×
ব্রেকিং নিউজ :
দক্ষতার সাথে দ্রুত কাজ করার তাগিদ গণপূর্তমন্ত্রীর গোপালগঞ্জে মুকসুদপুরে অভিযোগ প্রতিকার বিষয়ক সমন্বয় সভা নড়াইলে দুস্থদের মাঝে বিনামূল্যে ছাগল বিতরণ বিলাইছড়িতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ পিরোজপুরে ঈদ-উল ফিতরে ৩ লক্ষ দরিদ্র মানুষ পাচ্ছে ৯০৯ মেট্রিক টন চাল প্রথম বাংলাদেশী আম্পায়ার হিসেবে আইসিসি এলিট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হলেন সৈকত রেলমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপনে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসায় ডোনাল্ড লু মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায় : ওবায়দুল কাদের
  • প্রকাশিত : ২০২১-০৬-০১
  • ৭৮২ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

নাটোর জেলায় এক লাখ ৬৬ হাজার ৬৩৫ টন বাৎসরিক চাহিদার বিপরীতে বাৎসরিক দুধ উৎপাদন হচ্ছে এক লাখ ৯০ হাজার টন দুধ। অর্থাৎ জেলার জনসমষ্টির চাহিদা পূরণ করে বছরে উদ্বৃত্ত দুধের পরিমাণ ২৩ হাজার ৩৬৪ টন।
বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার বেলা এগারোটায় নাটোর জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়। নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজ মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় সভা প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন জেলা প্রাণিসসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ গোলাম মোস্তফা। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর গোলাম মওলা খান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সুব্রত কুমার সরকার, নাটোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শরিফুল ইসলাম রমজান, জজকোর্টের পিপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল ইসলঅম,নাটোর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলুর রহমান মহসীন, নাটোর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সেলিম এবং দুগ্ধ খামারী জয়নাল আবেদীন।
সভায় জানানো হয়, জেলার মোট জনসংখ্যা ১৮ লাখ ২৬ হাজার ১৪০ জন। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশেষ করে করোনা সংক্রমণকালীন সময়ে প্রত্যেক ব্যক্তির প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ পান করা উচিৎ। মেধাবী জাতি গঠনে দুধের ভূমিকা সর্বাধিক। প্রতিদিন জেলার প্রত্যেক ব্যক্তির ২৫০ মিলিলিটার দুধের চাহিদা পূরণ শেষে ২৩ হাজার ৩৬৪ টন দুধ উদ্বৃত্ত থাকছে। উদ্বৃত্ত দুধ যাচ্ছে দেশের ঘাটতি এলাকাগুলোতে।
সভায় আরো জানানো, বারো বছর আগে ২০০৮-২০০৯ অর্থ বছরে জেলায় দুধের মোট উৎপাদন ছিল মাত্র ৬০ হাজার ৫০০ টন। প্রাণিসম্পদ বিভাগে সরকারের উৎপাদনমুখী বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়নের ফলে জেলায় দুগ্ধ খামারীর সংখ্যা ও খামারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ইতিবাচক প্রভাব হিসেবে বিগত বারো বছরে জেলায় ক্রমান্বয়ে দুধের উৎপাদন তিনগুণেরও অধিক বেড়ে বর্তমান অর্থবছরে এক লাখ ৯০ হাজার টন হয়েছে। জেলায় ডিম ও মাংসের উৎপাদনও উদ্বৃত্ত বলে সভায় উল্লেখ করা হয়।
জেলা প্রাণিসসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ গোলাম মোস্তফা বাসস’কে জানান, বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ও দুগ্ধ সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্যে চিত্রাংকন, রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজন শেষে পুরষ্কার বিতরণ করা হবে। সরকারি শিশু পরিবার, শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এতিমখানার এক হাজার শিশুকে টি-শার্ট প্রদান ও দুধ পান করানো হবে। এছাড়া জেলার সকল উপজেলা পর্যায়ে ৫ জুন প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্প, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এসব আয়োজনে সহযোগিতা প্রদান করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat