×
  • প্রকাশিত : ২০২২-১২-২১
  • ৫৬৬ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পৌর শহর শ্যামলীপাড়া থেকে উধুনিয়া বাজার পর্যন্ত প্রায় ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৮ ফিট প্রশস্থ নবনির্মীত সাড়ে ১৬ কিঃ মিঃ জেলা সড়ক উদ্বোধন করা হয়েছে।
২১ ডিসেম্বর বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টায় ওই নবনির্মীত জেলা সড়কটি ভারচুয়ালী ভাবে উদ্বোধন করলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী দেশ রতœ শেখ হাসিনা । এ উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে উল্লাপাড়া উপজেলার চলনবিল অধ্যুষিত ৪ টি ইউনিয়নের প্রায় ২ লক্ষাধীক মানুষের দীর্ঘদিনের দাবী আজ বাস্তবায়ীত হচ্ছে । এ সড়ক নির্মাণের কারনে চলনবিল অধ্যুষিত ওই সব ইউনিয়নের মানুষের সহজ যাতায়েত নিশ্চিতের পাশাপাশি প্রতিটি গ্রামেই এখন শহরের সকল সুযোগ সুবিধা মিলছে ।

উল্লাপাড়া উপজেলার শ্যামলীপাড়া থেকে উধুনিয়া বাজার পর্যন্ত সাড়ে ১৬ কিঃ মিঃ জেলা সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বিপর্যস্থ ছিল। এই সড়কের পাঙ্গাসী বাংলাপাড়া থেকে উধুনিয়া পর্যন্ত সাড়ে ৩ কিঃমিঃ পথ এতটাই খারাপ ছিল সেখানে যানবাহন তো দুরের কথা স্বাভাবিক চলাচলই কঠিন হয়ে পড়েছিলো। এই সড়ক পথে কৃষি ও গবাদিপশু সমৃদ্ধ ৪ টি ইউনিয়ন কয়ড়া,মোহনপুর,বড়পাঙ্গাসী ও উধুনিয়া ইউনিয়নের ২ লক্ষাধিক মানুষের নিত্য দিনের যাতায়াত । বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে একাধিক জনপ্রতিনিধি সড়কটি উন্নয়নে প্রতিশ্রুতি দিলেও তা আলোর মুখ দেখেনি কখনো। এতে এসব ইউনিয়নের মানুষের মনে দুঃখের কোন শেষ ছিল না।

বিগত সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য তানভীর ইমাম এলাকাবাসীদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যেভাবেই হোক তিনি এই সড়কটি সংস্কার সহ এর আধুনিক রুপ দিবেন। তিনি তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবতায় রুপ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি প্রতিটি গ্রাম হবে শহর। তার বাস্তব রুপ দিতে তিনি সার্বিক প্রচেষ্টা চালিয়ে চলতি বছরে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের মাধ্যমে দুই ধাপে প্রায় ৬০ কোটি টাকা ব্যায়ে সড়কটি পুরো সংস্কার করিয়েছেন। চলনবিলের বুক চিরে ৪ টি ইউনিয়নের মানুষের স্বপ্নের সড়টি পুরো সংস্কার সহ আধুনিক রুপ দেয়া হয়েছে। বন্যার ক্ষতিগ্রস্থের হাত থেকে রক্ষায় সড়কটির দুই পাশে সিসি ব্লক দিয়ে প্রটেকশন দেয়া হয়েছে। চলনবিলের বুক চিরে আঁকা-বাঁকা নান্দনিক এই সড়কটি সংস্কারে মানুষের দীর্ঘদিনের দূর্ভোগ যেমন দুর হয়েছে তেমনি উদ্বোধনের আগেই এই এলাকা এখন পর্যটন এলাকা হিসেবে ভ্রমন পিপাসুদের কাছে স্থান পেয়েছে।
প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চল থেকে মানুষ যে কোন সময় যানবাহনে চড়ে সড়ক পথে শহরে আসা যাওয়া ও মালামাল আনা নেয়া করতে পারছে। এখানকার প্রতিটি গ্রামে লেগেছে শহরের ছোঁয়া। গ্রামের হাট বাজারেই মিলছে শহরের সকল সুযোগ সুবিধা। মানুষের জীবনে লেগেছে পরিবর্তনের ছোঁয়া। যা পূর্বে কখনো চিন্তাও করা যেত না। একটি সড়ক বদলে দিয়েছে ৪ টি ইউনিয়নের ২ লক্ষাধিক মানুষের জীবনমান।

রাস্তাটির নির্মাণ বিষয়ে উল্লাপাড়া আসনের সংসদ সদস্য তানভীর ইমাম জানান,মানুষের দীর্ঘদিনের দূর্ভোগ লাঘব এবং প্রতিটি গ্রামে শহরের সুযোগ সুবিধার অগ্রাধিকার দিয়ে সড়কটি সংস্কার করা হয়েছে। কারন এসব এলাকার মানুষকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আমি বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। আমার নির্বাচিত এলাকার মানুষের দূর্ভোগের কথা চিন্তা করে জরুরী ভিত্তিতে সড়কটি সংস্কারে ব্যবস্থা নেয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীর নিকট কৃতজ্ঞ প্রকাশ করেন। প্রাকৃতিক সুন্দর্যের কারনে এখানে পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে ইতিমধ্যে সড়টির বিভিন্নস্থানে বসার বেঞ্চ ও সৌর বিদ্যুতের ষ্টিট লাইন স্থাপন করা হয়েছে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উদ্বোধন করেন ।
এ সময় উল্লাপাড়া সড়ক উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ সাইফুল ইসলাম ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ রাসেল উল্লাহ খান ভার্চুয়ালী প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে উল্লাপাড়ার পৌর শহরের শ্যামলীপাড়ায় স্থাপিত প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী ফলোক উম্মোচন করেন ।
অপর দিকে উল্লাপাড়া সড়ক উপ-বিভাগ অফিস চত্ত্বরে প্রায় ২ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত উল্লাপাড়া সড়ক উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয়ের দ্বিতল অফিস ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে । বুধবার বিকেল ৩ টার দিকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম মনির হোসেন পাঠান নবনির্মিত ওই দ্বিতল ভবন উদ্বোধন করেন ।
এ সময় রাজশাহী বিভাগীয় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সাদিকুর রহমান, পাবনা সড়ক সার্কেলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সমিরন রায় ও সিরাজগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ দিদারুল আলম তরফদার ভার্চুয়ালী প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম মনির হোসেন পাঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে উল্লাপাড়া সড়ক উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয় অফিস চত্ত্বরে স্থাপিত প্রধান প্রকৌশলীর উদ্বোধনী ফলোক উম্মোচন করেন । এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ শফিকুল ইসলাম শফি, উপজেলা আওয়ামিলীগের সভাপতি মোঃ ফয়সাল কাদের রুমি, সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল বাতেন হিরু ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat