×
ব্রেকিং নিউজ :
সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সরকারের লক্ষ্য : অর্থ প্রতিমন্ত্রী বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ৭ জন কারাগারে জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য বিসিবির প্রাথমিক দল ঘোষণা বান্দরবানের থানচি, রোমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাচন স্থগিত লেবাননে ইসরাইলি হামলায় ইরান সমর্থিত যোদ্ধা নিহত আগামীকাল ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী রাজস্ব আয় ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদের সকল উন্নয়নের পৃষ্ঠপোষক : স্পিকার স্থিতিশীল সরকার থাকায় দেশে উন্নয়ন হয়েছে : ওবায়দুল কাদের জাহাজভাঙা শিল্পে শ্রমিক নিরাপত্তার উদ্যোগ ভালো লেগেছে : সীতাকুন্ডে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস
  • প্রকাশিত : ২০২১-০২-০৩
  • ৬৪৫ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এর মধ্যে কারিগরী সহায়তা প্রকল্প সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আজ বুধবার রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ভবনের বিজয় একাত্তর হলে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল কাইয়ুম সরকার এবং জাইকা এর পক্ষে জাইকার প্রতিনিধি ইউহো হায়াকাওয়া রেকর্ড অফ ডিসকাশনে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এছাড়াও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মৎ নাজমানারা খানুম, জাপানের রাষ্ট্রদূত এইচ ই নাওকি ইতো, ইআরডি এর অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আকতার উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তির মধ্যে যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে তা হলো; কর্মকর্তাগণের প্রশিক্ষণ; বিভিন্ন প্রকার নীতি প্রণয়ন; মানসম্মত কার্যপদ্ধতি প্রণয়ন; যুগোপযোগী গাইডলাইন তৈরী; কৌশলগত পরিকল্পনা ২০২১-২০২৬ প্রণয়ন; বিভিন্ন প্রকার রেফারেন্স ল্যাব স্থাপন; বিশেষজ্ঞ পরামর্শক নিয়োগ ইত্যাদি।
অনুষ্ঠানে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আমাদের চাষযোগ্য জমির পরিমাণ মাথাপিছু অন্য অনেক দেশের চেয়ে কম এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব পৃথিবীর সর্বোচ্চ। তাসত্ত্বেও বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে ২০১৩ সালে নিরাপদ খাদ্য আইন এবং ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এটা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করা হয়েছে। খাদ্যে ভেজাল বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ ব্যক্ত করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদেরকে দক্ষতা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে নেতৃত্ব দিতে হবে। আর বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা অর্জন করার জন্য জনবলের দক্ষতা; কারিগরি জ্ঞান; ট্রেনিং এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির বিকল্প নাই।
স্বাধীন বাংলাদেশের শুরু থেকেই বন্ধুরাষ্ট্র জাপান উন্নয়ন কর্মকান্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দুই দেশের মধ্যে সুদৃঢ় ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এদেশে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে সহায়তা প্রদান করলেও নিরাপদ খাদ্যের জন্য এ প্রকল্পটি প্রথম উদ্যোগ।
সা¤প্রতিককালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি দেখার মতো উল্লেখ করে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এই প্রজেক্টের মাধ্যমে বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। জাপান সরকারের জাইকা বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতেও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে তিনি জানান।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে নজর অ্যাপসে’র মাধ্যমে রাজধানীর নবাবী ভোজ রেস্তোরাঁর দুটি আউটলেট ও ফার্স রেস্তোরাঁয় মনিটরিং কার্যক্রম উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat