ইরান সোমবার বলেছে, তারা এ সপ্তাহে উপসাগরীয় একটি দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পরোক্ষ আলোচনা ফের শুরু করবে। ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি রক্ষায় বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তেহরান এ আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে। খবর এএফপি’র।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ব্লকের শীর্ষ কূটনীতিক জোসেফ বোরেল তেহরানে শনিবার বলেন, ইরান ও বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর মধ্যে ভিয়েনায় বৃহত্তর পরিসরে পৃথকভাবে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। ইইউ’র মধ্যস্থতায় এ আলোচনা হতে যাচ্ছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খতিবজাদা বলেন, আলোচনায় তেহরানের ওপর ওয়াশিংটনের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।
ঐতিহাসিক এ চুক্তি ২০১৮ সাল থেকে দৃশ্যতঃ ঝুলে রয়েছে, কারন ওই সময় তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে এ চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসে আমেরিকার চির শত্রু দেশ ইরানের ওপর কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এ চুক্তিতে ফিরে আসার আগ্রহ ব্যক্ত করে বলেছে, তেহরানের সাথে অগ্রসর হতে এটি হবে উত্তম পথ।
খতিবজাদা বলেন, ‘এ ব্যাপারে আগামী দিনগুলোতে আমরা বিদ্যমান মতপার্থক্য দূর করা ও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া নিয়ে কাজ করবো, পরমাণু ইস্যু নিয়ে নয়।’ তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আশা করি, এসব আলোচনা থেকে ইতিবাচক ফল বেরিয়ে আসবে।’ তবে তিনি এও বলেন, ‘ওয়াশিংটন সেভাবে সাড়া দিলেই আমরা কাজটা দ্রুত করতে পারবো, কেননা বলটা তো ওয়াশিঙটনেরই কোর্টে।’
শনিবার তেহরানে আলোচনার পর ইইউ’র কুটনীতিক বোরেল বলেন, পরমাণু চুক্তি রক্ষার এ আলোচনা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ফের শুরু হবে।