×
ব্রেকিং নিউজ :
ভাষা সংগ্রামী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আবুল মাল আবদুল মুহিত বাংলাদেশের ইতিহাসের উজ্জ্বলতম অংশ : প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সাথে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে চায় তুরস্ক ঝালকাঠিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২৬৫ জন নারীকে ল্যাপটপ প্রদান গোপালগঞ্জে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস উদযাপন মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতময় পরিস্থিতি দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে : প্রধানমন্ত্রী বিএনপির নির্বাচন বর্জনের রাজনীতি আত্মহননমূলক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাঙ্গালির আত্মপরিচয় বিকাশের মূলেই রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধুর নিবিড় সম্পর্ক : স্পিকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যুক্তরাজ্যের সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা : রুমানা আলী এমপি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনাদর্শ শোষণ-বঞ্চনামুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণে অনুপ্রেরণা যোগায় : ভূমিমন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০১৮-০৪-১৮
  • ১০৬২ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিনিধি:- দুই বাসের চাপায় হাত হারানোর পর মারা যাওয়া কলেজ ছাত্র রাজীব হোসেনের অসহায় দুই ভাইয়ের দায়িত্ব নিতে চান চলচ্চিত্র পরিচালক ও অভিনেতা অনন্ত জলিল। ওমরা পালনরত অনন্ত জলিল মঙ্গলবার তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এই আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। ফেসবুকে অনন্ত জলিল লিখেছেন: ‘বন্ধুগণ, আসসালামু আলাইকুম। আজকের দিনে আল্লাহ তায়াল তার সুন্দর ধরণী আর সুন্দর সুন্দর সৃষ্টির মাঝে আমাকে পাঠিয়েছেন, আজ আমার জন্মদিন, তাই শুকুর আলহামদুলিল্লাহ্। রাব্বুল আলআমিনের নিকট আমি কৃতজ্ঞ, এ কারণে যে এমন আনন্দের দিনে তিনি আমাকে স্বপরিবারে মক্কায় অবস্থান করার সুযোগ করে দিয়েছেন। তবে মন খারাপ আরেক কারণে, সকালে দেশের অধিক জনপ্রিয় দৈনিক খবরের কাগজ প্রথম আলোর একটি সংবাদ দেখে। কিছু দিন আগে বাস দুর্ঘটনায় রাজীব নামে একজন মেধাবী শিক্ষার্থী তার হাত হারিয়ে ছিলেন। এবং আজ তিনি পৃথিবী হতে বিদায় নিয়েছেন। যা আমাকে বেশ মর্মাহত করেছে। বাবা-মা হারা এই সন্তান তার ছোট দুই ভাইকে পিতা-মাতার স্নেহ দিয়ে আগলে রেখেছিল। কিন্তু রাজীবের অকাল বিদায়ে তার দুই ছোট ভাইয়ের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়েছে। তাই আমার জন্মদিনে আমি চাচ্ছি যে পরিবারহারা এই দুই সন্তানের পড়ালেখার দায়িত্ব নিতে। আশা করি জনপ্রিয় দৈনিক আলোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আমাকে রাজীবের দুই ভাইয়ের দায়িত্ব নিতে এবং তাদের খোজঁ পেতে সবাত্মক সহযোগিতা করে তাদের ভবিষ্যৎ সুন্দর জীবন-যাপনের জন্য সাহায্য করবেন। খোদা হাফেজ।’ গত ৩ এপ্রিল রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারার কাছে বিআরটিসির একটি দ্বিতল বাসের পেছনের ফটকে দাঁড়িয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রাজীব। বাসটি হোটেল সোনারগাঁওয়ের বিপরীতে পান্থকুঞ্জ পার্কের সামনে পৌঁছলে হঠাৎ পেছন থেকে স্বজন পরিবহনের একটি বাস বিআরটিসির বাসটিকে গা ঘেঁষে অতিক্রম করতে থাকে। এ সময় দুই বাসের চাপে গাড়ির পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা রাজীবের ডান হাত কনুইয়ের ওপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। দু-তিনজন পথচারী দ্রুত তাকে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকেরা চেষ্টা করেও বিচ্ছিন্ন সে হাতটি রাজীবের শরীরে আর জুড়ে দিতে পারেননি। পরে তাকে ঢামেকের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সাম‌য়িক উন্নতির পর গত সোমবার থে‌কে তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এরপর আর জ্ঞান ফেরে‌নি তার। সোমবার রাত রাজীব চলে যান না ফেরার দেশে। পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামের রাজীব তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় মা এবং অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় বাবাকে হারান রাজীব। ঢাকার মতিঝিলে খালার বাসায় থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন স্নাতকে। তার ছোট দুই ভাই আছে, যাদেরকে দেখাশোনা করতেন রাজীব। তারা রাজধানীর একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat