×
ব্রেকিং নিউজ :
খাগড়াছড়িতে পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের ঋণ বিতরণ বরগুনায় স্বেচ্ছাসেবকদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষন পিরোজপুরে বিশ্বকবি ও জাতীয় কবির জন্মবার্ষিক উদযাপনে প্রস্তুতি সভা রাঙ্গামাটিতে বজ্রপাতে দুইজন নিহত নাগরিকতা সিভিক এনগেজমেন্ট ফান্ড (সিইএফ)-এর উদ্বোধন হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হয়েছে খালেদা জিয়াকে শনিবার থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান চলবে উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও গাজা,ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অ্যাকশন প্ল্যান প্রস্তুত করতে হবে : স্পিকার
  • প্রকাশিত : ২০১৭-০৪-০৮
  • ৭৯৭ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
সিজারিয়ান পদ্ধতিতে সন্তান জন্মের হার বাড়ছে
নিজস্ব প্রতিনিধি:- দেশে স্বাভাবিক প্রসবের তুলনায় সিজারিয়ান পদ্ধতিতে সন্তান জন্ম হওয়ার হার আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। জাতীয় পর্যায়ে ২০১৭ সালের ৫ এপ্রিল প্রকাশিত এক জরিপে দেখা গেছে দেশে নরমাল ডেলিভারি ৬২.১ শতাংশ। সিজারিয়ান সেকশন ৩৫.৫ শতাংশ এবং অন্যান্যভাবে ২.৫ শতাংশ। সিজারিয়ান সেকশনের হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জরিপে দেখা গেছে। বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে-২০১৪ (বিডিএইচএস) অনুসারে এ দেশে গত তিন বছরে ২৩ শতাংশ ডেলিভারি হয়েছে সিজারের মাধ্যমে। ওই সার্ভেতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ৩৭ শতাংশ ডেলিভারি হয়ে থাকে হাসপাতালগুলোতে। যার ২২ শতাংশ হয়ে থাকে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে। বিডিএইচএসের তথ্য অনুসারে, ২০০৪ সালে সিজারের মাধ্যমে সন্তান হতো ৪ শতাংশ, ২০০৭-এ হতো ৯ শতাংশ, ২০১১ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৭ শতাংশে। সর্বশেষ ২০১৭ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫.৫ শতাংশে। দিন দিন সিজারিয়ান ডেলিভারির সংখ্যা বেড়ে চলায় নীতিনির্ধারকদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। তারা বলছেন, জীবন রক্ষার জন্যই অনেক সময় সিজার করার প্রয়োজন হয়। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতাল অথবা ক্লিনিকগুলোতে শুধু অর্থের জন্যই স্বাভাবিক ডেলিভারির চেষ্টা না করে সিজার করছেন চিকিৎসকরা। সিজারিয়ান পদ্ধতিতে যে সংখ্যক নবজাতক জন্ম হচ্ছে এর ৩৫ শতাংশই অপ্রয়োজনীয়। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘বেসরকারি ক্লিনিকগুলোর বাণিজ্যিক মানসিকতার কারণেই সিজারের মাধ্যমে শিশু জন্মের হার বাড়ছে। বড় বড় ক্লিনিক ও চিকিৎসকরা প্রসূতিকে চটজলদি সিজারিয়ান করার ব্যাপারে অত্যন্ত উৎসাহ দিয়ে থাকে। এতে দেশে অনেক শিশু আগে জন্ম নেয়। নির্ধারিত সময়ের আগে জন্ম নেয়ায় এসব শিশু বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে অনেক জটিল রোগসহ নানা সমস্যায় ভোগে। সমাজ ও দেশ এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’ মায়েদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সংশ্লিষ্টদের আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিলে হয়তো মায়ের কষ্ট কম হয়, কিন্তু স্বাভাবিকভাবে একটি শিশু জন্ম দেয়ার পরে একজন মায়ের যে আনন্দ হয় তা নিতান্তই প্রাকৃতিক, অনাবিল।’ বিডিএইচএসের এক তথ্যানুযায়ী আরো বলা হয়, দেশে হাসপাতাল বা ক্লিনিকে ১০টির মধ্যে ৬টি শিশুরই জন্ম হচ্ছে সিজারিয়ান পদ্ধতিতে। এক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ অস্ত্রোপচার হচ্ছে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে। সমাজে সবচেয়ে শিক্ষিত ও সচ্ছল পরিবারের ৫০ শতাংশ শিশুর জন্ম হচ্ছে অস্ত্রোপচারে। প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান ও সচ্ছল পরিবারে এই হার অনেক বেশি। জাতীয় পর্যায়ের ২০১৭ সালের ৫ এপ্রিল প্রকাশিত এক জরিপে আরও জানানো হয়, গর্ভবতী মায়েদের একটি বাচ্চা প্রসবের মধ্যে ৫৩.৫ শতাংশ ছেলে শিশু। আর জমজ বাচ্চা প্রসবের মধ্যে ৫৯.৪ শতাংশ ছেলে শিশু। গর্ভবতী মায়েদের সন্তান প্রসব করার স্থানের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ২৪.৫ শতাংশ, প্রাইভেট হাসপাতালে ২৭.২ শতাংশ, এনজিও হাসপাতালে ৪.৪ দশমিক ৫ শতাংশ, হোম ডেলিভারি ৪২.৪২ শতাংশ এবং অন্যান্য স্থানে ১.৫ শতাংশ ডেলিভারি হয়। ২০১৫ সালে প্রকাশিত হেলথ বুলেটিনে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ান জন্মদান প্রায় ৮ গুণ বেড়েছে। শুধুমাত্র ২০১৩ সালে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৭২১ জন প্রসূতি মা ভর্তি হয়। এর মধ্যে ১ লাখ ১৭ হাজার ১৬৪ জন শিশু অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জন্ম নেয়। কিন্তু এদের মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ প্রসূতিকে নরমাল ডেলিভারি করা যেত।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat