×
ব্রেকিং নিউজ :
হবিগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনে তরুণ নেতৃত্ব অপরিহার্য : রাশেদ খাঁন ইলিশ সংরক্ষণে চাঁদপুরে কোস্ট গার্ডের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বগুড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব পটুয়াখালীতে এনসিপির কার্যালয় উদ্বোধন দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন উৎসবে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের
  • প্রকাশিত : ২০২৪-১০-১১
  • ৩৫৪৩৭১৫ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
নোবেল পুরস্কার কমিটি পুরস্কার ঘোষণার কয়েক মিনিট পর  টেলিফোনে ২০২৪ সালের সাহিত্য বিজয়ী হান কাংয়ের একটি সাক্ষাৎকার নেয়।

এ সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, যখন হান কাং নোবেল পাওয়ার খবরটি পান, তখন তিনি সবে তার ছেলের সাথে সিউলে তার বাড়িতে ডিনার শেষ করেছেন। 

এই সাক্ষাৎকারে তিনি সাহিত্যে প্রথম দক্ষিণ কোরীয় বিজয়ী হওয়ার বিষয়ে এবং কীভাবে লেখকরা তাকে প্রভাবিত করেছেন সে সম্পর্কে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘তাদের সমস্ত প্রচেষ্টা ও শক্তি আমার অনুপ্রেরণা।’

হান কাং তার লেখার প্রক্রিয়া সম্পর্কেও কথা বলেন এবং তার বই পড়া শুরু করতে আগ্রহী এমন কারো জন্য তার সাম্প্রতিক বই উই ডো নট পার্ট (কখনো বিদায় বলো না) পড়ার সুপারিশ করেন।

টেলিফোনে গ্রহণ করা সাক্ষাৎকারটির প্রতিলিপি নিচে দেওয়া হলো। 

হান কাং (এইচকে): হ্যালো?

জেনি রাইডেন (জেআর): হ্যালো, আপনি কি হান কাং?

এইচকে: হ্যাঁ।

জেআর: হাই, আমার নাম জেনি রাইডেন। আমি নোবেল পুরস্কার থেকে ফোন করছি।

এইচকে: হ্যাঁ। আপনার সাথে কথা বলে খুব ভালো লাগলো।

জেআর: আপনার সাথেও কথা বলে খুব ভালো লাগলো। অনুগ্রহ করে প্রথমে আমাকে অভিনন্দন জানাতে দিন।

এইচকে: আপনাকে ধন্যবাদ। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

জেআর: আপনার এখন কেমন লাগছে?

এইচকে: আমি খুব অবাক হয়েছি এবং, এবং একদম। আমি সম্মানিত।

জেআর: আপনি পুরস্কার পাওয়ার কথা কীভাবে জানলেন?

এইচকে: কেউ একজন আমাকে ফোন করেন এবং তিনি এ খবর নিয়ে আমার সাথে কথা বলেন, তো, অবশ্যই আমি অবাক হয়েছি। এবং আমি সবেমাত্র আমার ছেলের সাথে রাতের খাবার শেষ করেছি আর কোরিয়াতে, সন্ধ্যা মাত্র আটটা বাজে। আর হ্যাঁ, এটি একটি খুব শান্তিপূর্ণ সন্ধ্যা। আমি সত্যিই বিস্মিত।

জেআর: তো আপনি সিউলে আপনার বাড়িতে আছেন?

এইচকে: হ্যাঁ, আমি সিউলে বাড়িতে আছি।

জেআর: তো আপনি আজ কী করছেন?

এইচকে: আজ? আমি আজ কাজ করিনি এবং আমি একটু পড়েছি আর হাঁটাহাঁটি করেছি। আজ আমার জন্য এক ধরনের খুব সাদামাটা দিন ছিল।

জেআর: তো আপনি বলেছেন আপনি আপনার ছেলের সাথে আছেন। এই বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া কী ছিল?
এইচকে: আমার ছেলেও অবাক হয়েছে, কিন্তু এই বিষয়ে কথা বলার জন্য আমাদের কাছে অত সময় ছিল না। আমরা অবাক হয়েছি, এই আর কী।

জেআর: আমি ভাবছি। আপনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার অর্থ কী?

এইচকে: হ্যাঁ, আমি সম্মানিত এবং আমি সত্যিই আপনাদের সমর্থন, পুরস্কারের সমর্থনের প্রশংসা করছি। আমি প্রশংসাই করছি।

এইচকে: আপনি দক্ষিণ কোরিয়া থেকে প্রথম সাহিত্য বিজয়ী। কেমন লাগছে?

এইচক: হ্যাঁ। আমি বই নিয়ে বড় হয়েছি, আপনি জানেন, তাই আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন থেকে আমি কোরিয়ান ভাষায় বই নিয়ে বড় হয়েছি এবং পাশাপাশি অনুবাদ করেছি। তাই আমি বলতে পারি যে আমি কোরিয়ান সাহিত্যের সাথে বড় হয়েছি, যা আমি খুব কাছের বোধ করি। তাই আমি আশা করি এই খবরটি কোরিয়ান সাহিত্য পাঠক এবং আমার বন্ধু লেখকদের জন্য দারুণ।

জেআর: আপনি বলেছেন যে আপনি সাহিত্যিপ্রেমী পরিবার থেকে এসেছেন। কোন লেখক আপনার অনুপ্রেরণার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎস?

এইচকে: শৈশব থেকেই লেখকদের ব্যাপারে আমার একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। তাঁরা জীবনের অর্থ অন্বেষণ করেছেন। কখনো কখনো হার মেনেছেন। কখনো কখনো অবিচল থেকেছেন। তাঁদের যাবতীয় প্রচেষ্টা ও শক্তি আমার প্রেরণা। তাই প্রেরণা হিসেবে কয়েকজনের নাম বলাটা আমার জন্য খুবই কঠিন। আসলেই বেশ কঠিন।

জেআর: আমি পড়েছি যে সুইডিশ লেখক, অ্যাস্ট্রিড লিন্ডগ্রেন, আপনার অনুপ্রেরণার একটি উৎস?

এইচকে: হ্যাঁ। আমি যখন ছোট ছিলাম, আমি তার বই, লায়নহার্ট ব্রাদার্স পছন্দ করতাম। এবং আমি সেই বইটি পছন্দ করি, কিন্তু আমি বলতে পারি না যে তিনিই একমাত্র লেখক যিনি আমার শৈশবকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। যখন আমি সেই বইটি পড়ি, লায়নহার্ট ব্রাদার্স, তখন আমি এটিকে মানুষ বা জীবন ও মৃত্যু সম্পর্কে আমার প্রশ্নের সাথে সম্পর্কিত করতে পারি।

এইচকে: যে সবেমাত্র আপনার কাজ সম্পর্কে জানতে পেরেছে, আপনি তাকে কোত্থেকে শুরু করার পরামর্শ দেবেন?
এইচকে: আমার বইয়ের মধ্যে? আমি মনে করি প্রত্যেক লেখকই তার সাম্প্রতিক বই পছন্দ করেন। তো আমার সাম্প্রতিক বইটি হল উই ডো না পার্ট বা এটিকে বলা হয় ‘কখনো বিদায় বলো না’ বা  অসম্ভব দিায়। আমি এই বইটি একটি শুরু হতে পারে বলে আশা করি। আর হিউম্যান অ্যাক্টস এই বইটির সাথে সরাসরি সংযুক্ত আছে ‘কখনো বিদায় বলো না’। আর এরপর ‘সাদা বই’, যা আমার কাছে জন্য খুব ব্যক্তিগত বই। কারণ এটি বেশ আত্মজীবনীমূলক। আর আছে দ্য ভেজিটেরিয়ান (নিরামিষাশী)। কিন্তু আমি মনে করি শুরুটা হতে পারে ‘কখনো বিদায় বলো না’।

জেআর: একজন আন্তর্জাতিক পাঠকের কাছে, সম্ভবত দ্য ভেজিটেরিয়ান সবচেয়ে সুপরিচিত। আপনি কি বলবেন যে বিশেষ উপন্যাসটি আপনার কাছে কী অর্থ বহন করে? 

এইচকে: তো, আমি মনে করি আমি এই নায়কের চিত্র খুঁজে পেতে সংগ্রাম করছিলাম, তার চারপাশে থাকা মানুষ, এবং গাছ ও সূর্যালোকের চিত্র এবং এই তিন বছরে সবকিছু এত প্রাণবন্ত ছিল। 

জেআর: আমি অল্প সময়ের মধ্যে আপনার কাছ থেকে বিদায় নেব। আপনি এই নোবেল পুরস্কার কিভাবে উদযাপন করবেন সে সম্পর্কে আপনার কোন ধারণা আছে? 

এইচকে: এই ফোন কলের পরে আমি চা খেতে চাই - আমি পান করি না - আমি আমার ছেলের সাথে চা খেতে যাচ্ছি এবং আজ রাতে আমি এটি শান্তভাবে উদযাপন করব। 

জেআর: খুব সুন্দর। হ্যাঁ। আবার অনেক অভিনন্দন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

এইচকে: আপনাকে ধন্যবাদ।

জেআর: ঠিক আছে। বিদায়। 

এইচকে: যত্ন নিন। বাই।

সাক্ষাৎকারটি অনুবাদ করেছেন : হারুন আল নাসিফ

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat