×
ব্রেকিং নিউজ :
স্মার্ট চট্টগ্রাম সিটি গড়তে আমেরিকান প্রতিষ্ঠানের সাথে চসিকের সমঝোতা ঝিনাইদহে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু জাতির পিতার সমাধিতে লালমনিরহাট জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের শ্রদ্ধা শরীয়তপুরে প্রত্যাগত অভিবাসীদের পুনঃ একত্রিকরণ শীর্ষক সেমিনার টাঙ্গাইলে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেলো জমজ দুইবোন বাংলাদেশের এমএসএমই, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ ঘোষণা যুক্তরাজ্যের স্পিকারের নেতৃত্বে আজ জেনেভা যাচ্ছে সংসদীয় প্রতিনিধিদল ডোনাল্ড ল্যু নিজ দেশের এজেন্ডা বাস্তবায়নে আলোচনা করতে এসেছেন: ওবায়দুল কাদের আন্তর্জাতিক ইসরায়েলি লবির সাথে যুক্ত হয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী হজযাত্রীদের নিকট হতে কুরবানির টাকা নেয়ায় মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা
  • প্রকাশিত : ২০১৮-০৪-২৫
  • ৪৩৬ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিক্ষা প্রকল্পে লুটপাটের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি:-  কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার নামে এনজিও সংস্থা মুক্তি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্কুল নির্মাণসহ এই এনজিওতে নানা পদে কর্মকর্তা ও শিক্ষক নিয়োগেও অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি এবং দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এর সঙ্গে সংস্থার প্রধান নির্বাহী থেকে শুরু করে বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তা জড়িত বলে জানা গেছে। সূত্র মতে, স্কুল নির্মাণ কাজে চরম অনিয়মের কারণে নির্মাণের দুই তিন মাসের মাথায় স্কুলগুলোর অধিকাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে বৃষ্টি আর রোদ মাথায় নিয়ে সেখানে লেখাপড়া করছে ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শিশুরা। সরেজমিনে কুতুপালং-এর মধুরছড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়ে এবং নির্ভরযোগ্য লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা প্রকল্পের আওতায় এনজিও সংস্থা মুক্তিকে ফান্ড দেয় দাতা সংস্থা ইউনিসেফ। এর সুবাদে এনজিও মুক্তির তত্ত্বাবধানে নির্মাণ করা হয় দেড়শটি স্কুল। সেগুলোতে বর্তমানে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এসব স্কুলে বাংলা ও ইংরেজির পাশাপাশি নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিশুদের বার্মিজ বর্ণমালাও শেখানো হচ্ছে। তবে এসব স্কুলে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে।  ফলে স্কুলগুলো নির্মাণের দুই তিন মাসের মাথায় অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার পথে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। সূত্রমতে, প্রথম ধামে কুতুপালং ও বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নির্মাণ করা হয় ১৫০টি স্কুল। আর সেসব স্কুল নির্মাণের ঠিকাদারের কাজ নেয় ঘুমধুম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান দীপক বড়ুয়াসহ একাধিক ব্যক্তি। প্রতিটি স্কুল নির্মাণের জন্য বাজেট ধরা হয় এক লাখ ৪৯ হাজার টাকা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা এক লাখ ২০ হাজার টাকা করে সাব-ঠিকাদারকে কাজ দিয়ে দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্যাম্পে কর্মরত মুক্তি এনজির এক কর্মকর্তা জানান, বাকি টাকার মধ্যে প্রতিটি স্কুল থেকে ঠিকাদার ১০ হাজার, মুক্তির প্রধান নির্বাহী ১০ হাজার এবং স্থানীয়ভাবে (প্রভাবশালী ব্যক্তিদের) বাকি টাকা ভাগ করে দেয়া হয়েছে। অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে খোদ মুক্তির প্রধান নির্বাহী, সংশ্লিষ্ট ঠিকারদারসহ বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদার দীপক বড়ুয়া বলেন, ‘এগুলো পারিপার্শ্বিক ও স্থানীয় রাজনৈতিক কোন্দলের বিষয়। সেখানে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই এই অপপ্রচার।’ স্কুল নির্মাণে দুর্নীতি কিংবা অনিয়মের সঙ্গে তিনি কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নন বলে দাবি করেন। সরেজমিনে কুতুপালং-এর মধুরছড়ায় গিয়ে দেখা গেছে, গত জানুয়ারি মাসে যে স্কুলগুলো নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলো বর্তমানে অস্তিত্ব হারিয়ে যেতে বসেছে। মাত্র ২/৩ মাসের মাথায় বেড়া দিয়ে তৈরি স্কুলগুলোর বেড়া ভেঙে যাচ্ছে। ফলে শিশুদের ক্লাস করতে হচ্ছে রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মধুরছড়ায় মুক্তি এনজিও পরিচালিত সানফ্লাওয়ার চাইল্ড লার্নিং সেন্টারের এক শিক্ষক বলেন, ‘কী আর করার আছে। পেটের দায়ে চাকরি করছি। রোদ হোক কিংবা বৃষ্টি চাকরি করে যেতেই হবে। স্কুল নির্মাণের নামে লুটপাট করেছে। সবেমাত্র জানুয়ারি মাসে স্কুলগুলো নির্মাণ করা হয়েছে, কিন্তু কয়েক মাস যেতে না যেতেই এই অবস্থা। আল্লাহ জানে ভবিষ্যতে কী হবে।’ এই শিক্ষক আরও বলেন, ‘ভাই আমার নাম দিয়েন না। নাম দিলে চাকরি থাকবে না।’ একই সুর ওই স্কুলের কয়েকজন শিশু শিক্ষার্থীরও। তারা বলে, ‘অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করতে হচ্ছে। রোদ পড়লে কোনো রকম সারা যায়। কিন্তু বৃষ্টি পড়লে পানি পড়ে বই খাতা সব নষ্ট হয়ে যায়।’ এসব অভিযোগের বিষয়ে ওই প্রকল্পের প্রজেক্ট কর্ডিনেটর শান্তনু শেখর রায় বলেন, কুতুপালংয়ে ১২০টি এবং বালুখালীতে ৩০টি স্কুল করা হয়েছে মুক্তির উদ্যোগে। আর এতে অর্থ সহায়তা দিয়েছে ইউনিসেফ। তবে স্কুল নির্মাণে দুর্নীতি কিংবা অনিয়মের বিষয়ে কিছু বলতে রাজি না হয়ে তিনি হেড অফিসে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। অন্যদিকে মুক্তির প্রধান নির্বাহী বিমল চন্দ্র দে সরকার বলেন, ‘সবকিছু জানেন প্রজেক্ট কর্ডিনেটর।’ দুর্নীতির বিষয়ে প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘শুধু তিনি না, মুক্তির কেউই একটা টাকা-পয়সাও কারো কাছ থেকে গ্রহণ করেননি। এরকম প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat