×
ব্রেকিং নিউজ :
ত্যাগের মহিমায় স্বামী বিবেকানন্দ মানবসেবা করে গেছেন : মেয়র তাপস ভোলায় মহান মে দিবস পালন রাঙ্গামাটিতে দুই দিনব্যাপী ন্যাশনাল ইয়ুথ লিডারশীপ ট্রেনিং ক্যাম্পের উদ্বোধন চুয়াডাঙ্গায় আজ দুপুরে ৪০.৭ ডিগ্রিতাপমাত্রা রেকর্ড গাজা যুদ্ধে আরো ৩৩ জনের মৃত্যু : নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৫৬৮ মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার জাতির পিতার সমাধিতে রাজউক চেয়ারম্যানের শ্রদ্ধা সিলেটের আদালত পাড়ায় ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে : স্পিকার শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগের জন্ম : শেখ পরশ
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০১-১১
  • ৪৫৪৮৬২ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত স্বপ্ন ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নের নতুন শপথ গ্রহণের মাধ্যমে ওয়াশিংটন ডিসিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস বুধবার যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ পালিত হয়েছে। আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে দীর্ঘ  ৯ মাস ১৪ দিন বন্দী থাকার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি লন্ডন ও নয়াদিল্লি হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন।  
এই ঐতিহাসিক দিনটি উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে সকালে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান কর্তৃক বঙ্গবন্ধু কর্নারে অবস্থিত জাতির পিতার আবক্ষ ভাস্কর্যে পুস্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময়ে দূতাবাসের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।     
এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত  বাণী পাঠ করে শোনান মিনিস্টার (প্রেস) এজেডএম সাজ্জাদ হোসেন ও কাউন্সেলর (পলিটিক্যাল) আরিফা রহমান রুমা।
পরে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস এবং তার সংগ্রামী জীবনের উপর নির্মিত দুইটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। পরবর্তীতে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।  
আলোচনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বাঙালি জাতির বহুল প্রতীক্ষিত স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ সংগ্রাম ও মহান আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করেন।    
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে আনে। কিন্তু ঐতিহাসিক এই দিনে মহান নেতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে জাতি মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের আনন্দের পূর্ণতা লাভ করে।  
রাষ্ট্রদূত ইমরান উল্লেখ করেন জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার অভিযাত্রায় অসামান্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ‘সোনার বাংলা’ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে সবাইকে একসাথে কাজ করার অনুরোধ জানান।
মিনিস্টার (কন্স্যুলার) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান আলোচনায় অংশ নেন এবং বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি একই সাথে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে জাতির পিতার অবিস্মরণীয় ভূমিকার কথা বর্ণনা করেন।  
বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং জাতির অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচীর সমাপ্ত হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি আতাউর রহমান।  

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat