×
ব্রেকিং নিউজ :
ভৌগোলিক কারণে সিঙ্গাপুরের জন্য চট্টগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ : হাই কমিশনার কৃষকবান্ধব রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে: গণপূর্তমন্ত্রী জাতির পিতার সমাধিতে বিজিএমইএ’র নবনির্বাচিত কমিটির শ্রদ্ধা আগামী দুই মাসের মধ্যে ভাঙ্গা-খুলনা-যশোর পর্যন্ত ট্রেন চালু হবে :রেলপথ মন্ত্রী আগামীকাল থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে গণতান্ত্রিক বিষয়কে বিএনপি ফাঁদ মনে করে : ওবায়দুল কাদের বিডিইউতে জিএসটি গুচ্ছভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত পরিবেশ সাংবাদিকতা সুরক্ষায় প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেয়া হবে : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী টেনিস খেলাকে জনপ্রিয় করতে কাজ করা হচ্ছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী কাপ্তাই লেকের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০১৮-০৫-১৪
  • ৪৪৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
কোটা সংস্কার প্রজ্ঞাপনের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ
নিজস্ব প্রতিনিধি:-  কোটা বাতিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ঘোষণা অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন চেয়ে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন কোটা সংস্কারে আন্দোলনরত সরকারি চাকরিপ্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সোমবার সকাল থেকেই ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করছিলেন আন্দোলনকারীরা। দফায় দফায় ঢাবি ক্যাম্পাসে মিছিলও করেন তারা। এর একপর্যায়ে দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন তারা। এতে করে শাহবাগ হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন রুটে যার চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। এর আগে রবিবার বিকাল ৫টার মধ্যে কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করা না হলে সোমবার থেকে দেশের সকল কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগাতার ধর্মঘট পালন করা হবে ঘোষণা দিয়েছিল আন্দোলনকারীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।’ এমতাবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা প্রজ্ঞাপন আকারে জারির দাবিতে সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোয় অনির্দিষ্টকালের ছাত্র ধর্মঘট ও অবস্থান কর্মসূচি চলছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রজ্ঞাপন জারি না হলে তারা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবে। সোমবার সকালে ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হন হাজারো শিক্ষার্থী। এসময় কোনও কালক্ষেপণ না করে অবিলম্বে চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারে প্রজ্ঞাপন জারির আহ্বান জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। এদিন সকাল ১০টায় বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এসে জড়ো হন। পরবর্তীতে তাদের একটি অংশ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাবির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করেরন। মিছিলে শিক্ষার্থীরা, ‘আর নয় কাল ক্ষেপন, দিতে হবে প্রজ্ঞাপন’, শেখ হাসিনার ঘোষণা, বাস্তবায়ন করতে হবে’ইত্যাদি স্লোগান দেন। সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে সামগ্রিক শিক্ষা কার্যক্রমে। যদিও কয়েকটি বিভাগে ক্লাস ও পরীক্ষা হচ্ছে। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম থাকায় ক্যাম্পাস ছিল অনেকটা ফাঁকা। ধর্মঘটের কারণে প্রতিদিনকার কোলাহলে ভাটা পড়েছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে। এর আগে কোটা বাতিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ঘোষণা ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বাস্তবায়নের দাবিতে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত আলটিমেটাম দিয়েছিলেন সরকারি চাকরিপ্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্তীদের এ প্লাটফর্ম। এই সময়ের মধ্যে গেজেট প্রকাশ না হলে ১ মে থেকে ফের আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা। এমতাবস্থায় ২৭ এপ্রিল কোটা সংস্কার আন্দোলনের ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীমের বৈঠক হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টার ওই বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধে এবং মামলা প্রত্যাহারের আশ্বাসে ৭ মে পর্যন্ত আলটিমেটামের সময় বৃদ্ধি করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। এই সময়েও প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় ৯ মে মানববন্ধন করে ১০ মের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করতে ফের আলটিমেটাম দেন তারা। কিন্তু এরপরও প্রজ্ঞাপন জারি না হলে  রবিবার (১৩ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। বিক্ষোভ শেষে দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নূর, মো. রাশেদ খান, ফারুক হোসেন প্রমুখ। এদিকে আমাদের চট্টগ্রাম, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও সাধারণ শিক্ষার্থীরা ধর্মঘট পালন করছেন বলে জানিয়েছেন। অধিকাংশ বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করায় ক্যাম্পাস অনেকটা ফাঁকা বলেও জানিয়েছেন তারা। প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা ৫৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবিতে গত ফেব্রুয়ারি থেকে আন্দোলনে নামে সংগঠনটি। ৮ এপ্রিল রাজধানীর শাহবাগে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের পর দেশের সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। পরে নামে সরকারি চাকরিতে অনীহা দেখানো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও। আর ১২ এপ্রিল সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো কোটার দরকার নেই।’ কয়েকটি দেশ সফর শেষে  দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রী ২ মে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি কোটা বাতিলের বিষয়ে যে কথা বলেছেন, সেটা পাল্টাবেন না। সর্বশেষ ১০ মে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোজাম্মেল হক খান ‘কোটা সংস্কার বা বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হয়েছে’ বলে জানান। তবে প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান তিনি। এরপর প্রজ্ঞাপনের দাবিতে ফের বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেয় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat