×
ব্রেকিং নিউজ :
জয়পুরহাটে চাঞ্চল্যকর আব্দুর রহমান হত্যা মামলায় ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ২১২ প্রাণির ভ্যাক্সিনেশন প্রয়োগ ভোলায় ৭ হাজার ৭২৫ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী ‘প্রতিরোধ যোদ্ধাদের’ স্বীকৃতি দিতে উচ্চপর্যায়ের কমিটি হাইকোর্টের পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়সমুহ পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে : পরিবেশমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানালেন গণপূর্ত মন্ত্রী বরেণ্য ব্যক্তিদের জন্মভিটা সংস্কার করে পর্যটকদের জন্য আকর্ষনীয় করা হবে : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশে গ্রিন এনার্জিতে বিনিয়োগ ও দক্ষকর্মী নেওয়ার প্রস্তাব অস্ট্রিয়ার আর অস্ত্র নয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ হোক মানুষের কল্যাণে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সম্পর্কে মিথ্যাচারের অভিযোগে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিবের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা
  • প্রকাশিত : ২০২১-১১-০৪
  • ৭৩৪ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

জেলা পরিষদকে আরো শক্তিশালী ও কার্যকর করতে আইন সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি আজ রাজধানীর একটি হোটেলে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও ইউএনডিপি’র উদ্যোগে আয়োজিত ‘এসডিজি অর্জনে জেলা পরিষদকে শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক এক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান।
উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ আইনকেও যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে জেলা পরিষদ আইন সংশোধনের কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে, যা মন্ত্রী পরিষদ সভায় উত্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছে।
তিনি বলেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের যৌক্তিক কোনো মতামত ও পরামর্শ থাকে তাহলে সেগুলোকেও আমলে নিয়ে সংশোধন করে আইনকে যুগোপযোগী করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, কয়েকটি জেলায় ১৩ থেকে ১৬টি উপজেলা রয়েছে। আবার কোনো জেলায় ৩টি অথবা ৫ থেকে ১০টি  উপজেলা রয়েছে। কিন্তু সকল জেলা পরিষদ সদস্য সংখ্যা ২০ জন। অন্যদিকে, প্রত্যেক জেলা আর্থিকভাবে সমান নয়। 
তিনি বলেন, তাই সংশোধিত আইনে প্রতিটি উপজেলা থেকে একজন করে সদস্য এবং তিনটি উপজেলা থেকে একজন নারী সদস্য নিয়ে জেলা পরিষদ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পৌরসভা থেকেও মেয়র বা তার প্রতিনিধি পরিষদে সদস্য থাকবেন।
দেশের উন্নয়নে জেলা পরিষদকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানই একদিনে শক্তিশালী হয় না। কাঙ্খিত লক্ষ্যেও পৌঁছাতে পারে না।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ দেশের উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সমৃদ্ধ বাংলা গড়তে হলে একটি পরিকল্পিত দেশ দরকার। তাই শহর-নগর, গ্রাম-গঞ্জ সকল জায়গাতেই পরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে। এক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিরা সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
পরিকল্পনাবিদ নিয়োগসহ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের বিভিন্ন দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, একটি প্রতিষ্ঠান তখনই মর্যাদাশীল হয় যখন তার স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা থাকে। জেলা পরিষদেও তা নিশ্চিত করতে হবে।
বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশে সম্প্রীতির বন্ধন অত্যন্ত শক্তিশালী বলে উল্লেখ করে তাজুল বলেন, দেশে দীর্ঘদিন ধরে সকল ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে বসবাস করছে। আর অসাম্প্রদায়িক চেতনার ভিত্তিতেই দেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে। 
তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি এই সম্প্রীতির বন্ধনে আঘাত করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। তাদের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে দেশের উন্নয়ন কেউ ঠেকাতে পারবে না।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি এবং সুইজারল্যান্ডের অ্যাম্বাসেডর নাথালিয়া চুয়ার্ড।
এছাড়াও সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat