল ডাকঘরে রূপান্তরের মাধ্যমে দেশের আধুনিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে ডাক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এবং কর্মচারিদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
মোস্তাফা জব্বার মঙ্গলবার রাতে রাজধানীতে বিজয় দিবস উপলক্ষে ডাক বিভাগীয় কর্মচারি ইউনিয়নের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহবান জানান।
একাত্তরের বিজয় বাঙালি জাতির অর্জনের প্রতীক একথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ অর্জনের ৪৯ বছরের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ কোথায় দাঁড়িয়ে তা পৃথিবী অবাক বিস্ময়ে দেখছে।
তিনি বলেন, আগামী ২০৩০ বা ২০৪১ সালে বাংলাদেশের অগ্রগতি কোথায় পৌঁছুবে সেই রূপকল্পও প্রণীত হয়েছে। এটা মহান বিজয়ের পর বাঙালির বড় অর্জন।
এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জানান, পাকিস্তানের মানুষ আগামী দশবছরে পাকিস্তানের উন্নয়ন বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থানে পৌঁছানোর স্বপ্ন নিয়ে এগুনোর জন্য তাদের সরকারকে পরামর্শ দিচ্ছেন। আগামী দশবছরে বাংলাদেশ কোথায় পৌঁছুবে সেটাও তারা জানে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর ২৪ বছরের সংগ্রামের ফসল। ‘বঙ্গবন্ধু লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করেছেন। কিন্তু লাহোর প্রস্তাবকে পাশ কাটিয়ে ৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান যে বাঙালির জন্য নয়, সেটা পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে বঙ্গবন্ধু উপলব্ধি করেছিলেন।’
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর ২৪ বছরের আন্দোলন সংগ্রামের পথপরিক্রমায় অর্জিত বিজয় ছিনিয়ে নিতে এদেশে পনেরো আগস্ট ঘটানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য ২১ বার চেষ্টা করা হয়েছে। এখনো ষড়যন্ত্র থেমে নেই। এখনো বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের ওপর আঘাত হয়। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষের হৃদয়ে গাঁথা। তাকে বাঙালির হৃদয় থেকে কখনো মুছা যাবে না।
ডাক কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি মুসলেম হালদারের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: সিরাজ উদ্দিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের যুগ্ম-সচিব জেহসান ইসলাম, ডাক অধিদপ্তরের অতিরিক্তি মহাপরিচালক মো: হারুনুর রশিদ, ডাক কর্মচারি ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান ভূইয়া প্রমুখ বক্তৃতা করেন।