×
ব্রেকিং নিউজ :
স্বাধীনতা আন্দোলনের পেছনে অন্যতম কারণ ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি : শিল্পমন্ত্রী ভুটানের রাজাকে কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দরে বিজিবির রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার প্রদান এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী তথ্য কমিশন বাংলাদেশ ৬টি অভিযোগের নিষ্পত্তি করেছে কৃষকের দামে তরমুজ বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন কৃষিমন্ত্রীর অবন্তিকার আত্মহত্যায় প্ররোচনা : জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন নামঞ্জুর উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন : পরিবেশমন্ত্রী কুল চেইন উন্নয়নের জন্য সমন্বিত নীতির বাস্তবায়ন চান শিল্প উদ্যোক্তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্নি চিকিৎসকদের কর্মবিরতি আন্দোলন প্রত্যাহার চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়
  • প্রকাশিত : ২০২০-১২-১৫
  • ৭০৮ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২৮৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। করোনার দ্বিতীয় প্রকোপকালে জেলায় এটি এক দিনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শনাক্ত। এদিন জেলায় মোট করোনাক্রান্তের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়িয়ে যায়। সংক্রমণের হার ১৫ দশমিক ৮১ শতাংশ। এ সময়ে করোনাক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে ৩০ নভেম্বর ১ হাজার ৪০৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে সাড়ে চার মাসের সর্বোচ্চ ২৯১ জন পজিটিভ পাওয়া যায়। সংক্রমণ হারও ছিল সবচেয়ে বেশি ২০ দশমিক ৭৩ শতাংশ। ২৩ নভেম্বর ২৪২ জন জীবাণুবাহক শনাক্ত হন। সংক্রমণ হার ছিল ১৯ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। করোনার প্রথম প্রকোপকালে ১৬ জুলাই ৩৯৯ জন শনাক্তের পর গতকাল ছিল চট্টগ্রামে বিগত পাঁচ মাসের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, গতকাল সোমবার নগরীর আটটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১ হাজার ৮০২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ২৮৫ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৫২ জন এবং আট উপজেলার ৩৩ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে পটিয়া ও রাউজানে ৭ জন করে, হাটহাজারীতে ৬ জন, বোয়ালখালীতে ৩ জন, চন্দনাইশ, সীতাকু- ও মিরসরাইয়ে ২ জন করে এবং রাঙ্গুনিয়া, লোহাগাড়া, সাতকানিয়া, আনোয়ারায় ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ২৮ হাজার ১১২ জনে দাঁড়ালো। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২১ হাজার ২৭২ জন ও গ্রামের ৬ হাজার ৫৮৮ জন।
গতকাল চট্টগ্রামে করোনাক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়। এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা এখন ৩৩৫ জন। এতে শহরের ২৩৯ জন ও গ্রামের ৯৬ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৪৭ জন। মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ২৬ হাজার ৫৯০ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ৩ হাজার ৬৮৮ জন এবং হোম আইসোলেশেনে থেকে ২২ হাজার ৯০২ জন। হোম আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ২০ জন ও ছাড়পত্র নেন ১৪ জন। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ১ হাজার ২১৬ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে। এখানে ৬৯৬ টি নমুনায় ৪০ টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ৫৯৭ জনের নমুনায় ৮৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস থাকার প্রমাণ মেলে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১১৭ জনের মধ্যে ৩৯ জন করোনাক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ৯৩ টি নমুনার ৮ টিতে করোনার জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ৩৭ টি নমুনা পরীক্ষা হলে ২৮ টির রেজাল্ট পজিটিভ পাওয়া যায়।
নগরীর বেসরকারি তিন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ১০৪ টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪১ টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৮০ টিতে ৩৪ টি এবং চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ২৬ টি নমুনায় ৮ টি করোনাক্রান্ত থাকার প্রমাণ মেলে। এদিন চট্টগ্রামের ৫২ টি নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবগুলোরই রেজাল্ট নেগেটিভ আসে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ৫ দশমিক ৭৫, চমেকে ১৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ, চবি’তে ৩৩ দশমিক ৩৩, সিভাসু’তে ৮ দশমিক ৬০, আরটিআরএল-এ ৭৫ দশমিক ৬৭, শেভরনে ৩৯ দশমিক ৪২, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৪২ দশমিক ৫০, মা ও শিশু হাসপাতালে ৩০ দশমিক ৭৭ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat