×
ব্রেকিং নিউজ :
হবিগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনে তরুণ নেতৃত্ব অপরিহার্য : রাশেদ খাঁন ইলিশ সংরক্ষণে চাঁদপুরে কোস্ট গার্ডের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বগুড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব পটুয়াখালীতে এনসিপির কার্যালয় উদ্বোধন দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন উৎসবে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৩-২৭
  • ৫৯৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

বরিশালের মুলাদী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মনির হোসেন রাঢ়ী হত্যা মামলায় আসামি রাসেল রাঢ়ীর সাজা পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি মো. জাকির হোসেন সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এই রায় দেন।
আদালতে আসামি পক্ষে ছিলেন এডভোকেট এসএম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত। রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন লিগ্যাল এইডের প্যানেল আইনজীবী ব্যারিস্টার রিমি নাহরিন।
রায়ের পর ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত বলেন, এই মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের শুনানি শেষে আদালত আজ রায় ঘোষণা করেছেন। রায়ে আদালত জেল আপিল আংশিক মঞ্জুর করে আসামি রাসেল রাঢ়ীকে মৃত্যুদন্ড থেকে সাজা পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন। একইসঙ্গে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছেন। মামলার আরেক আসামি রাসেলের বাবা আলাউদ্দিন রাঢ়ী কারাগারে মারা যাওয়ায় তার নাম আপিল শুনানি থেকে বাদ যায়।
এ মামলায় ২০১৬ সালে বরিশালের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সুদীপ্ত দাশ দুই আসামিকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে রায় দেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আলাউদ্দিন রাঢ়ী ও রাসেল রাঢ়ী। তারা সম্পর্কে বাবা ও ছেলে।
দন্ডপ্রাপ্ত আলাউদ্দিন রাঢ়ী নিহত সাংবাদিক মনির রাঢ়ীর চাচাতো ভাই। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আলাউদ্দিনের ছেলে সোহাগ রাঢ়ীকে খালাস দেন আদালত। দন্ডপ্রাপ্তরা মুলাদী পৌর এলাকার বাসিন্দা।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর মুলাদী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দলিল উদ্দিন ও আনোয়ার হোসেনের বাড়ির চলাচলের পথ বন্ধ করতে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করছিলেন আলাউদ্দিন রাঢ়ী ও তার ছেলেরা। এ সময় প্রতিবেশীরা চলাচলের পথ বন্ধ করার বিষয়টি সাংবাদিক মনির রাঢ়ীকে জানান। মনির প্রতিবেশীদের চলাচলের পথে প্রাচীর নির্মাণ না করতে আলাউদ্দিনকে অনুরোধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আলাউদ্দিন ও তার সন্তানেরা মনিরের সঙ্গে বাগবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন এবং একপর্যায়ে আলাউদ্দিনের নির্দেশে রাসেল মনিরের মাথায় কোদাল দিয়ে কোপ দেন। চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
মনিরের ভাই জসিম উদ্দিন মুলাদী থানায় আলাউদ্দিন, তার দুই ছেলে, স্ত্রী আলেয়া বেগম ও প্রতিবেশী মোতালেব রাঢ়ীকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন।
২০১১ সালের ১৭ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কায়কোবাদ ওই পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দেন।
২০১৪ সালের ২ জুলাই মামলার এক আসামি মোতালেব রাঢ়ী মারা যান।
২০১৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আলেয়া বেগমকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয় আদালত। এরপর আলাউদ্দিন এবং তার দুই ছেলে সোহাগ রাঢ়ী ও রাসেল রাঢ়ীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ গঠন করে আদালত।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat