×
ব্রেকিং নিউজ :
চট্টগ্রামে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে একসঙ্গে কাজ করবে সিএমপি ও চসিক চাঁদপুরের চরাঞ্চলের নির্বাচনী এলাকায় কোস্টগার্ডের মহড়া জয়পুরহাটে ভ্যান চালক আবু সালাম হত্যা মামলায় তিন জনের মৃত্যুদন্ড নওগাঁর ৩টি উপজেলার নির্বাচন আগামীকাল গাজার দিকে রাফাহ ক্রসিং-এ ‘অপারেশনাল কন্ট্রোল’ নিয়েছে ইসরায়েল বাহিনী মহামারী মোকাবেলায় প্রস্তুতি ও সাড়াদানে উচ্চ-পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃত্ব অপরিহার্য : প্রধানমন্ত্রী বারি পরিদর্শনে চীনের আনহুই একাডেমি প্রতিনিধি দল থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান রাষ্ট্রপতির বর্তমান সরকারের আমলে কোন শিশুই অবহেলিত থাকবে না: ডেপুটি স্পিকার কাল হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
  • প্রকাশিত : ২০১৮-১০-২২
  • ৭০২ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
যে বদঅভ্যাসের জন্যে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে আপনার কিডনি!
স্বাস্হ্য ডেস্ক:-কিডনি আমাদের শরীরের এমন একটি অংশ যা খুব ধীরে ধীরে নষ্ট এবং অকেজো হয়ে গেলেও আমরা বুঝতে পারি না। কখনো কখনো আমাদের নিত্যদিনের কিছু বদঅভ্যাসের জন্যে কিডনি ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ে যা আমরা তাৎক্ষণিকভাবে বুঝতে পারি না। যখন আবিষ্কার করতে পারি তখন অনেক বেশী দেরী হয়ে যায়!
প্রতিটা মানুষের সুস্থ স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার জন্য দুটো কিডনিই সম্পূর্ণভাবে ভালো এবং কর্মক্ষম থাকাটা বাঞ্ছনীয়। কিডনি ভালো রাখার জন্য যে সকল বাজে অভ্যাস পরিত্যাগ করা উচিৎ সেগুলো জেনে নিন এই ফিচার থেকে।
১/ অনেক বেশী কোমল পানীয় পান করার অভ্যাস
ওসাকা ইউনিভার্সিটি অফ জাপান এর কর্মচারীদের উপরে করা একটি গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে, যারা দিনের মধ্যে দুই বা ততোধিকবার কোমল পানীয় (ডায়েট অথবা নরমাল) পান করেন, তাদের কিডনির সমস্যা দেখা দেওয়ার ঝুঁকি থাকে অনেক বেশী। ১২,০০০ কর্মচারীর মাঝে যারা অনেক বেশী কোমল পানীয় পান করেন তাদের মূত্রতে অনেক বেশি পরিমাণে প্রোটিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। মূত্রতে প্রোটিনের আধিক্য কিডনি ড্যামেজের প্রাথমিক লক্ষণ।
২/ শরীরচর্চার অপ্রতুলতা
শরীরচর্চা শুধুমাত্র ওজন কমাতেই সাহায্য করে না, কিডনি ভালো রাখতেো সাহায্য করে থাকে। ২০১৩ সালে জার্নাল অফ দ্যা আমেরিকা সোসাইটি অফ নেফ্রোলজি তাদের এক গবেষণায় প্রকাশ করেছে, মেনোপজের পরবর্তী সময়ের নারীদের মধ্যে যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন তাদের কিডনিতে পাথর হবার ঝুঁকি ৩১% কম হয়ে থাকে।
৩/ পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া
কিডনি সচল থাকার জন্য এবং কিডনির কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলার জন্য প্রতিটি মানুষের প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়াটা বাধ্যতামূলক। যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না খাওয়া হয় তবে শরীরের ভেতরের বর্জ্য পদার্থগুলো রক্তের সাথে মিশে যাওয়া শুরু করে। ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশন জানায়, প্রতিদিন অন্তত ১২ গ্লাস পানি খাওয়া উচিৎ একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়া হচ্ছে কী না তা জানা যায় মূত্রের রঙ থেকেই।
৪/ প্রস্রাব চেপে রাখা
অনেকেরই এই বদভ্যাসটা থাকে। প্রস্রাবের বেগ পেলেও মূত্র বিসর্জন না করে চেপে রাখা। ব্লাডার যখন খালি হতে চাচ্ছে তখন প্রস্রাব আটকে রেখে দেওয়া ব্লাডারের উপর বাড়তি চাপ দিতে থাকে। নিয়মিতভাবে এই কাজটা করলে কিডনির ভয়াবহ ক্ষতি হয়। কারণ এর ফলে কিডনির উপরে প্রেশার পড়ে যা কিডনি ফেইল্যুর এর মতো সমস্যা তৈরি করে ফেলে।
৫/ অনেক বেশী পরিমাণে সোডিয়াম গ্রহণ করা
লবণ শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান, তবে এই লবণও খেতে হবে একদম পরিমিত পরিমাণে। অতিরিক্ত পরিমাণে লবণ খেলে রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং কিডনির উপর অতিরিক্ত ধকল পড়ে যায়। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ৫.৮ গ্রাম এর বেশী লবণ খাওয়া কোনভাবেই উচিৎ নয়।  
৬/ অনেক বেশী পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ করা
হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি’র মতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অনেক বেশী পরমাণে প্রোটিনযুক্ত খাবার কিডনির জন্য অনেক বেশী ক্ষতিকর। প্রোটিন খাওয়ার ফলে এমোনিয়া নামে একটি উপযাত তৈরি হয়, যা কিডনি পরিশোধিত করার চেষ্টা করে। অনেক বেশী প্রোটিন খাওয়া মানেই অনেক বেশি পরিমাণে এমোনিয়া তৈরি হওয়া। যার অর্থ, কিডনির উপর বাড়তি প্রেশার, যা কিনা কিডনির কর্মক্ষমতা কমিয়েও ফেলতে পারে।
৭/ অনেক বেশী পরিমাণে ক্যাফেইন গ্রহণ করা
অনেক সময়ে অতিরিক্ত কাজের চাপে অথবা দুশ্চিন্তা কিংবা সাধারণ ভাবেই আমরা প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশী অতিরিক্ত ক্যাফেইনযুক্ত খাবার গ্রহণ করে ফেলি। এতে করে নিজেরা বুঝতে পারার আগেই, বেশীরভাগ সময় রক্তচাপ অনেক বেশী বেড়ে যাওয়ার ফলে কিডনির উপরে বাড়তি চাপ পড়ে থাকে।
৮/ ঘুমের ব্যঘাত ঘটা
আমরা সকলেই যেমন খুব আরামদায়ক ঘুম পছন্দ করি, ঠিক তেমনভাবেই আমাদের কিডনিও একদম নিরবিচ্ছিন্ন আরামদায়ক ঘুম পছন্দ করে এবং সেই ঘুম তাদের খুব দরকার। সাইন্স ডেইলি রিপোর্ট করে, ক্রনিক ঘুমের ব্যাঘাতের সমস্যা কিডনির রোগের ঝুঁকি অনেক বেশী বাড়িয়ে দেয়। 
৯/ অসুস্থতার পরে পরিপূর্ণ সুস্থ না হওয়া
খুব সাধারণ একটা প্রবণতা সবার মধ্যে কম-বেশী দেখা যায়। ঠাণ্ডা লাগলে, জ্বর হলে আমরা ভালোমতো পাত্তা দেই না এবং সেই অবস্থাতেই কাজ করা শুরু করে দেই। যার ফলে অনেক সময় কিডনি ড্যামেজের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে, যে ব্যক্তি অসুস্থতা থেকে পরিপূর্ণভাবে সুস্থ হয়ে ওঠা এবং বিশ্রাম নেবার আগেই নিজেকে কাজের মধ্যে ব্যস্ত করে ফেলে, তার কিডনির সমস্যা দেখা দেবার সম্ভবনা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশী।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat