×
ব্রেকিং নিউজ :
স্মার্ট চট্টগ্রাম সিটি গড়তে আমেরিকান প্রতিষ্ঠানের সাথে চসিকের সমঝোতা ঝিনাইদহে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু জাতির পিতার সমাধিতে লালমনিরহাট জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের শ্রদ্ধা শরীয়তপুরে প্রত্যাগত অভিবাসীদের পুনঃ একত্রিকরণ শীর্ষক সেমিনার টাঙ্গাইলে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেলো জমজ দুইবোন বাংলাদেশের এমএসএমই, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ ঘোষণা যুক্তরাজ্যের স্পিকারের নেতৃত্বে আজ জেনেভা যাচ্ছে সংসদীয় প্রতিনিধিদল ডোনাল্ড ল্যু নিজ দেশের এজেন্ডা বাস্তবায়নে আলোচনা করতে এসেছেন: ওবায়দুল কাদের আন্তর্জাতিক ইসরায়েলি লবির সাথে যুক্ত হয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী হজযাত্রীদের নিকট হতে কুরবানির টাকা নেয়ায় মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা
  • প্রকাশিত : ২০২০-০১-৩০
  • ৩২৮ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য যুক্তরাজ্যের ৮০ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড অনুদান

কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বাংলাদেশে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) কার্যক্রমে যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন সংস্থা ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি) আরও ৮০ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড (১ কোটি ২ লাখ ইউএস ডলার) অনুদান দিয়েছে।
ডিএফআইডি’র এ অনুদানের ফলে ডব্লিউএফপি ২ লাখ ৭০ হাজার ৬শ’ শরণার্থীকে ইলেকট্রনিক ভাউচারের (ই-ভাউচার) আওতায় তিন মাস খাদ্য সহায়তা প্রদান করতে সক্ষম হবে।আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই কর্মসূচির মাধ্যমে শরণার্থী শিবিরে অবস্থানরত পরিবারবর্গ ২৫টি ডব্লিউএফপি-সমর্থিত দোকান থেকে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যসামগ্রী ক্রয় করতে পারবে।ই-ভাউচার আউটলেট থেকে কেনাকাটা করার জন্য পরিবারগুলো প্রতি মাসে সদস্য-প্রতি ৯ ইউএস ডলার (৭৭০ টাকা) করে পেয়ে থাকে। এই অর্থ ডব্লি¬উএফপি’র একটি প্রি-পেইড অ্যাসিসটেন্ট কার্ডে থাকে যা ব্যবহার করে পরিবারগুলো দোকান থেকে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যসামগ্রী ক্রয় করতে পারে।বিশেষ করে তারা টাটকা ফলমূল, শাকসবজি, মাছ, ডিম, মুরগী, মসলা এবং অন্যান্য সামগ্রী কিনতে পারে। ই-ভাউচারের দোকানগুলো স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়, তাই স্থানীয় জনগণ আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ পায়।বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রসঙ্গে ডব্লি¬উএফপি’র প্রতিনিধি ও কান্ট্রি ডিরেক্টর রিচারড রেগান বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের এই অনুদান আমাদের ই-ভাউচারের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তামূলক কার্যক্রমগুলো অব্যহত রাখার সুযোগ করে দিয়েছে। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সাথে বাজার ব্যবস্থাপনায় ই-ভাউচার সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। এই দোকানগুলোতে প্রাপ্ত খাদ্যসামগ্রীর প্রায় সবই কক্সবাজারের বিভিন্ন উৎস থেকে সংগৃহীত, তাই ই-ভাউচারের কারণে স্থানীয় জনগণও নানাভাবে উপকৃত হচ্ছে।’২০২০ সালের মাঝামাঝি নাগাদ সকল শরণার্থীদেরকে ই-ভাউচারের আওতায় আনার ব্যাপারে ডব্লি¬উএফপি আশাবাদী বলেও তিনি উল্লেখ করেন।২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসের হিসাব অনুযায়ি ডব্লিউএফপি প্রতি মাসে অন্তত ৮ লাখ ৪২ হাজার ১০০ জন শরণার্থীকে খাদ্য সহায়তা দিয়ে আসছে। এদের মধ্যে অর্ধেক শরণার্থী ই-ভাউচারের মাধ্যমে সহায়তা পেয়ে থাকে, এবং বাকি অর্ধেক সরাসরি খাদ্য বিতরণ কর্মসূচীর মাধ্যমে চাল, ডাল ও তেল পেয়ে থাকে।ডিএফআইডি’র সহযোগিতায় ডব্লিউএফপি ইতিমধ্যে একটি পরীক্ষামূলক কৃষি বাজার চালু করেছে, যেখান থেকে পরিবারবর্গ বিভিন্ন দ্রব্যসামগ্রী যেমন চাল, ডাল, তেল ইত্যাদি অনুদান হিসেবে গ্রহণ করে থাকে। এসব বাজারের মাধ্যমে ক্যাম্পে বসবাসরত শরণার্থীরা টাটকা কৃষিপণ্য, মাছ, মাংস ইত্যাদি সহজেই সংগ্রহ করতে পারে।ডিএফআইডি’র মাধ্যমে যুক্তরাজ্য সরকার কক্সবাজারে ডব্লিউএফপির কর্মকান্ডে উদারভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে চলেছে।ডিএফআইডি ২০১৭ সালে ১ কোটি ১৩ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড, ২০১৮ সালে ১ কোটি ৭০ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড এবং ২০১৯ সালে ২ কোটি ৪ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড অনুদান দিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat