×
ব্রেকিং নিউজ :
দক্ষতার সাথে দ্রুত কাজ করার তাগিদ গণপূর্তমন্ত্রীর গোপালগঞ্জে মুকসুদপুরে অভিযোগ প্রতিকার বিষয়ক সমন্বয় সভা নড়াইলে দুস্থদের মাঝে বিনামূল্যে ছাগল বিতরণ বিলাইছড়িতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ পিরোজপুরে ঈদ-উল ফিতরে ৩ লক্ষ দরিদ্র মানুষ পাচ্ছে ৯০৯ মেট্রিক টন চাল প্রথম বাংলাদেশী আম্পায়ার হিসেবে আইসিসি এলিট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হলেন সৈকত রেলমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপনে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসায় ডোনাল্ড লু মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায় : ওবায়দুল কাদের
  • প্রকাশিত : ২০২০-১২-২২
  • ৬৩৪ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ও সংক্রমণ কমেছে, বেড়েছে সুস্থতার হার।
গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকালের চেয়ে আজ ১৫ জন কম মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকাল ৩২ জন মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এখন পর্যন্ত দেশে এ ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন ৭ হাজার ৩২৯ জন। করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। গতকালও মৃত্যুর একই হার ছিল।
আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ১৫ হাজার ১৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ৩১৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকালের চেয়ে আজ ১৫২ জন কম শনাক্ত হয়েছেন। গতকাল ১৫ হাজার ৬৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিলেন ১ হাজার ৪৭০ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ শনাক্তের হার দশমিক ৬৪ শতাংশ কম।
দেশে এ পর্যন্ত মোট ৩১ লাখ ৬ হাজার ৪৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫ লাখ ৩ হাজার ৫০১ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট পরীক্ষার ২৪ লাখ ৭১ হাজার ৬৬৯টি হয়েছে সরকারি এবং ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৮২৫টি হয়েছে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়। মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ২১ শতাংশ। গতকাল পর্যন্ত এই হার ছিল ১৬ দশমিক ২৪ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ২৩৫ জন। গতকালের চেয়ে আজ ৬৪ জন বেশি সুস্থ হয়েছেন। গতকাল সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ১৬৭ জন। দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯২৯ জন।
আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ। গতকাল সুস্থতার হার ছিল ৮৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ২১ শতাংশ বেশি।
বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৪৫২ জনের। আগের দিন সংগ্রহ করা হয়েছিল ১৫ হাজার ৪০৯ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ৪৩টি নমুনা বেশি সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশের সরকারি ৯৭ ও বেসরকারি ৬৪টিসহ ১৬১টি পরীক্ষাগারে (এন্টিজেন টেস্টসহ) নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৫ হাজার ১৪৫ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১৫ হাজার ৬৬৯ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের চেয়ে ৫২৪টি কম নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত শনাক্ত ২৯৫৬ দশমিক ৪৪ জন। সুস্থ হয়েছেন প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত ২৫৯৪ দশমিক ৯০ জন এবং প্রতি ১০ লাখে মারা গেছেন এ পর্যন্ত ৪৩ দশমিক ০৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারী ১৭ জনের মধ্যে পুরুষ ১১ জন, আর নারী ৬ জন। এ পর্যন্ত পুরুষ মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ হাজার ৫৮৬ জন, আর নারী মৃত্যুবরণ করেছেন ১ হাজার ৭৪৩ জন। শতকরা হিসেবে পুরুষ ৭৬ দশমিক ২২ শতাংশ; নারী ২৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ২৪ ঘন্টায় ১৬ জন হাসপাতালে এবং ১ জন বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৪১ থেকে ৫০ বছরের বছরের ২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৪ জন এবং ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ১১ জন। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩৪ জন; যা দশমিক ৪৬ শতাংশ। ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৫৬ জন; যা দশমিক ৭৬ শতাংশ। ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১৫৯ জন; যা ২ দশমিক ১৭ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩৬৯ জন; যা ৫ দশমিক ০৩ শতাংশ; ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৮৬১ জন; যা ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১ হাজার ৮৭০ জন; যা ২৫ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সের রয়েছেন ৩ হাজার ৯৮০ জন; যা ৫৪ দশমিক ৩০ শতাংশ।
মৃত্যুবরণকারীদের বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘন্টায় ঢাকা বিভাগে ৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪ জন, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও রংপুর বিভাগে ১ জন করে মৃত্যুবরণ করেছেন। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৪ হাজার ৫ জন; যা ৫৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ৩৩৬ জন; যা ১৮ দশমিক ৬০ শতাংশ। রাজশাহী বিভাগে ৪৩০ জন; যা ৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ। খুলনা বিভাগে ৫১৮ জন; যা ৭ দশমিক ০৭ শতাংশ। বরিশাল বিভাগে ২৩৫ জন; যা ৩ দশমিক ২১ শতাংশ। সিলেট বিভাগে ২৯০ জন; যা ৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ। রংপুর বিভাগে ৩২৯ জন; যা ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১৫৯ জন; যা ২ দশমিক ১৭ শতাংশ।
ঢাকা মহানগরীতে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৩ হাজার ২৮৪টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৬৮১ জন ও শয্যা খালি আছে ১ হাজার ৬০৩টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ২৮৬টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি রোগী আছে ২০৭ জন ও শয্যা খালি আছে ৭৯টি। চট্টগ্রাম মহানগরীতে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৬৮৭টি, ভর্তিকৃত রোগী ২৮২ জন ও শয্যা খালি আছে ৪০৫টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৪৫টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি আছে ২০ জন ও শয্যা খালি আছে ২৫টি। সারাদেশে অন্যান্য হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৬ হাজার ৫৩৯টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগী ৫৫৯ জন ও শয্যা খালি আছে ৫ হাজার ৯৮০টি এবং আইসিইউ শয্যা রয়েছে ২৪৭টি ও আইসিইউ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ৮৮ জন ও শয্যা খালি আছে ১৫৯টি। সারাদেশে হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ১০ হাজার ৫১০টি, রোগী ভর্তি আছে ২ হাজার ৫২২ জন এবং শয্যা খালি আছে ৭ হাজার ৯৮৮টি। সারাদেশে আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৫৭৮টি, রোগী ভর্তি আছে ৩১৫ জন এবং খালি আছে ২৬৩টি। সারাদেশে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা ১৩ হাজার ৪১০টি। সারাদেশে হাই ফ্লো নেজাল ক্যানেলা সংখ্যা ৬৭৭টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ৬৩৭টি।
০১৩১৩-৭৯১১৩০, ০১৩১৩-৭৯১১৩৮, ০১৩১৩৭৯১১৩৯ এবং ০১৩১৩৭৯১১৪০ এই নম্বরগুলো থেকে হাসপাতালের সকল তথ্য পাওয়া যাবে। কোন হাসপাতালে কতটি শয্যা খালি আছে। কত রোগী ভর্তি ও কতজন ছাড় পেয়েছেন এবং আইসিইউ শয্যা খালি আছে কি না এই ফোন নম্বরগুলোতে ফোন করে জানা যাবে। এছাড়া www.dghs.gov.bd এর CORONA কর্ণারে ‘করোনা বিষয়ক অভিযোগ প্রেরণ’ লিঙ্ক অথবা http:/app.dghs.gov.bd/covid19-complain লিঙ্ক ব্যবহার করে করোনা বিষয়ক যেকোন অভিযোগ পাঠানো যাবে।
গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হওয়া ২ হাজার ২৩৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ১ হাজার ৬৪৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৮২ জন, রংপুর বিভাগে ৬৭ জন, খুলনা বিভাগে ৩৭ জন, বরিশাল বিভাগে ২৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ২০ জন, সিলেট বিভাগে ৩৮ জন এবং ময়মনসিংহে ২০ জন সুস্থ হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘন্টায় কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ৮১৪ জন, আর কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৭৬৭ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৯৮ হাজার ৬৭৬ জন, আর এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৫ লাখ ৫৯ হাজার ২১১ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩৯ হাজার ৪৬৫ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ১৮২ জন, আর ছাড় পেয়েছেন ২৪৫ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৯৫ হাজার ২৫০ জন, আর ছাড় পেয়েছেন ৮৩ হাজার ২৫৮ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১১ হাজার ৯৯২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশের বিমানবন্দর, নৌ, সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দর দিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ৪ হাজার ৪০৭ জনসহ সর্বমোট বাংলাদেশে আগত ১৩ লাখ ৮৬ হাজার ৮৩৭ জনকে স্কিনিং করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ হটলাইন নম্বরে ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ২ হাজার ২১৬টি, ৩৩৩ এই হটলাইন নম্বরে ৪ হাজার ৭৩৭টি এবং আইইডিসিআর’র হটলাইন ১০৬৫৫, এই নম্বরে ফোন এসেছে গত ২৪ ঘন্টায় ১৫৭টি। সব মিলিয়ে ২৪ ঘন্টায় ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ৭ হাজার ১১০টি। এ পর্যন্ত হটলাইনে ফোনকল এসেছে ২ কোটি ৩২ লাখ ১৭ হাজার ২১৯টি।
কোভিড বিষয়ে হটলাইনে ২৪ ঘন্টায় ফোন করে স্বাস্থ্যসেবা নিয়েছেন ৩ হাজার ২৯০ জন, এবং এ পর্যন্ত ৬ লাখ ৪৩ হাজার ৫০৯ জন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ১৬ লাখ ৪৬ হাজার ৩২১ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১ লাখ ৭৭ হাজার ৪৬৬ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী সারাবিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭ কোটি ৫৭ লাখ ৪ হাজার ৮৫৭ জন এবং ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৬১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat