×
ব্রেকিং নিউজ :
প্রথম বাংলাদেশী আম্পায়ার হিসেবে আইসিসি এলিট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হলেন সৈকত রেলমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপনে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসায় ডোনাল্ড লু মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায় : ওবায়দুল কাদের আইপিইউ’র গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে স্পিকার ভুটানের রাজার কুড়িগ্রাম বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন গাজা হত্যাযজ্ঞে নিশ্চুপ শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূস ইসরায়েলির পুরস্কার নিয়ে গণহত্যার পক্ষ নিয়েছেন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বাধীনতা আন্দোলনের পেছনে অন্যতম কারণ ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি : শিল্পমন্ত্রী ভুটানের রাজাকে কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দরে বিজিবির রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার প্রদান
  • প্রকাশিত : ২০২১-১১-০৬
  • ৬৯০ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মিরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার এক পঞ্চমাংশ শিশু ও কিশোর-কিশোরী। তাদের মধ্যে অসচেতনতার কারণে অনেকে অপুষ্টি ও রক্তশূন্যতায় ভূগছে। সকলের আন্তরিকতা ও সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে সারাদেশে পুষ্টিসেবা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা সম্ভব। 
আজ শনিবার সকালে নগরীর জিইসি মোড়স্থ পেনিনসুলা হোটেলের ডালিয়া হলে আয়োজিত ‘মাল্টি-সেক্টরাল নিউট্রিশন কো-অর্ডিনেশনে সহায়তাকরণ’ বিষয়ক বিভাগীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এনএনএস, আইপিএইচএন ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করে।
অধ্যাপক ডা. মিরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা বর্তমান সরকারের স্বাস্থ্যবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাদেশে পুষ্টিসেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দেশের সকল বিশেষায়িত জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কমিউনিটি ক্লিনিকে পুষ্টি কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে সর্বত্র স্বাস্থ্য ও পুষ্টির ক্ষেত্রে দৃশ্যমান পরিবর্তন আনা হচ্ছে। পাশাপাশি দেশের অনুমোদিত স্কুল, মাদ্রাসা ও এতিমখানাগুলোতে পুষ্টি কার্যক্রম বেগবান করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। 
তিনি বলেন, প্যাকেজ প্রোগ্রামের মাধ্যমে জাতীয় নিউট্রিশন কার্যক্রম জোরদার করতে সংশ্লিষ্টদেরকে আরও আন্তরিক হতে হবে। নোয়াখালীর ভাসানচরে অবস্থানরত শিশু-কিশোরদের পুষ্টি সেবার আওতায় আনতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য সচেতনতায় সারাদেশে বিদ্যালয়গুলোতে ক্ষুদ ডাক্তার পুষ্টি সেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সুস্থ সবল জাতি গঠনে পুষ্টিকর খাবারের কোন বিকল্প নেই।  
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় পুষ্টি সেবা প্রতিষ্ঠানের লাইন ডাইরেক্টর ডা. এসএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অপুষ্টি একটি জাতীয় সমস্যা। তা সমাধানের পথ খুঁেজ বের করা সকলের দায়িত্ব। খাদ্যের কথা ভাবলে পুষ্টির কথাও ভাবতে হবে। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য পুষ্টিকর খাবার অত্যন্ত প্রয়োজন। নতুবা জন্মের পর শিশু অপুষ্টিতে ভূগে বিকলাঙ্গসহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। জন্মের পর পর যে শিশুকে মায়ের দুধ ছাড়া অন্য কোন বিকল্প খাবার দেয়া হবে না সে শিশু ভবিষ্যতে সুস্থ ও মেধাবী হবে। এসডিজির গোল অর্জনসহ কিশোর-কিশোরীদেরকে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ে সচেতন করতে সরকার সারাদেশে একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে সর্বত্র ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখতে হবে। তাহলে এ কর্মশালা গুরুত্ব পাবে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীরের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের আউটব্রেক ইনভেস্টিগেশন অফিসার (আইডিসিআর) ডা. মুশতারী মমতাজ মিমির সঞ্চালনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় পুষ্টি সেবা প্রতিষ্ঠানের লাইন ডাইরেক্টর ডা. এসএম মোস্তাফিজুর রহমান ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. সাখাওয়াত উল্ল্যাহ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী। 
মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে জাতীয় নিউট্রিশন কার্যক্রম বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় পুষ্টি সেবা প্রতিষ্ঠানের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার (ডিপিএম) ডা. নন্দলাল সুত্রধর ও ডিপিএম ডা. মাহফুজা হক ডালিয়া। কর্মশালায় অংশ নেন চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মো. আবদুর রব, বান্দরবান জেলা সিভিল সার্জন ডা. অং সুই প্রু  মার্মা, কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইন, নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার, চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. সাজেদা বেগম পলিন, লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. নাজিয়া বিনতে আমিন প্রমুখ। 
চট্টগ্রাম বিভাগের অধীন ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ৬টি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, ১১ জেলার সিভিল সার্জন, বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তাবৃন্দ কর্মশালায় অংশ নেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat