×
ব্রেকিং নিউজ :
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির বিকল্প ব্যবস্থা হচ্ছে : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ড. ওয়াজেদ মিয়ার সমাধিতে রংপুরের বিভাগীয় কমিশনারের শ্রদ্ধা গোপালগঞ্জে গ্রাম পুলিশের 'বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স ' শুরু মারমাদের জল উৎসবের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হলো পাহাড়ের বৈসাবী উৎসব বরগুনায় সাংসদকে সংবর্ধনা ও মেয়র কাউন্সিলরদের অভিষেক বিদেশে কর্মী প্রেরণে রিক্রুটিং এজেন্সিকে মানবিক হওয়ার আহ্বান জানালেন প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আলবার্টা পার্লামেন্টে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কারিকুলাম যুগোপযোগী করার তাগিদ রাষ্ট্রপতির কৃতি শিক্ষার্থীরাই স্মার্ট বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ : স্পিকার বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত রাউন্ডের খেলা ২০ এপ্রিল
  • প্রকাশিত : ২০২০-১১-৩০
  • ৮৪৮ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

ডোপ টেস্টে মাদক সেবনের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় কুষ্টিয়া জেলায় কর্মরত ৮ পুলিশ সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।পুলিশ সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত মাদক সেবন করে সন্দেহভাজন এমন ১২ জন পুলিশ সদস্যর ডোপ টেস্ট করা হয়। পরীক্ষায় ও অধিকতর তদন্তে নিয়মিত মাদক সেবন করে প্রমাণীত হওয়ায় পুলিশ অধিদপ্তরের সিদ্ধান্তে ওই ৮ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এদের মধ্যে দু’জন উপ-পরিদর্শক (এসআই), দু’জন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) এবং বাকিরা কনস্টেবল। এরা হলেন, এসআই হামিদুর রহমান, এসআই নাজিম উদ্দিন, এএসআই জাহাঙ্গীর আলম, এএসআই নাঈম মাহমুদ, কনস্টেবল বিপ্লব হোসেন, কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম, কনস্টেবল নাহিদ হাসান, কনস্টেবল মাজহারুল ইসলাম। এছাড়াও মাদক সেবনে পজেটিভ রিপোর্ট আসা আরো দুইজনের চাকরিচ্যুত করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। আর ট্রাফিক পুলিশের এক সার্জেন্টসহ অন্য দু’জনের বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে।
সোমবার বেলা ১১টায় পুলিশ লাইনে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত। তিনি বলেন, আইজিপির নির্দেশে মাদক ব্যবসায়ীদের ধরার অভিযান জোরদারের পাশাপাশি পুলিশেও শুরু হয় শুদ্ধি অভিযান। ২০১৯ সালের মে মাস থেকে কুষ্টিয়ায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের ডোপ টেস্ট করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই সময় সহেন্দভাজন ও প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রথম কয়েকজন পুলিশ সদস্যের ডোপ টেস্ট করানো হয়। গত দেড় বছরে পর্যায়ক্রমে ১২ জনের ডোপ টেস্ট করা হয়। পরীক্ষায় ১০ জন নিয়মিত মাদক সেবন করেন বলে রিপোর্ট (পজেটিভ) আসে। তারপর এসব পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্ত শুরু হয়। তদন্ত শেষে ৮ জনকে চাকরিচ্যুত করেছে পুলিশ অধিদপ্তর। মাদক সেবনকারী এসব পুলিশ সদস্য বিভিন্ন থানা ও ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন। বাকী দুইজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আরো দুইজনের বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত বলেন, মাদকের বিষয়টি ধরা পড়ার পর ওইসব পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার পাশাপাশি প্রথম দিকে অন্য জেলায় বদলি করা হয় তাদের। এর মধ্যে এক এসআইকে রাঙামাটিতে বদলি করা হয়। মাদক সেবনের বিষয়টি ধরা পড়া অন্য সবাইকে বিভিন্ন জেলায় বদলি করা হয়। আর যে দু’জনের বিরুদ্ধে মাদক সেবনের বিষয়ে অধিকতর তদন্ত চলছে তাদের মধ্যে ট্রাফিক পুলিশের এক সার্জেন্টকে কুষ্টিয়া পুলিশলাইনে সংযুক্ত রাখা হয়েছে।
পুলিশ সুপার বলেন, মাদকের সঙ্গে কোনো আপোস নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপিও মাদকের সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই, পুলিশে শুদ্ধি অভিযান চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat