×
ব্রেকিং নিউজ :
সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সরকারের লক্ষ্য : অর্থ প্রতিমন্ত্রী বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ৭ জন কারাগারে জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য বিসিবির প্রাথমিক দল ঘোষণা বান্দরবানের থানচি, রোমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাচন স্থগিত লেবাননে ইসরাইলি হামলায় ইরান সমর্থিত যোদ্ধা নিহত আগামীকাল ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী রাজস্ব আয় ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদের সকল উন্নয়নের পৃষ্ঠপোষক : স্পিকার স্থিতিশীল সরকার থাকায় দেশে উন্নয়ন হয়েছে : ওবায়দুল কাদের জাহাজভাঙা শিল্পে শ্রমিক নিরাপত্তার উদ্যোগ ভালো লেগেছে : সীতাকুন্ডে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস
  • প্রকাশিত : ২০২০-১২-০৪
  • ৭৩৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে গত ২৪ ঘন্টায় কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে ২৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৫৭২ জন।গতকালের চেয়ে আজ ১১ জন কম মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকাল ৩৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এখন পর্যন্ত দেশে এ ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন ৬ হাজার ৭৭২ জন। করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। গত ১৪ নভেম্বর থেকে মৃত্যুর একই হার বিদ্যমান রয়েছে।
আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৫৭২ জন। দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৯০ হাজার ৫৫১ জন। আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮২ দশমিক ৪৮ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৮২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। আগের দিনের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ১৫ শতাংশ বেশি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ১৪ হাজার ৪৩০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২ হাজার ২৫২ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ১৬ হাজার ৮০৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিলেন ২ হাজার ৩১৬ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ১৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ শনাক্তের হার দশমিক ৮১ শতাংশ বেশি।
দেশে এ পর্যন্ত মোট ২৮ লাখ ৩৬ হাজার ৪১১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৯৯১ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭১ শতাংশ। গতকাল পর্যন্ত এই হার ছিল ১৬ দশমিক ৭২ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৫২৭ জনের। আগের দিন সংগ্রহ করা হয়েছিল ১৬ হাজার ৮৩৮ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ১ হাজার ৩১১টি নমুনা কম সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশের ১১৮টি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৪ হাজার ৪৩০ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১৬ হাজার ৮০৭ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের চেয়ে ২ হাজার ৩৭৭টি কম নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত শনাক্ত ২৭৮৩ দশমিক ১৬ জন। সুস্থ হয়েছেন প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত ২২৯৫ দশমিক ৫৭ জন এবং প্রতি ১০ লাখে মারা গেছেন এ পর্যন্ত ৩৯ দশমিক ৭৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারী ২৪ জনের মধ্যে পুরুষ ২০ জন, আর নারী ৪ জন। এ পর্যন্ত পুরুষ মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ হাজার ১৮৪ জন, আর নারী মৃত্যুবরণ করেছেন ১ হাজার ৫৮৮ জন। শতকরা হিসেবে পুরুষ ৭৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ; নারী ২৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ। ২৪ ঘন্টায় ২৪ জনই হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের ১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ২ জন এবং ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ১৭ জন। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩৩ জন; যা দশমিক ৪৯ শতাংশ। ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৫৫ জন; যা দশমিক ৮১ শতাংশ। ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১৫২ জন; যা ২ দশমিক ২৪ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩৪৯ জন; যা ৫ দশমিক ১৫ শতাংশ; ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৮১৪ জন; যা ১২ দশমিক ০২ শতাংশ। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১ হাজার ৭৫৪ জন; যা ২৫ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সের রয়েছেন ৩ হাজার ৬১৫ জন; যা ৫৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
মৃত্যুবরণকারীদের বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘন্টায় ঢাকা বিভাগে ১৪ জন, ময়মনসিংহে ৩ জন, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে ২ জন করে এবং রাজশাহী, সিলেট ও রংপুর বিভাগে ১ জন করে মৃত্যুবরণ করেছেন। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৩ হাজার ৬৫৪ জন; যা ৫৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ২২১ জন; যা ১৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ। রাজশাহী বিভাগে ৪১০ জন; যা ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ। খুলনা বিভাগে ৪৯৯ জন; যা ৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ। বরিশাল বিভাগে ২২২ জন; যা ৩ দশমিক ২৮ শতাংশ। সিলেট বিভাগে ২৬৭ জন; যা ৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ। রংপুর বিভাগে ৩০৭ জন; যা ৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১৪২ জন; যা ২ দশমিক ১০ শতাংশ।
ঢাকা মহানগরীতে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৩ হাজার ৪০৪টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ১৩১ জন ও শয্যা খালি আছে ১ হাজার ২৭৩টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৩১৬টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি রোগী আছে ২১৫ জন ও শয্যা খালি আছে ১০১টি। চট্টগ্রাম মহানগরীতে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৮৩৪টি, ভর্তিকৃত রোগী ২৯৬ জন ও শয্যা খালি আছে ৫৩৮টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৪৩টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি আছে ১৯ জন ও শয্যা খালি আছে ২৪টি। সারাদেশে অন্যান্য হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৭ হাজার ১৬৪টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগী ৫৬৫ জন ও শয্যা খালি আছে ৬ হাজার ৫৯৯টি এবং আইসিইউ শয্যা রয়েছে ২১৯টি ও আইসিইউ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ৮৩ জন ও শয্যা খালি আছে ১৩৬টি। সারাদেশে হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ১১ হাজার ৪০২টি, রোগী ভর্তি আছে ২ হাজার ৯৯২ জন এবং শয্যা খালি আছে ৮ হাজার ৪১০টি। সারাদেশে আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৫৭৮টি, রোগী ভর্তি আছে ৩৩১৭ জন এবং খালি আছে ২৬১টি। সারাদেশে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা ১৩ হাজার ৬৬৮টি। সারাদেশে হাই ফ্লো নেজাল ক্যানেলা সংখ্যা ৬১৩টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ৪০৩টি।
০১৩১৩-৭৯১১৩০, ০১৩১৩-৭৯১১৩৮, ০১৩১৩৭৯১১৩৯ এবং ০১৩১৩৭৯১১৪০ এই নম্বরগুলো থেকে হাসপাতালের সকল তথ্য পাওয়া যাবে। কোন হাসপাতালে কতটি শয্যা খালি আছে। কত রোগী ভর্তি ও কতজন ছাড় পেয়েছেন এবং আইসিইউ শয্যা খালি আছে কি না এই ফোন নম্বরগুলোতে ফোন করে জানা যাবে। এছাড়া www.dghs.gov.bd এর CORONA কর্ণারে ‘করোনা বিষয়ক অভিযোগ প্রেরণ’ লিঙ্ক অথবা http:/app.dghs.gov.bd/covid19-complain লিঙ্ক ব্যবহার করে করোনা বিষয়ক যেকোন অভিযোগ পাঠানো যাবে।
গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হওয়া ২ হাজার ৫৭২ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ১ হাজার ৯১৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৬২ জন, রংপুর বিভাগে ৩৭ জন, খুলনা বিভাগে ৩১ জন, বরিশাল বিভাগে ২৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪৩ জন, সিলেট বিভাগে ২৬ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৪ জন সুস্থ হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘন্টায় কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৫৩ জন, আর কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৭৪৩ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৮৩ হাজার ৯৩৪ জন, আর এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৫ লাখ ৪২ হাজার ৩৪১ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪১ হাজার ৫৯৩ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ১৮০ জন, আর ছাড় পেয়েছেন ১৪২ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৯২ হাজার ১০৬ জন, আর ছাড় পেয়েছেন ৭৯ হাজার ১০৯ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১২ হাজার ৯৯৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশের বিমানবন্দর, নৌ, সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দর দিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ৬ হাজার ৩২২ জনসহ সর্বমোট বাংলাদেশে আগত ১২ লাখ ৮৪ হাজার ৭১৮ জনকে স্কিনিং করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ হটলাইন নম্বরে ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ২ হাজার ৬৪৫টি, ৩৩৩ এই নম্বরে ৪ হাজার ৭১৭টি এবং আইইডিসিআর’র হটলাইন ১০৬৫৫, এই নম্বরে ফোন এসেছে গত ২৪ ঘন্টায় ১৬৩টি। সব মিলিয়ে ২৪ ঘন্টায় ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ৭ হাজার ৫২৫টি। এ পর্যন্ত হটলাইনে ফোনকল এসেছে ২ কোটি ৩১ লাখ ১ হাজার ১টি।
কোভিড বিষয়ে হটলাইনে ২৪ ঘন্টায় ফোন করে স্বাস্থ্যসেবা নিয়েছেন ৩ হাজার ৪৭১ জন, এবং এ পর্যন্ত ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৫৬ জন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৯ লাখ ২৫ হাজার ২৮২ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১ লাখ ৬৬ হাজার ৩০১ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী সারাবিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬ কোটি ৩৯ লাখ ৬৫ হাজার ৯২ জন এবং ১৪ লাখ ৮৮ হাজার ১২০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat