×
ব্রেকিং নিউজ :
রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের স্মার্ট কার্ড প্রদানের সুপারিশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয় স্থায়ী কমিটি এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল দিতে সরকার নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসছে : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডেপুটি স্পিকারের সঙ্গে চীনের প্রাদেশিক কংগ্রেসের ভাইস চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পেলে নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হবে : মেয়র তাপস বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে মরিশাসের প্রতি আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা কক্সবাজারে ভোটার তালিকায় থাকা রোহিঙ্গাদের তালিকা চেয়ে হাইকোর্ট আদেশ মন্ত্রী-এমপি’র স্বজনরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের
  • প্রকাশিত : ২০২১-১১-২১
  • ৬৮২ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

ভোলা জেলায় চীফ জুডিসিয়াল আদালত ভবন নির্মাণ কাজ ৭০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। শহরের গাজীপুর রোডস্থ জেলা ও দায়রা জজ আদালত ক্যাম্পাসে ৮ তলা বিশিষ্ট স্থাপনাটি নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। গণপুর্ত বিভাগের বাস্তবায়নে ১২ হাজার ৭২৩ বর্গফুট এলাকায় ভবনটি নির্মিত হচ্ছে ১২ তলা ফাউন্ডেশনের ভিত্তিতে। অত্যাধনিক ভবনটিতে সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিাধা থাকছে।
জেলা গণপুর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রেকৌশলী কাজী শরিফউদ্দিন আহমেদ জানান, ভবনটি নির্মাণে ইতোমধ্যে ৭০ ভাগ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। স্থাপনাটির ভিম, কলাম, ছাদ ঢালাই, প্লাসটারসহ অনেক কাজই শেষ হয়েছে। বর্তমানে টাইলস, দরজা, থাই, ইলেকট্রনিক্স ফিটিংস, স্যানেটারিসহ অনান্য আনুসাঙ্গিক কাজ চলছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে এটির কাজ সমাপ্ত হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে চীফ জুডিসিয়াল আদালত ভবন নির্মাণের মধ্যে দিয়ে ভোলাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি পূরণ হতে চলছে। দীর্ঘদিন ধরে জেলা জজ আদালতের সল্প পরিসরে ফৌজদারি কোর্টের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। এতে করে বিভিন্ন সময়ে মামলার কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। বর্তমানে একই কক্ষ ২জন বিচারক খাস কামরা হিসেবে ব্যবহার করেন। কক্ষ সংকটের কারণে একই এজলাস সময় পরিবর্তন করে ২জন বিচারক ব্যবহার করেন। অনেক সময় স্থান সংকুলান না হওয়ায় নির্ধারিত সময়ে মামলা উত্থাপনে বেগ পতে হয়।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আবু তাহের বলেন, দেওয়ানী ও ফৌজদারি কোর্টের কার্যক্রম একই ভবনে হওয়ায় চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। চীফ জুডিসিয়াল আদালত ভবন চালু হলে জেলার সদর উপজেলাসহ বোরহানউদ্দিন, দৌলতখান, লালমোহন, তজুমুদ্দিন উপজেলার ১০ লাখেরও বেশি মানুষ নিত্য ভোগান্তির হাত থেকে রক্ষা পাবে।
আদালত সূত্র জানায়, চীফ জুডিসিয়াল আদালতে দৈনিক গড়ে প্রায় ৩০টির উপরে মামলা উত্থাপন করা হয়। মাসে প্রায় ১’শ টিরও বেশি মামলা নিস্পত্তি হয় এখান থেকে। আদালতের নেজারত শাখা, রেকর্ড শাখা, নকল ও লাইব্রেরী শাখায় দেখা যায় এলোমেলো অবস্থা। স্টাফদের ঠিক মত বসার জায়গা নেই। আসবাব পত্র রাখা যায়না সঠিকভাবে। স্টোর রুম না থাকাতে স্টেসনারি মালামাল ফ্লোরে রাখতে হচ্ছে। রেকর্ড রুমে জায়গা না হওয়াতে নিস্পত্তিমূলক মামলার নথীসমূহ ফ্লোরে রাখতে দেখা গেছে।
গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, এখানে এজলাস ভবন থাকছে ৯টি। রেকর্ড রুম থাকছে বেশ কটি। আধুনিক লাইব্রেরী, লিগ্যাল এইডের জন্য আলাদা আলাদা কক্ষ থাকছে। এছাড়া ভবনটিতে ২টি সার্বক্ষণিক লিফটসহ যাবতীয় আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা থাকছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat