×
ব্রেকিং নিউজ :
দেশের উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ৬৪ জেলার স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি উল্লাপাড়ায় জামাত নেতার সাথে ছবি ভাইরালের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন দিনাজপুরে নাশকতার মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৩০ নেতাকর্মী জেলহাজতে কুমিল্লায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন রাঙ্গামাটিতে প্রাণি সম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন স্কাউটিংয়ের মূল দর্শন, কর্মসূচি ও কার্যক্রমগুলোতে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের আহবান শিক্ষামন্ত্রীর বার কাউন্সিল এনরোলমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ আশফাকুল ইসলাম বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদপত্র বিতরণ প্রাণি ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
  • প্রকাশিত : ২০২১-০১-১৪
  • ৬১৯ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, উন্নয়নের পূর্বশর্ত যোগাযোগ। এই জন্যই মুজিববর্ষে স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে মুজিবনগর-নদীয়া হয়ে কলকাতা পর্যন্ত ‘স্বাধীনতা সড়ক’ চালু হতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, মুজিবনগর সরকার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সমৃদ্ধ করতে সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে। ইমিগ্রেশন, কাস্টমস চেকপোস্ট, সড়ক নির্মাণসহ সকল কাজ সম্পূর্ণ করা হলে ‘স্বাধীনতা সড়কটি’ বাস্তবে রূপ নেবে। ইতিহাসের সাক্ষী মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আমবাগান ঘেরা গ্রাম। এখন মুজিবনগর। এখানেই ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রথম সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেন। তারা সবাই সড়ক পথে বিদেশি সংবাদকর্মি ও মুক্তিযোদ্ধাসহ ভারতের কলকাতা থেকে নদীয়া হয়ে মেহেরপুরের মুজিবনগর আসেন। এখানেই গড়ে তোলা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন মুজিবনগর কমপ্লেক্স। বাংলাদেশের মানচিত্র আর বিভিন্ন ভাস্কর্যের মাধ্যমে স্বাধীনতার ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রী মুজিবনগরে স্বাধীনতা সড়ক পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, এই সড়কের ফলে দু‘দেশের সম্পর্ক যেমন মজবুত হবে তেমনি এলাকার উন্নয়ন হবে। মুজিবনগর পর্যটন কেন্দ্রও সমৃদ্ধ হবে। মেহেরপুরের মুজিবনগর থেকে ভারতের নদীয়ার কৃষ্ণনগর পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সড়কের মাত্র ৩০০ মিটার ইটের সোলিং করা। এটুকু পাকা করে সড়কটি প্রসস্ত করলেই স্বাধীনতা সড়কটি উন্মুক্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। প্রস্তাবিত স্বাধীনতা সড়ক নির্মাণে ১ কোটি ৪ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
এসময় জন প্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি বলেন, এ সড়কের মাধ্যমেই মুজিবনগরে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বীজ বপন হয়। কিন্তু দেশ স্বাধীনের পর বন্ধ হয়ে যায় ঐতিহাসিক এ সড়কটি। মুজিবনগরের স্মৃতি রক্ষার্থে সরকার স্বাধীনতা সড়কটি উন্মুক্ত করতে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। কাস্টমসসহ অন্যান্য দফতরগুলো এখানে কাজ করছে।
আকাশপথে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ও জন প্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন হেলিকপ্টারযোগে মুজিবনগর হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন। মন্ত্রীদ্বয় মুজিবনগর পর্যটন মোটেল চত্বরে গার্ড অব অনার গ্রহণ শেষে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান। এরপর মুজিবনগরে স্বাধীনতা সড়ক পরিদর্শন করেন।
পরে মুজিবনগর পর্যটন মোটেলে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে ‘স্বাধীনতা সড়ক’ (মুজিবনগর-কোলকাতা) বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে জন প্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি, মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুর রশিদ খান, জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান, মেহেরপুরের পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat