×
ব্রেকিং নিউজ :
রাঙ্গামাটির রাইখালীতে মহিলা সমাবেশ মনুষ্যত্বের বিকাশ ও মানবপ্রেম ছিল রবীন্দ্রনাথের জীবনবোধের প্রধান পাথেয়: রাষ্ট্রপতি উপজেলা নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রোহিঙ্গাদের জন্য আরও তহবিল সংগ্রহে আইওএম’র প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ধাপে ১৪১ উপজেলায় ভোট গ্রহণ আগামীকাল উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করার আগে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বিবেচনা করুন : প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ায় পঞ্চমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিচ্ছেন ভ্লাদিমির পুতিন রাফায় অভিযান নিয়ে নেতানিয়াহুকে আবারো সতর্ক করলেন বাইডেন কায়রো যাচ্ছে কাতারের প্রতিনিধি দল বায়ার্নকে টপকে যেতে মাদ্রিদকে আরো ভাল খেলতে হবে
  • প্রকাশিত : ২০১৮-১০-২৯
  • ৭৫২ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
কি কারনে মেয়েদের তলপেটে ব্যথা হয়?এর লক্ষণগুলো কি কি?
স্বাস্হ্য ডেস্ক:-নারী দেহের প্রজননতন্ত্রের বা তলপেটের মারাত্মক প্রদাহের মধ্যে পিআইডি বা পেলভিক ইনফ্লামেটরি ডিজিজ অন্যতম৷ অধিকাংশ মহিলাই এ রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন কষ্টে ভুগে থাকেন৷ এই প্রদাহ দুরকম হতে পারে-
  • জনন অঙ্গের নিচের দিকের প্রদাহ।
  • জনন অঙ্গের উপরের দিকের প্রদাহ৷
মেয়েদের তলপেটের মারাত্মক প্রদাহের কারণ
  • এ রোগের অনেকগুলো কারণের মধ্যে যৌনরোগ যেমন - গণোরিয়া, ক্ল্যামাইডিয়া সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য৷ স্বামীর যদি যৌনরোগ থাকে তাহলেও হতে পারে৷ শতকরা ৬০-৭০ ভাগ ক্ষেত্রে পিআইডি যৌন রোগের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত৷
  • জনন অঙ্গে যক্ষ্মার জীবাণুর সংক্রমণেও পিআইডি হতে পারে৷
  • মদ্যপান, ড্রাগ আসক্তি, একাধিক যৌনসঙ্গীর কারণে পিআইডি হয়ে থাকে৷
  • অন্যান্য কারণের মধ্যে-
- অল্প বয়সে যৌনজীবন শুরু, - মাসিকের সময় সহবাস, - অস্বাস্থ্যকর ও অদক্ষভাবে গর্ভপাত করা এবং ডেলিভারি করানো, - ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রে কনডম ব্যবহার না করা, - স্ত্রী জনন অঙ্গের কোনও অপারেশনের পর, লুপ বা কপারটি পরাবার পর এই প্রদাহ হতে পারে৷ সাধারণত ১৪-২৫ বৎসর বয়সের মহিলারা পিআইডিতে বেশি আক্রান্ত হয়৷ অশিক্ষিত, দরিদ্র মহিলাদের মধ্যে এ রোগের প্রকোপ বেশি কারণ তাদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা খুবই কম৷ রোগের লক্ষণ তলপেটের মারাত্মক প্রদাহের লক্ষণসমূহ -
  • তলপেটে তীব্র ব্যথা হওয়া৷ এই ব্যথা কোমরে এবং বাহুতে বিস্তার করতে পারে৷
  • তলপেটে ভারি অনুভব করা।
  • সহবাসে এবং জরায়ু ও জরায়ুমুখ স্পর্শ করলে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করা৷
  • যোনিপথে দুর্গন্ধযুক্ত সাদাস্রাব বা পুঁজ নির্গত হওয়া।
  • প্রস্রাব করার সময় ব্যথা, জ্বালা-যন্ত্রণা করতে থাকে৷
  • মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত হতে পারে৷
  • শরীরে সব সময় জ্বর থাকতে পারে৷
  • মাথাব্যথা, বমি ভাব, পেট ফাঁপা হতে পারে৷
  • খেতে অরুচি এবং স্বাস্থ্য ক্ষীণ হয়ে যেতে পারে৷
প্রতিরোধ ব্যবস্থা তলপেটের মারাত্মক প্রদাহ বা পিআইডি রোগীর উপযুক্ত চিকিৎসা করা না হলে পরবর্তীতে বন্ধ্যাত্ব এবং অন্যান্য জটিলতা দেখা দেয়৷ সেজন্য যৌন রোগগুলির প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় করে সঠিক চিকিৎসা দিলে পিআইডি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে হ্রাস করা সম্ভব৷ বাচ্চা হওয়ার পর বা গর্ভপাতের পর বিশেষ পরিচ্ছন্নতা দরকার৷ মাসিকের সময় কাপড় বা ন্যাপকিন যাই ব্যবহার করা হোক না কেন তা অবশ্যই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে৷ একবার ব্যবহার করা জিনিস কখনই দ্বিতীয়বার ব্যবহার করা যাবে না৷ প্রতিবার বাথরুমে যাওয়ার পর যৌনাঙ্গ ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে৷ ঝুঁকিপূর্ণ সহবাসে কনডম ব্যবহার করতে হবে৷ মনে রাখতে হবে, কনডম যৌন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে৷ জনকল্যাণ স্বার্থে অবশ্যই এই পোস্টটি শেয়ার করুন আপনার কাছের মানুষদের ” সুস্থ রাখুন ও সুস্থ থাকুন”

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat