×
ব্রেকিং নিউজ :
উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি সম্ভাবনাকেও হাইলাইট করতে হবে : হুইপ কমল মাদারীপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে একজন নিহত, আহত ১০ রাঙ্গামাটিতে মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন ও অসহায়দের মাঝে বস্ত্র বিতরণ জয়পুরহাটের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির আশায় নামাজ আদায় সরকার দুর্যোগ মোকাবেলায় যুগোপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছে : অর্থ প্রতিমন্ত্রী সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর : শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে : রাষ্ট্রপতি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে যদি প্রবাহ না থাকে, তাহলে সভ্যতা টিকতে পারে না : গণপূর্তমন্ত্রী ক্ষমতার জন্য বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে : ওবায়দুল কাদের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ : সিলেটে ইসি আনিছুর রহমান
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০১-২০
  • ৬৭৭৬৬২৮ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, আমাদের সন্তানদেরকে শুধুমাত্র ফলাফল দিয়ে যাতে মূল্যায়ন না করি। তাদের নানা ধরণের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা নেয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। উন্নত বিশে^ দেখবেন, যতবড় পরিবারেরই হোক না কেন ১৮/১৯ বছরের বয়সের সন্তানদের মাঠে-ঘাটে এবং দোকানে কাজ করার ক্ষেত্রেও উৎসাহিত করেন অভিভাবকরা। আমাদের মধ্যেও এই মানসিকতা আসতে হবে। আমাদের বিশ^বিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত হবে তা ঠিক নয়, তাদের কর্মমুখী দতক্ষতাগুলোও অর্জন করতে হবে।
তিনি বলেন, গত পাঁচবছরে শিক্ষার অনেকগুলো গুণগত পরিবর্তন এসেছে। সেগুলোর ফল আমরা আগামীতে দেখব। শিক্ষা ব্যবস্থায় একটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ফলগুলো দৃশ্যমান হয় দেরিতে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আজকে আমাদেরকে অনেক পেছন থেকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।     
শনিবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, আমাদের এই প্রজন্মকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার অনেক স্বপ্ন। এই প্রজন্মকে উন্নত বিশে^র আদলে শিক্ষিত ও প্রশিক্ষিত করা এবং তাদেরকে কর্মমুখী করাটা আমাদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের শিক্ষার্থীরা আইসিটিতে এখন অনেক কোর্স করতে পারে।
বর্তমান শিক্ষা পদ্ধতির জনপ্রিয়তা ও অজনপ্রিয়তার বিতর্কে যেতে চান না জানিয়ে তিনি বলেন, যেহেতু প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব দিয়েছেন আমাদেরকে অজনপ্রিয় কাজও যদি সঠিক হয়, শিক্ষাবিদ-বিশেষজ্ঞগণ সবাই মিলে যেটা নির্দিষ্ট করেছেন, সেটার দায়িত্বটা আমাদের নিতে হবে। আসলে আমরা রাজনৈতিক নেতৃত্ব সেই কাজের জন্যই এসেছি। রাজনৈতিক নেতৃত্বের শুধু জনপ্রিয়তা খুঁজলে চলবে না, অজনপ্রিয় হলেও সঠিক সিদ্ধান্তের জায়গায় আমাদেরকে স্থির থাকতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সব শিক্ষার্থীকে বায়োলজি, এনাটমি পড়ানোর প্রয়োজন নেই, বর্তমান প্রসেসটা হচ্ছে সেটাই, যেই শিক্ষার্থী ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেডিকেলে যাবে তাকে সেই নির্দিষ্ট পর্যায়ে গিয়ে আমি সেটা পড়াব। সেজন্য আমরা ইন্টারমিডিয়েট পর্যায়ে স্পেশালিস্ট স্ট্রিমটুকু রাখছি। সকলের জন্য নির্ধারিত মানদ-ের বিজ্ঞান ও সমাজ বিজ্ঞান, ভাষাজ্ঞান, গণিতের ওপর একটা বয়সসীমা পর্যন্ত থাকতে হবে, সেইভাবেই স্ট্রাকচার করা।
তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার মান কমে যাচ্ছে কিনা, সেই চিন্তার কোন কারণ নেই। আমাদের এসএসসি এবং এইচএসসি পাশ করার পরও তো  বিশ^বিদ্যালয়গুলো তাদের ভর্তি পরীক্ষা নিয়েছে। অর্থাৎ বোর্ডের রেজাল্টের ওপর তার শতভাগ আস্থা নেই। সুতরাং আমরা কিন্তু সেখানে বিশ^বিদ্যালয়গুলোর ওপর কাজ করছি। স্পেশালিস্ট স্ট্রিমে যারা যাবে তারা যাতে সেই স্ট্রিমগুলো পছন্দ করতে পারে সেভাবে এলাইন করা হয়েছে।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, একসময় আমরা স্মার্টফোন চালানো জানতাম না। কিন্তু আমাদের মানসিকতাটা ছিল আমরা সেটা পরিচালনা করতে শিখব এবং অনেকে পরিণত বয়সে এসেও স্মার্টফোন চালানোটা শিখেছি। এই যে মানুষের মাঝে নতুন কিছু শেখার দক্ষতা ও মানসিকতা যাতে থাকে সেইভাবে পরিচালিত করতে হয়। আমাদের শিক্ষার্থীদেরও যাতে আমরা সেই পথে পরিচালিত করতে পারি, এজন্য আমাদের রাজনৈতিক একটা সিদ্ধান্ত আছে।
তিনি বলেন,  এখানে আমার কি চাওয়া সেটার চাইতে শিক্ষা পরিবারের মধ্যে আমরা সবাই মিলে কি পারব, সেটিই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি যে মিশনটা নিয়ে আসছি, সেটা হচ্ছে শুধুমাত্র রাজনৈতিক দর্শন। যেহেতু আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী, আমার দল আমাকে সেই দর্শনটা দিয়ে শিক্ষা প্রশাসনে সেটাকে বাস্তবায়নের জন্য পাঠিয়েছে। এবারে আমাদের নির্বাচনী ইশতাহারে যেই দর্শনটা, সেটা হচ্ছে আমরা শিক্ষাটাকে এমনভাবে সাজাতে চাই, শিক্ষার্থীদের এমনভাবে প্রস্তুত করতে চাই, যাতে আমাদের দেশে এবং বিশে^ যে ধরণের কাজ সৃষ্টি হচ্ছে, সেই ধরণের কাজের জন্য দক্ষ করে গড়ে তোলা। যেখানে তারা নতুন দক্ষতা শেখার মানসিকতা রাখে। শিখতে শেখার মানসিকতা সৃষ্টি করতে হবে।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, কলিম সরওয়ার, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী, সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তাক আহমদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি রুবেল খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat