নিজস্ব প্রতিনিধি:- চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার আগের বছরের তুলনায় কমেছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। সারাদেশে এবার পাস করেছে ৭৭.৭৭ শতাংশ পরীক্ষার্থী। তবে গতবারের চেয়ে এবার জিপিএ-ফাইভ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে।
গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় ১০ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ। সেই হিসাবে গতবারের চেয়ে এবার পাসের হার কমেছে প্রায় ২.৫৮ শতাংশ।
রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল তুলে ধরার সময় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এসব তথ্য দেন। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে এবার এসএসসিতে ৭৯ দশমিক ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। এছাড়া মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে ৭০ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৭১ দশমিক ৯৬ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবার সারাদেশে ২০ লাখ ২৬ হাজার ৫৭৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করে ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ১০৪ শিক্ষার্থী, যা গড়ে ৭৭.৭৭ শতাংশ। এরমধ্যে ছাত্রদের পাসের হার ৭৬.৭১ শতাংশ, আর ছাত্রীর পাসের হার ৭৮.৮৫ শতাংশ।
নাহিদ বলেন, এবার জিপিএ-ফাইভ পেয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৬২৯ শিক্ষার্থী। এরমধ্যে ৫৫ হাজার ৭০১ জন ছাত্র, আর ৫৪ হাজার ৯২৮ জন ছাত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবার মোট ২৮ হাজার ৫৫৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে এক হাজার ৫৭৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
২০১৬ সালে ১০ বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। ২০১৫ সালে এই হার ছিল ৮৭ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। ২০১৪ এ হার ছিল ৯১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং ২০১৩ সালে ছিল ৮৯ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।
গত ১ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি এবারের এসএসসির তত্ত্বীয় এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চ ব্যবহারিক পরীক্ষা হয়।
দুপুরে সচিবালয়ে তার সম্মেলন কক্ষে এসএসসির বিস্তারিত ফল তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। পরে বেলা দুইটা থেকে ফল জানা যাবে। বেলা দুইটায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ওয়েবসাইট ও মুঠোফোনে নির্ধারিত পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ করা হবে।