আট মাস পর ৩৭৯ জনকে পাঠানোর মধ্য দিয়ে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় পতেঙ্গাস্থ বোট ক্লাব থেকে নৌবাহিনীর একটি জাহাজে করে তাদের নোয়াখালীর ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল মোজাম্মেল হক বোট ক্লাবে এসে রোহিঙ্গাদের এ গ্রুপকে বিদায় জানান। ৩৭৯ জনের গ্রুপে রয়েছে ১৩২ জন পুরুষ, ৯৮ জন মহিলা ও ১৪৯ জন শিশু।
এর আগে উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ৩৭৯ জন রোহিঙ্গাকে গতকাল বুধবার বাসযোগে চট্টগ্রামের বিএএফ শাহীন কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে আনা হয়। সেখানে তাদের রাতের খাবার ও থাকার ব্যবস্থা করা হয়। ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম পর্যায়ের প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ রোহিঙ্গাকে ভাসানচর নিয়ে যাওয়া হয়। এ পর্যায়ে ছয় দফায় ১৮ হাজার ৪০০ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।
উখিয়া ও টেকনাফে রোহিঙ্গাদের চাপ সামাল দেয়ার লক্ষ্যে নোয়াখালীর ভাসানচরে এক লাখ জনকে স্থানান্তরের লক্ষ্যে সেখানে অধিকতর সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। প্রথম পর্যায়ের স্থানান্তর শেষে নানা জটিলতায় স্থানান্তর প্রক্রিয়া বিঘিœত হয়। গত ১ নভেম্বর ইউএনএইচসিআর ও জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল ভাসানচর পরিদর্শনে যায়। তারা সেখানকার সুযোগ-সুবিধা ও পরিবেশ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করলে রোহিঙ্গাদের ভাসানচর স্থানান্তরের প্রক্রিয়া আবার শুরুর প্রস্তুতি নেয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে আজ দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হলো।