×
ব্রেকিং নিউজ :
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ফেসবুক পেজের বিরুদ্ধে অপুর থানায় অভিযোগ টেকসই স্বাস্থ্য উন্নয়নে হেলথ প্রমোশন কর্মসূচি বাস্তবায়ন জরুরি মানবপাচার মামলায় মিল্টন সমাদ্দার কারাগারে টঙ্গী থেকে দিয়াবাড়ি মেট্রোরেল স্টেশন পর্যন্ত শাটল বাস চালু ৮০ হাজার মানুষ রাফাহ থেকে পালিয়ে গেছে : জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা কেউ আমাকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী আরটিআই আইনে তথ্য চাওয়ার ক্ষেত্রে নারীদের আরো বেশি উদ্বুদ্ধ করতে হবে : ড. আবদুল মালেক এসওইগুলোকে শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য চাই স্মার্ট ডেটা : অর্থ প্রতিমন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০১৮-০৪-০৬
  • ৪৯০ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
তেহরানের রাস্তায় রাস্তায় সফল নারীদের চিত্রগাঁথা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:- শহরের কোনও প্রান্তের বিলবোর্ডে সেনা কর্মকর্তার ছবি। কোথাও যুদ্ধের চিত্রগ্রাহক। কোথাও অলিম্পিক জয়ীর মুখ। প্রত্যেক ছবিই কোনও না কোনও নারীর। আর এই চিত্র দেখতে পাওয়া যাচ্ছে ইরানের রাজধানী তেহরানের রাস্তাঘাটে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল নারীদের এভাবেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে ‘রক্ষণশীল’ দেশটিতে।
২০১৪ সালে ফিল্ডস মেডেল জিতেছিলেন এ দেশের নারী-গণিতজ্ঞ মরিয়ম মিরজাখানি। গণিতে নোবেলের সমতুল এই পুরস্কার সেই প্রথম পেয়েছিলেন কোনও নারী। ২০১৭ সালে মাত্র ৪০ বছর বয়সে মারা যান তিনি। মরিয়মের মুখ এখন বিলবোর্ড জুড়ে। এই রকম আরও অনেকেই আছেন। চিত্রশিল্পী, খেলোয়াড়, বিজ্ঞানী— এমন বহু বিশিষ্ট নারী। ছবিতে কারও কারও মাথা কালো পর্দায় ঢাকা। কেউ আবার ইসলামি পোশাক পরেননি। ছবিতে উল্লেখযোগ্য মুখের মধ্যে আছেন শাহলা রিয়াহি, ইরানের প্রথম মহিলা পরিচালক। আশির দশকে ইরান-ইরাক যুদ্ধের ছবি তুলেছিলেন আরেক মরিয়ম। তিনি মরিয়ম কাজেমজাদে, ইরানের প্রথম যুদ্ধ-চিত্রগ্রাহক— আছে তারও মুখ। আছেন মার্জেই হাদিদ চি, ‘ইসলামিক রেভোলিউশন গার্ডস কোর’-এর প্রথম নারী কমান্ডার। নারী অধিকার রক্ষার আন্দোলনে পরিচিত নাম মার্জেই পরে এমপি-ও হয়েছেন। আধুনিক ইরান নিয়ে গবেষণা করে প্রথম নারী শিক্ষাবিদ হিসেবে উঠে আসেন নুসরাত আমিন। আছেন তিনিও। ছবিতে আছেন ইরানের আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের পথিকৃৎ আলেনুশ তেরিয়ান। প্রথম নারী সাংবাদিক মরিয়ম আমিদ সেমনানিও জায়গা করে নিয়েছেন বিলবোর্ডে।১৯১৩ সালে নারীদের দৈনিক ‘ব্লসম’ চালু করেছিলেন তিনি। কীভাবে শুরু হলো এই উদ্যোগ? জানা যাচ্ছে, গত বছর তেহরানের মেয়র হিসেবে যিনি নির্বাচিত হন, তার বড় ভূমিকা রয়েছে এর পিছনে। তিনি সংস্কারপন্থী হিসেবে উঠে এসেছিলেন তেহরানে। এর আগে প্রশাসনে রক্ষণশীল লোকজনকেই দেখা গিয়েছে। সে সময়ে নারীদের ভূমিকা নিয়ে এত প্রচার ভাবাই যেত না, বলছেন প্রশাসনের অন্দরেরই লোকজন। তবে এখন সফল নারীদের মুখ শহর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ায় প্রশংসা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তেহরানের এমপি ফাতেমে সাঈদি বলছেন, এই প্রচারে ভালো হচ্ছে। তেহরান পেরিয়ে অন্য শহরেও নারীদের এভাবে প্রচারের আলোয় আনার দাবি উঠছে। আশা, এতে নারীরাই অনুপ্রাণিত হবেন। কেউ কেউ অবশ্য বলছেন, এত প্রচার সার। নারীদের অধিকার বাড়ানোর জন্য কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। কিছু দিন আগেই এখানে এক নারী হিজাব আইনের প্রতিবাদ জানাতে প্রকাশ্যে হিজাব খুলে রাস্তায় নেমেছিলেন। তাকে দু’বছরের জন্য জেলে পাঠাতে দেরি করেনি প্রশাসন। যে গণিতজ্ঞ মরিয়ম মিরজাখানিকে নিয়ে এখন এত হইচই করা হচ্ছে, তাকে এক সময় দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন একজন। এই মরিয়ম আমেরিকায় স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পরিচিতি পান। ক্ষুব্ধ ওই ব্যক্তি জানাচ্ছেন, মরিয়ম যদি থেকে যেতেন, হিজাব আইন না মানলে শিক্ষকতার সুযোগটাই তো পেতেন না।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat