সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালেকের বিরুদ্ধে ভিজিএফ এর ৩৪ বস্তা চাউল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ঈদুল আজহার ঈদ উপলক্ষে উপজেলার উল্লাপাড়া সদর ইউনিয়নে চাল বরাদ্দ আসে ১৪৩০ জনের নামে ১৪.৩০ টন চাউল।গত ২২ জুন শনিবার নির্ধারিত কার্ডের অনুকুলে বিতরন শেষে ৩৪ বস্তা চাউল বেঁচে যায়।এতে উপজেলা প্রসাশন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায় কর্মকর্তা, ট্যাগ অফিসার ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালেক বিপাকে পড়ে যায়।
সচেতন মহলের ধারণা চেয়ারম্যান আব্দুস সালেক সুকৌশলে দুস্থ্য ও অসহায়দের ভিজিএফ কার্ডনা দিয়ে নিজের কাছেই রেখে দেয়। সে কারণে বিতরন শেষে ৩৪ বস্তা চাউল বেঁচে যায়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায় কর্মকর্তা ও ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে বেচে যাওয়া অবশিষ্ট ৩৪ বস্তা জব্দকৃত চাউল ইউনিয়নের গোডাউনেই রেখে দেয়। ২৭ জুন বেচে যাওয়া ৩৪ বস্তা অবশিষ্ট চাউল পিআইও এবং ট্যাগ অফিসারের অনুমতি ছাড়াই কৌশলে চেয়ারম্যান আব্দুস সালেক ঐ চাউলগুলো বিক্রি করে দেয়।
এ বিষয়ে ট্যাগ অফিসার আব্দুল আওয়ালের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, ভিজিএফ এর চাউল বিক্রির বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। তবে শুনেছি চেয়ারম্যান চাউল বিক্রি করেছে যেটা চেয়ারম্যান কোনো ভাবেই বিক্রি করতে পারে না।এ বিষয়ে সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালেকের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বিষয়টাতে এড়িয়ে যায় এবং সামনা সামনি কথা বলবে বলে জানায়।এ বিষয়ে উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদকে বার বার ফোন দিলেও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. উজ্জল হোসেন জানান, ভিজিএফ এর চাউল অবশ্যই তালিকাভুক্ত সাধারন মানুষের মধ্যে বিতরণ করার কথা। তবে জব্দ করা চাউল পিআইও কি উদ্দেশ্যে জব্দ করেছে বা কোথায় গিয়েছে সে চাউল কি করা হয়েছে সেটা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।