×
ব্রেকিং নিউজ :
ভৌগোলিক কারণে সিঙ্গাপুরের জন্য চট্টগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ : হাই কমিশনার কৃষকবান্ধব রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে: গণপূর্তমন্ত্রী জাতির পিতার সমাধিতে বিজিএমইএ’র নবনির্বাচিত কমিটির শ্রদ্ধা আগামী দুই মাসের মধ্যে ভাঙ্গা-খুলনা-যশোর পর্যন্ত ট্রেন চালু হবে :রেলপথ মন্ত্রী আগামীকাল থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে গণতান্ত্রিক বিষয়কে বিএনপি ফাঁদ মনে করে : ওবায়দুল কাদের বিডিইউতে জিএসটি গুচ্ছভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত পরিবেশ সাংবাদিকতা সুরক্ষায় প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেয়া হবে : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী টেনিস খেলাকে জনপ্রিয় করতে কাজ করা হচ্ছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী কাপ্তাই লেকের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০৮-০৩
  • ৬৭৫১১৮ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
ঝালকাঠি জেলা সদর উপজেলার ছত্রকান্দায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭ জনের প্রাণহানির ঘটনায় তিনটি কারণ শনাক্ত করেছে জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি। পাশাপাশি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বেশ কয়েকটি সুপারিশও করেছে কমিটি।
বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মামুন শিবলী।
তদন্ত কমিটির প্রধান জানান, দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির জন্য প্রথমত বাসটির চালকের খামখেয়ালিপনা, দ্বিতীয়ত চালকের অপেশাদারী আচরণ এবং তৃতীয়ত বিধি ভেঙে সড়কের পাশে বড় পুকুর খনন করা হয়েছিল।
দুর্ঘটনা কবলিত বাস বাশার স্মৃতির ফিটনেস থাকলেও চালক মোহন খানের ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল হালকা গাড়ি চালানোর। কিন্তু তিনি বাসের মতো একটি ভারি যানবাহন চালাচ্ছিলেন দীর্ঘদন ধরেই। তদন্তে প্রতীয়মান হয়েছে সড়কের পাশের বড় ও গভীর পুকুরটি মৃত্যুকূপ হিসেবে রূপ নিয়েছে। ঝালকাঠি থেকে পিরোজপুর বা মঠবাড়িয়া, পাথরঘাটা সড়কটি অত্যন্ত পুরাতন। এই সড়ক প্রশস্ত না করায় জমির ব্যক্তি মালিকানারা সেখানে পুকুর খনন করে মাছ চাষ করেছে। সড়কটির দুই পাশে যদি মহাসড়কের মতই ১০/১২ ফুট জমি অধিগ্রহণ করা থাকতো তাহলে দুর্ঘটনা ঘটলেও এতো প্রাণহানি হতো না।
তদন্ত কমিটির প্রধান মোহাম্মদ শিবলী মামুন বলেন, বাস মালিক পক্ষের উচিত কার হাতে গাড়ি দিচ্ছেন তার যথাযথ মনিটরিং করা। তদন্তকারী আরও দুটি সংস্থার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে প্রকৃতপক্ষে চালক  মোহন খানের খামখেয়ালীপনায় দুর্ঘটনা ও ১৭ জনের প্রাণহানি হয়। দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ার আগ মুহূর্তে বাসের চালক তার সিটে বসে অতিরিক্ত যাত্রী তোলা নিয়ে তর্ক করছিলেন আর মোবাইল চালাচ্ছিলেন বলেও তদন্তে উঠে আসে। এছাড়া বাস মালিক সমিতি ও মালিক পক্ষ আয় বাড়ানোর ওপর জোর দিলেও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়, পরিবহন চলাচলে নির্দেশনা মেনে চলতে গড়িমসির কথা উঠে এসেছে। এসব প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে, সম্প্রতি সড়কে গাড়ির চাপ বাড়লেও সে অনুপাতে সড়ক প্রশস্ত না করার প্রসঙ্গ।
উদ্ধারকারী সংস্থা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স ঝালকাঠির উপ-পরিচলক ফিরোজ কুতুবী বলেন, আমাদের তদন্ত কাজ প্রায় শেষ। এখন প্রতিবেদন সম্পন্ন করে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তদন্তে দুর্ঘটনার কারণ আর প্রতিবন্ধকতা সব বিষয় উঠে এসেছে।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম বলেন, প্রতিবেদন পেয়েছি, সুপারিশ অনুসারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রতিবেদন সম্পর্কে বাস মালিক ও শ্রমিকদের জানানো হবে।
এদিকে ঝালকাঠি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, দুর্ঘটনায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের হয়েছে। এরমধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি একজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। উল্লেখ্য, গত ২২ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে বরিশাল যাওয়ার উদ্দেশ্যে বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ছত্রকান্দা নামক স্থানে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের একটি পুকুরে পড়ে যায়। এ দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত হন। আহত হন ৩৫ জন। বাসটিতে যাত্রী ছিল ৬০ জনেরও বেশি বলে যাত্রী।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat