×
ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনার প্রচেষ্টা আছে সরকারের : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী জাতির পিতার সমাধিতে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন জাতির পিতার সমাধিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপ-উপাচার্যের শ্রদ্ধা দিনাজপুরে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর বাম্পার ফলন তাপপ্রবাহে টুঙ্গিপাড়ায় প্রশান্তির নীড় ‘কৃষক সেড’ দিনাজপুরে ৭ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা এসটিপি ছাড়া নতুন বিল্ডিং করার অনুমোদন নয় : গণপূর্ত মন্ত্রী ঢাকা-ব্যাংকক রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করবে নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে সরকার নিরন্তর কাজ করছে : মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শেরেবাংলার অসীম মমত্ববোধ, কর্মপ্রচেষ্টা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে : শেখ হাসিনা
  • প্রকাশিত : ২০২১-০৮-০৬
  • ৩৩৭ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, শোককে শক্তিতে রূপান্তরের দীক্ষা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি সবসময় রবীন্দ্র সাহিত্যে মুক্তির দিশা খুঁজে পেয়েছেন এবং সেই মুক্তিমন্ত্রকে জাতির মুক্তির সংগ্রামে কাজে লাগিয়েছেন।
আজ শুক্রবার বিশ^কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮০তম প্রয়াণবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলা একাডেমি আয়োজিত ওয়েবিনারে আলাচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন,আগস্ট বাঙালির শোকের মাস। এই মাসে আমরা রবীন্দ্রনাথ আর নজরুলকে হারিয়েছি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেও হারিয়েছি । বৈশি^ক পরিসরেও আমরা দেখি ১৯৪৫ সালের ৬ই আগস্ট জাপানের হিরোশিমা এবং ৯ই আগস্ট নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমার ভয়াবহ বিস্ফোরণের ইতিহাস।
অনুষ্ঠানে, ‘পূর্ববঙ্গ থেকে বাংলাদেশ : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও শেখ মুজিবুর রহমান’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। 
আলোচনায় যুক্ত হন অধ্যাপক বেগম আকতার কামাল এবং অধ্যাপক অনীক মাহমুদ। ‘আমারে তুমি অশেষ করেছ’ শীর্ষক রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী অদিতি মহসিন এবং রবীন্দ্রকবিতা ‘অনুগ্রহ’-এর আবৃত্তি পরিবেশন করেন বাচিকশিল্পী রুবীনা আজাদ। 
বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তৃতা করেন একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা।
সেলিনা হোসেন জানান,পূর্ববঙ্গ থেকে বাংলাদেশ দুজন মহান মানুষের সামনে ছিল স্বপ্নের ভূমি। তাঁরা পূর্ববঙ্গ আলোকিত করে নিজেদের প্রজ্ঞা ও জ্ঞান ছড়িয়েছেন বাঙালির মানব সচেতনতায়। উপহার দিয়েছেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। বাঙালির জাতিকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন আন্তর্জাতিক বিশে^। ১৯১৩ সালে বিশ^কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭৪ সালের ২৫শে সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘে বাংলা ভাষায় ভাষণ দেন স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে।এভাবে এই দু’জনের মাধ্যমেই মূলত বাংলা-বাঙালির দিগদর্শন ছড়িয়ে পড়ে বিশে^র মানচিত্রে।
একাডেমির মহাপরিচালক জানান, রবীন্দ্রনাথের ‘সোনার বাংলা’র ধারণা বঙ্গবন্ধুর কুশলী নেতৃত্বে পরিপূর্ণতা লাভ করে। রবীন্দ্রনাথ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে শিখরস্পর্শী করেন আর বঙ্গবন্ধু স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বাঙালির স্বপ্নসাধকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেন।
অনুষ্ঠানটি বাংলা একাডেমির ফেসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
facebook.com/banglaacademy.gov.bd/live
এদিকে, বাংলা একাডেমি সূত্র জানায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আগামী ৮ আগস্ট রোববার ‘শোক ও শক্তির মাস আগস্ট ২০২১’ শিরোনামে বাংলা একাডেমি আয়োজিত মাসব্যাপী আলাচনা সভা, বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কবিতাপাঠ ও আবৃত্তি অনুষ্ঠান  হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat