- প্রকাশিত : ২০১৮-০৪-০৭
- ৪৬৪ বার পঠিত
-
নিজস্ব প্রতিবেদক
সংঘাত ছাড়া থাকতে পারেন না ট্রাম্প?
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:- সংঘাত ছাড়া প্রায় একটি দিনও কাটছে না ট্রাম্প প্রশাসনের৷ চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের পাশাপাশি প্রতিবেশী মেক্সিকোর সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে দ্বন্দ্ব তুঙ্গে উঠেছে৷ এখনো পর্যন্ত ট্রাম্প তার নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি হিসেবে ম্যাক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তৈরির কাজ করতে পারেননি৷ তবে অবৈধ অভিবাসন রুখতে মেক্সিকো সীমান্তে সেনাবাহিনী নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, সীমান্তের পরিস্থিতি সংকটের আকার নিয়েছে৷ তার মতে, সেখানে আইনের শাসনের অভাব অ্যামেরিকার নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের ক্ষতি করছে৷ এ প্রসঙ্গে তিনি পূর্বসূরি ওবামা প্রশাসনেরও সমালোচনা করেন৷
২০১০ সাল থেকেই আশ্রয়প্রার্থীরা বছরে একবার দলবদ্ধভাবে ‘ক্যারাভান’ হিসেবে মার্কিন সীমান্তের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়৷ নিজেদের করুণ পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতেই এই অভিযান চালানো হয়৷ দলের নেতারা বুধবার বলেছেন, প্রায় ৮০ শতাংশ আশ্রয়প্রার্থী আপাতত মেক্সিকোয় থেকে যাবে৷
এই ঘোষণার পর মেক্সিকোয় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে৷ সে দেশের সংসদে দলমত নির্বিশেষে একটি প্রস্তাব পাশ করা হয়েছে৷ তাতে সরকারের উদ্দেশ্যে অভিবাসন ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অ্যামেরিকার সঙ্গে সহযোগিতা বন্ধ করার ডাক দেওয়া হয়েছে৷
সংসদের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির প্রধান লাউরা রোহাস বলেন, শুরু থেকেই লাগাতার তর্জনগর্জন করে ট্রাম্প মেক্সিকোর প্রতি অশ্রদ্ধা ও অপমানজনক আচরণ করে চলেছেন৷ কিছু ভুল ধারণা ও ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে তিনি একের পর এক হুমকি দিয়ে চলেছেন৷
সংসদের এই প্রস্তাব কার্যকর করার কোনো বাধ্যবাধকতা সরকারের নেই৷ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সীমান্তে পরিকল্পনার বিষয়ে মার্কিন অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে৷ ‘ক্যারাভান’ নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের ‘মাত্রাতিরিক্ত’ প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করে মেক্সিকো বলেছে, নভেম্বর মাসে সে দেশের নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের ভরাডুবি এড়াতেই ট্রাম্প এমন তর্জনগর্জন করছে৷
মেক্সিকোয় আগামী ১লা জুলাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন৷ সব রাজনৈতিক শিবিরই ট্রাম্প প্রশাসনের আচরণ নিয়ে সোচ্চার হয়ে উঠেছে।
শুধু ম্যাক্সিকো আর চীন নয়। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই যুদ্ধাংদেহী মনোভাব প্রকাশ করে চলেছেন ট্রাম্প। সূত্র: ডয়চে ভেলে
নিউজটি শেয়ার করুন
এ জাতীয় আরো খবর..