×
ব্রেকিং নিউজ :
হবিগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনে তরুণ নেতৃত্ব অপরিহার্য : রাশেদ খাঁন ইলিশ সংরক্ষণে চাঁদপুরে কোস্ট গার্ডের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বগুড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব পটুয়াখালীতে এনসিপির কার্যালয় উদ্বোধন দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন উৎসবে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের
  • প্রকাশিত : ২০২১-০৮-৩১
  • ৬৯৯ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

 চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২০৬ জনের নমুনায় জীবাণুর উপস্থিতি শনাক্ত হয়। সংক্রমণের হার ১৩ দশমিক ০১ শতাংশ। এ সময় করোনায় আক্রান্ত ৫০৬ জন আরোগ্যলাভ করেন এবং ২ রোগীর মৃত্যু হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে এসব তথ্য জানা যায়।
এতে দেখা যায়, নগরীর আটটি, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৫৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ২০৬ জন পজিটিভ পাওয়া যায়। এর মধ্যে শহরের ১২১ জন ও ১১ উপজেলার ৮৫ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ হাটহাজারীতে ১৬, লোহাগাড়ায় ১২, রাউজানে ১১, সীতাকু-ে ১০, ফটিকছড়ি ও রাঙ্গুনিয়ায় ৯ জন করে, মিরসরাই ও সাতকানিয়ায় ৭ জন করে, বোয়ালখালীতে ২ জন এবং আনোয়ারা ও সন্দ্বীপে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৯৯ হাজার ৩৪১ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৭২ হাজার ২২৮ জন ও গ্রামের ২৭ হাজার ১১৩ জন।
গতকাল করোনায় আক্রান্ত গ্রামের দুই জন মারা যান। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ২২৭ জন হয়েছে। এতে শহরের ৬৮৮ জন ও গ্রামের ৫৩৯ জন। করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন নতুন ৫০৬ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৭১ হাজার ৪৬৪ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৯ হাজার ৭৯৯ জন এবং বাসায় থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৬১ হাজার ৬৬৫ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৩০ জন এবং ছাড়পত্র নেন ৩৮৩ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ২ হাজার ৪২৯ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে। এখানে ৫৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহর ও গ্রামের ৪৩ জন করে জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২০৪ টি নমুনার মধ্যে শহরের ১২ ও গ্রামের ১৪টিতে করোনার জীবাণুর উপস্থিতি মিলে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৭৪ জনের নমুনার মধ্যে গ্রামের ৩ জনসহ ১৭ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১২৭টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৬ ও গ্রামের ২০টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। 
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৩১৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে গ্রামের ২টিসহ ১৪টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৭২টি নমুনার মধ্যে গ্রামের ১টিসহ ৫টি, মা ও শিশু হাসপাতালে ৪৪টি নমুনায় শহরের ৭ ও গ্রামের ২ টি, মেডিকেল সেন্টারে ১১ নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৫টি এবং এপিক হেলথ কেয়ার হাসপাতালে ৬৫টি নমুনায় শহরের ১৮টিতে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এদিন চট্টগ্রামের ৭ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবগুলোরই ফলাফল নেগেটিভ  আসে। 
নগরীর বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ গতকাল নমুনা পরীক্ষা না করার পাশাপাশি শহর ও গ্রামের কোনো বুথেই এন্টিজেন টেস্ট করা হয়নি। 
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ১৫ দশমিক ২২, সিভাসু’তে ১২ দশমিক ৭৪, চমেকে ৯ দশমিক ৭৭, চবিতে ২০ দশমিক ৪৭, শেভরনে ৪ দশমিক ৪৬, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৬ দশমিক ৯৪, মা ও শিশু হাসপাতালে ২০ দশমিক ৪৫, মেডিকেল সেন্টারে ৪৫ দশমিক ৪৫, এপিক হেলথ কেয়ারে ২৭ দশমিক ৬৯ এবং কক্সবাজার মেডিকেলে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat