সিলেটে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে যাকাত বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
সিলেটে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে যাকাত বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে সিলেট জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেট কার্যালয় ‘দারিদ্র্য বিমোচনে যাকাতের ভূমিকা’ শীর্ষক এ সেমিনার সেমিনারের আয়োজন করে।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাবিনা আলম বলেছেন, সরকারি যাকাত ফান্ডের অর্থ যথাযথ পদ্ধতিতে ইসলামি শরিয়া মোতাবেক ব্যয় করা হয়। প্রতিবছর অসহায় দুস্থদের কর্মসংস্থান, শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রম, শিক্ষাবৃত্তি, প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসন, দুস্থ মহিলাদের সেলাই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমসহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজে এ অর্থ ব্যয় করা হয়।
অতিরিক্ত সচিব সাবিনা আলম আরও বলেন, সরকারি যাকাত ফান্ড যত শক্তিশালী হবে, দারিদ্র্য নিরসন তত সহজ হবে। যাকাত ব্যবস্থাপনাকে সুন্দর করে তুলতে বর্তমান সরকার যাকাত তহবিল ব্যবস্থাপনা আইন করেছে। সেরা যাকাতদাতাকে নির্বাচন করে পুরস্কৃত করা হবে। দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গঠনে যাকাত বোর্ড ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, যাকাত ব্যবস্থা সহজ করতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে অনলাইন ব্যবস্থা চালু করতে হবে। মাঠপর্যায়ে সকলেই আন্তরিকভাবে কাজ করলে যাকাত আদায়ের লক্ষ্য পূরণ হবে।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ জাকারিয়া ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন ঢাকার পরিচালক আনিসুর রহমান সরকার। সৈয়দ ফখরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেটের পরিচালক মো. মহিউদ্দিন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের উপ-পরিচালক মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের করের পাশাপাশি সরকারিভাবে যাকাত দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
সরকারের কোষাগারে কর প্রদানকারী ব্যক্তিকে আবার যাকাত দিতে হবে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, উত্তরে ১৯৮২ সালে আইন মন্ত্রণালয়ের গেজেটে বলা হয়েছে, যে পরিমাণ সম্পদের উপর যাকাত দেওয়া হবে, সে পরিমাণ সম্পদ আয়করের হিসেব থেকে ছাড় দেওয়া হবে।