×
ব্রেকিং নিউজ :
স্বাধীনতার ইতিহাসে মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব অপরিসীম : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী নীলফামারীতে গোপন বৈঠককালে জামায়াতের তিন নেতা গ্রেপ্তার রবীন্দ্রনাথ বর্তমানে বিশ্বে আরো বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে : অর্থ প্রতিমন্ত্রী হাবিবের সেঞ্চুরিতে সুপার লিগের টিকিট পেল গাজী গ্রুপ টাঙ্গাইলে সম্প্রসারিত হয়েছে আদা ও হলুদ চাষের জমি গোপালগঞ্জে ৬ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে বোনা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা হালদা থেকে বালু উত্তোলন, ৪ জনের কারাদন্ড নড়াইলে বরেণ্য চিত্রশিল্পীদের নিয়ে আর্ট ক্যাম্প চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক উইম্যান এসএমই এক্সপো শুরু হচ্ছে খেলাধুলায় অংশগ্রহণ শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০২০-১১-১৪
  • ৪৯১ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

 কৃষিক্ষেত্রে আরো উন্নত গবেষণা এবং বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল খাদ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিতে গবেষণা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশে ‘বঙ্গবন্ধু পিয়েরে ট্রুডো কৃষি গবেষণা কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
এছাড়া কানাডার সাসকাচেওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটি (জিআইএফএস)-এ ‘বঙ্গবন্ধু রিসার্চ চেয়ার’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আজ এখানে এক সংবাদ বিজ্ঞতিতে এ কথা জানানো হয়।
অটোয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসাবে কানাডার একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর নামে একটি গবেষণা চেয়ার স্থাপন এবং কানাডার সহযোগিতায় বাংলাদেশে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এসব উদ্যোগ ও প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্যিক, গবেষণা কার্যক্রম, প্রযুক্তি বিনিময়, উন্নয়ন সহায়তা বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজানুর রহমান ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে সাসকাচেওয়ানে অনুষ্ঠিত একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন। সেখানে তিনি এই কেন্দ্রটির নাম ‘বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষি গবেষণা কেন্দ্র’ করার প্রস্তব করেন।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে সাসকাচেওয়ান প্রদেশের কৃষিমন্ত্রী ডেভিড মেরিটের ঢাকা সফরের সময় জিআইএফএস ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল(বিএআরসি)’র মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সমঝোতা স্মারকের পরে, কৃষি উন্নয়ন, খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ ও পরিবেশ বিপর্যয় মোকাবেলায় কানাডা ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ উদ্যোগ হিসাবে বাংলাদেশে এই গবেষণা ইনস্টিটিউটটি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অটোয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনে সামগ্রিক অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য একটি ভার্চ্যুয়াল সভার আয়োজন করে। সভায় কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন গবেষণা কেন্দ্র(আইডিআরসি), জিআইএফএস ও বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যোগ দেন।
সভায় কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালযের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের মহাপরিচালক ডেভিড হার্টম্যান জানান, কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির নাম পাল্টে ‘বঙ্গবন্ধু পিয়েরে ট্রুডো কৃষি গবেষণা কেন্দ্র’ নামকরণের নীতিগত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। তিনি দু’দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পর্ক উন্নয়নে কানাডা সরকারের আগ্রহের কথাও উল্লেখ করেন।
কানাডার কৃষি ও কৃষি-খাদ্য বিষয়ক উপমন্ত্রী ক্রিস ফোর্বস দু’দেশের মধ্যে কৃষি গবেষণা ও কৃষিপণ্যের বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবদুর রউফ, বিএআরসি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. এস এম বখতিয়ার, বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু কৃষি বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গিয়াসউদ্দিন মিয়া, জিআইএফএস-এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ড. স্টিভেন ওয়েব, স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপের ডিরেক্টর স্টিভ ভিশার, খাদ্য ব্যবস্থা বিভাগের পরিচালক সান্টিয়াগো আলবা কোরাল ‘বঙ্গবন্ধু পিয়েরে ট্রুডো কৃষি গবেষণা কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠার পটভূমি, কার্যক্রম, গুরুত্ব ও ভবিষ্যতের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন। হাইকমিশনার মিজানুর রহমান তার বক্তব্যে রাজনীতি, বাণিজ্য, গবেষণা সহযোগিতা ও জনগণ-জনগণ সংযোগ বৃদ্ধির আলোকে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
তিনি জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে হাইকমিশনের কাজের সাফল্যের অংশ হিসাবে সাসকাচেওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু গবেষণা চেয়ার স্থাপন এবং বঙ্গবন্ধুর নামে কৃষি গবেষণা কেন্দ্রটির নামকরণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে কৃষিতে আরো উন্নত গবেষণা পরিচালনা, বাংলাদেশে উন্নত প্রযুক্তি বিনিময় এবং বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনের মাধ্যমে কেন্দ্রটি খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি উল্লেখ করেন যে এই গবেষণা কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠার ফলে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক এবং কানাডা থেকে বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়বে। কানাডা সরকারের প্রত্যক্ষ সহায়তা ও অর্থায়নে এই প্রথম এ জাতীয় গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের দূতাবাসের প্রধান, মিনিস্টার মিয়া মো. মইনুল কবির আলোচনা অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat