×
ব্রেকিং নিউজ :
হবিগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনে তরুণ নেতৃত্ব অপরিহার্য : রাশেদ খাঁন ইলিশ সংরক্ষণে চাঁদপুরে কোস্ট গার্ডের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বগুড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব পটুয়াখালীতে এনসিপির কার্যালয় উদ্বোধন দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন উৎসবে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের
  • প্রকাশিত : ২০২৫-০৪-২৩
  • ২৩৪৩৪৬৪ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। ফাইল ছবি
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, আমরা কল্পনার নয়, বাস্তবসম্মত ঢাকা গড়ে তুলতে চাই। ঢাকার সাথে পাশের জেলাগুলোর কানেক্টিভিটি বৃদ্ধির চেষ্টা করছি।

আজ বুধবার রাজধানীর রাজউক অডিটোরিয়ামে রাজউক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ সব কথা বলেন। 

আদিলুর রহমান খান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর, প্রথম কাজ ছিল বরাদ্দের ক্ষেত্রে কোটা বাতিল করা। আমরা এটা করেছি। আমরা বাস্তবসম্মত উপায়ে ঢাকা গড়ে তুলতে চাই যাতে দেশের অন্য জেলাগুলো থেকে ঢাকায় এসে মানুষ দ্রুত কাজ শেষ করে ফিরে যেতে পারে। 

তিনি বলেন, ঢাকার পাশেই একসময় মধুপুর ভাওয়াল বনাঞ্চল ছিল, নগর তৈরি করতে গিয়ে তা ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। অপরিকল্পিত নগরায়ণ যেন না হয়, সেক্ষেত্রে রাজউকের ভূমিকা আছে। রাজধানীর উন্নয়নে স্থানীয় মানুষের অংশগ্রহণ জরুরি। সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কি কি পরিবর্তন জরুরি, এজন্য সাধারণ মানুষের মতামত জানা প্রয়োজন। এখন রাজউক সেটা করছে।

মতবিনিময় সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: নজরুল ইসলাম এবং রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো: রিয়াজুল ইসলাম অংশ গ্রহণ করেন।

সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে জনবান্ধব ও যুগোপযোগী করতে টাউন ইমপ্রুভমেন্ট অ্যাক্ট ও বিল্ডিং কন্সট্রাকশন অ্যাক্ট নতুন করে প্রণয়ন করতে হবে। অল্প পরিবর্তনে কাজ হবে না। সময় ও বাস্তবতার চাহিদায় প্রয়োজনীয় কিছু রেখে নতুন করে প্রণয়ন করতে হবে। 

তিনি বলেন, রাজউকের বোর্ডে কেবল আমলা থাকলে চলবে না। বোর্ডে শহর পরিকল্পনায় দক্ষ বিশেষজ্ঞ রাখতে হবে। ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করে কাজ করতে হবে। 

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, রেসিডেন্সিয়াল ভবনকে কমার্শিয়াল করার বিষয়ে রাজউক চেয়ারম্যানের ক্ষমতা রহিত হওয়া উচিত। মহাপরিকল্পনার বাইরে না গিয়েই বোর্ড এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা সবাই একসাথে ভালো কাজ করলে রাজউকের সেবার মান আরো বৃদ্ধি পাবে। রাজউকের যেকোনো উন্নয়নে আমার সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে।

রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন,  রাজউকের প্রধান সমস্যা ইমেজ সংকট। রাজউকের কর্মকর্তাদের সততা ও দ্রুততার সাথে সেবা দিতে হবে। রাজউক আর প্লট বরাদ্দ করবে না। রাজউকের যে-সকল জায়গা অবৈধ দখলে আছে, সেসব জমি উদ্ধার করে নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্য বিত্তদের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করবে।

মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন রাজউকের সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) ড. মো. আলম মোস্তফা। রাজউকের সার্বিক কার্যক্রমের উপস্থাপনা করেন প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম। মতবিনিময় সভায় রাজউকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা রাজউকের চলমান কার্যক্রম, কর্মপরিকল্পনা, সমাপ্ত প্রকল্পের এক্সিট প্ল্যান ও কাজের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat