×
ব্রেকিং নিউজ :
কুল চেইন উন্নয়নের জন্য সমন্বিত নীতির বাস্তবায়ন চান শিল্প উদ্যোক্তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্নি চিকিৎসকদের কর্মবিরতি আন্দোলন প্রত্যাহার চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান পণ্যের দাম বাড়াতেই বিএনপির ভারত বর্জন কর্মসূচি : নাছিম কর্ণফুলী নদীতে ফিশিং বোটে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৪ জনকে চমেকে ভর্তি যুক্তরাষ্ট্রে ছুরি হামলায় ৪ জন নিহত নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করতে রুশ গোয়েন্দা প্রধানের উ.কোরিয়া সফর : কেসিএনএ গাজায় কয়েকটি হাসপাতালের আশপাশে ইসরায়েল হামাস তুমুল লড়াই চলছে যখন দলকে আর সহযোগিতা করতে পারবো না তখন অবসরে যাব : মেসি
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৭-০১
  • ৫৬৫ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম জেলায় সাড়ে ৪ মাস পর করোনায় আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৫২ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। সংক্রমণ হার ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর সরকারি-বেসরকারি নয় ল্যাবে গতকাল বৃহম্পতিবার চট্টগ্রামের ৪৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ৫২ পজিটিভের মধ্যে শহরের ৪৪ এবং উপজেলার ৮ জন। জেলায় করোনায় মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ২৭ হাজার ২৫৮ জন। এর মধ্যে শহরের ৯২ হাজার ৬০৫ ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৬০৮ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে বোয়ালখালীতে ২ জন এবং রাউজান, ফটিকছড়ি, সীতাকু-, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও পটিয়ায় একজন করে রয়েছেন। গতকাল করোনায় গ্রামের এক রোগি মারা যান। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৩ জন হয়েছে। এতে শহরের ৭৩৪ ও গ্রামের ৬২৯ জন।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২ ব্যক্তির মৃত্যু হয় এ বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন ২ হাজার ৭৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৬৫ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। সংক্রমণ হার ছিল ৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
ল্যাবভিত্তিক আজকের রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে গতকাল সর্বোচ্চ ১০৩ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এখানে শহরের ২ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৭১ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৪ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৭২টি নমুনার মধ্যে শহরের ১৭ ও গ্রামের ৪টি করোনায় আক্রান্ত চিহ্নিত হয়। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ১৭টি নমুনার মধ্যে শহরের ৪টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ৪২ জনের এন্টিজেন টেস্ট করানো হয়। এতে গ্রামের ৪ জন করোনা সংক্রমিত বলে জানানো হয়।
বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১২টি নমুনার মধ্যে শহরের ২টিতে করোনার জীবাণু মিলে। শেভরনে ৩১ জনের নমুনায় শহরের ৭ জন ভাইরাসবাহক হিসেবে রিপোর্ট দেয়া হয়। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২৩টি নমুনা পরীক্ষা করে ভাইরাস থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এপিক হেলথ কেয়ারে ৫৪ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৫ জনের শরীরে জীবাণুর অস্তিত্ব চিহ্নিত হয়। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের একটি সংক্রমিত পাওয়া যায়। এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৩টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২টি করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতাল, ল্যাব এইড ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থাপিত ল্যাবরেটরিতে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পরীক্ষার জন্য যায়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ৫ দশমিক ৬৩, চমেকহা’য় ২৯ দশমিক ১৬, আরটিআরএলে ২৩ দশমিক ৫৩, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৬ দশমিক ৬৬, শেভরনে ২২ দশমিক ৫৮, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ০, এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ৯ দশমিক ২৬, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৫ দশমিক ৮৮ ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৬৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ। অন্যদিকে এন্টিজেন টেস্টে আক্রান্তের হার ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat