×
ব্রেকিং নিউজ :
আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ৩ সদস্যের কারাদণ্ড গোপালগঞ্জে দারিদ্র বিমোচন প্রকল্পের প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ ভোলার ৩ টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন আগামীকাল রাঙ্গামাটিতে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন গোপালগঞ্জের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল এ্যান্ড কলেজ নকল ডায়াবেটিস টেস্টিং স্ট্রিপস ধ্বংসে হাইকোর্ট নির্দেশ ক্রেতারা প্লট বা ফ্ল্যাট কিনে যেন হয়রানির শিকার না হয় : রিহ্যাবকে রাষ্ট্রপতি দ্বিতীয় ধাপে দেশের ১৫৬ উপজেলায় আগামীকাল ভোটগ্রহণ ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের অনুমতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী : ওবায়দুল কাদের ঢাকা-তাসখন্দ সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার উপর গুরুত্বারোপ রাষ্ট্রদূত ড. মনিরুলের
  • প্রকাশিত : ২০১৮-০৫-০৬
  • ৪৫৯ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
সবাইকে ছাড়িয়ে রাজশাহী
নিজস্ব প্রতিনিধি:- এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সাত বছরের মধ্যে খারাপ ফলাফল করেও দেশসেরা হয়েছে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড। এ বোর্ডে এবার পাসের হার ৮৬ দশমিক ০৭ শতাংশ। পাসের এই হার ২০১২ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে সর্বনিম্ন। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো দেশসেরা হলো রাজশাহী বোর্ড। রবিবার দুপুরে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মো. আনারুল হক প্রামানিক সংবাদ সম্মেলন করে পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন। তিনি জানান, এ বছর বোর্ডের অধীনে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৭৭৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিল। তাদের মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৬৫ জন। গত বছর রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ছিল ৯০ দশমিক ৭০ শতাংশ। এর আগে ২০১৬ সালে ৯৫ দশমিক ৭০, ২০১৫ সালে ৯৪ দশমিক ৯৭, ২০১৪ সালে ৯৬ দশমিক ৩৪, ২০১৩ সালে ৯৪ দশমিক ০৩ এবং ২০১২ সালে পাসের হার ছিল ৮৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। বোর্ডের আট জেলায় এ বছর জিপিএ-ফাইভ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৯ হাজার ৪৯৮ জন।  এর মধ্যে ছাত্র ১০ হাজার ১৮ এবং ছাত্রীর সংখ্যা ৯ হাজার ৪৮০ জন। গত বছর জিপিএ-ফাইভ প্রাপ্ত মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ৩৪৯ জন। এবার ছেলে, মেয়ে-উভয়ই গত বছরের তুলনায় বেশি জিপিএ-ফাইভ পেয়েছে। এ বছর বোর্ডে প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী ছিল ২৯ জন। দুজন ছাড়া পাস করেছে সবাই। কারাগারে থেকেও পরীক্ষা দিয়েছিল চার জন। তবে এদের মধ্যে তিনজনই ফেল করেছে। পাস করেছে শুধু নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার মাধবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী রিপন আলী। এবার রাজশাহী বোর্ডে মোট ২৪৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। বহিষ্কার হন ৪১ জন পরীক্ষার্থী। গত বছর এর সংখ্যা ছিল ১৩ জন। এবার মোট স্কুলের সংখ্যা ছিল দুই হাজার ৬৪৩টি। এবার বোর্ডের একটি স্কুলে কোনো পরীক্ষার্থীই পাস করেনি। বগুড়া সদরে অবস্থিত দারুল ইসলাম নৈশ্য উচ্চ বিদ্যালয় নামের এই স্কুলটিতে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১০ জন। সংবাদ সম্মেলনে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আনারুল হক প্রামানিক বলেন, ফেল করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৭ হাজার ৯১০ জন। ছাত্র এবং ছাত্রী-উভয়েরই পাসের হার কমেছে। গত বছরের তুলনায় কমেছে শতভাগ পাস করা স্কুলের সংখ্যাও। এবার এমন স্কুলের সংখ্যা ২০৬টি। অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা গ্রহণ এবং মূল্যায়ন পদ্ধতিতে কড়াকড়ির কারণে বোর্ডের ফলাফলে প্রভাব পড়েছে। তিনি বলেন, ‘ফল নির্ভর করে পরীক্ষার্থীদের ওপর। তারা যেমন পরীক্ষা দিয়েছে, ফলাফল তেমনই হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক খাতা মূল্যায়নে এবার একটা আদর্শ মান ধরে রাখা হয়েছিল। এই ফলাফল নিয়ে আমরা খুশি নই, দুঃখিত। ভবিষ্যতে আমরা সচেতন থাকবো।’ গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়ে ৪ মার্চ শেষ হয়। এর মধ্যে ১ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে লিখিত পরীক্ষা। আর ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত গ্রহণ করা হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এ বছর সারাদেশের গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এর মধ্যে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ৪৬, চট্টগ্রামে ৭৫ দশমিক ৫০, বরিশালে ৭৭ দশমিক ১১, যশোরে ৭৩ দশমিক ৬৭, দিনাজপুরে ৭৭ দশমিক ৬২, সিলেটে ৭০ দশমিক ৪৩, কুমিল্লায় ৮০ দশমিক ৪৬ এবং রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার সর্বোচ্চ ৮৬ দশমিক ০৭ শতাংশ। এছাড়া কারিগরি বোর্ডে ৭১ দশমিক ৯৬ এবং মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭০ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat