×
ব্রেকিং নিউজ :
দেশের উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ৬৪ জেলার স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি উল্লাপাড়ায় জামাত নেতার সাথে ছবি ভাইরালের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন দিনাজপুরে নাশকতার মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৩০ নেতাকর্মী জেলহাজতে কুমিল্লায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন রাঙ্গামাটিতে প্রাণি সম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন স্কাউটিংয়ের মূল দর্শন, কর্মসূচি ও কার্যক্রমগুলোতে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের আহবান শিক্ষামন্ত্রীর বার কাউন্সিল এনরোলমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ আশফাকুল ইসলাম বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদপত্র বিতরণ প্রাণি ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০১-২৪
  • ৪৭৫ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল প্রতিনিধি :- নড়াইলে চিংড়ি চাষ এখন হুমকির মুখে। চিংড়ি চাষে হতাশ নড়াইলের চাষিরা চিংড়ি চাষে রীতিমতো হতাশ নড়াইল জেলার চাষিরা। খাবারের দাম বৃদ্ধি এবং চিংড়ির বাজারদাম কমে যাওয়ায় নড়াইলে চিংড়ি চাষ এখন হুমকির মুখে। চিংড়ি চাষিরা জানিয়েছে এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই নব্বই শতাংশ চাষিই বন্ধ করে দিবেন চিংড়ি চাষ। জেলা মৎস্য অফিস জানায়, জেলার তিনটি উপজেলাতে মোট পাঁচ হাজার তিন শতাধিকের বেশি চিংড়ির ঘের রয়েছে৷ এসব ঘেরে মূলত গলদা চিংড়ি চাষ করা হয়। সাদা মাছের সাথেও চাষ হয় চিংড়ি। বাজারে এর ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে।
জেলার চিংড়ি চাষিরা জানান, করোনার পর থেকে দ্রব্যমূল্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। আগে যে খাবার কিনেছেন ১ হাজার টাকায়৷ সেই খাবার এখন কিনতে হচ্ছে প্রায় ১৫শ টাকায়। বাকি নিলে প্রতি বস্তায় আরও এক থেকে দেড়শ টাকা বেশি দিতে হয়। অন্যদিকে আগে যে চিংড়ি বিক্রি করেছেন ১ হাজার টাকায় সেই চিংড়ি এখন বিক্রি করছি ৬শ টাকায়। ফলে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। প্রত্যেকর ঋণের বোঝা বাড়ছে৷ অধিকাংশ চাষি চিংড়ি চাষ বন্ধ করে দেওয়ার চিন্তাভাবনাও করছেন।
এছাড়াও চিংড়ির উৎপাদন বেশি হলে তখন পাইকারি ক্রেতারা এক হয়ে দাম কমিয়ে দেয়। এ অবস্থায় খাবারের দাম নিয়ন্ত্রণ এবং সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারলে নড়াইলে চিংড়ি চাষ করে ভালো কিছু করতে পারবেন চাষিরা।
তবে চিংড়ি কিনতে আসা পাইকাররা বলছেন লোকসানে রয়েছেন তারা। যেসব কোম্পানিতে চিংড়ি দেন সেখানে ভালো দাম পাচ্ছেন না। তাদের চাহিদাও আগের মতো নেই। চাহিদা না থাকায় দাম কম হচ্ছে বলেন জানান তারা।
নড়াইলের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এইচ.এম. বদরুজ্জামান বলেন, এ জেলার পানি মিঠা হওয়ায় গলদা চিংড়ি বেশি চাষ হয় যা খুবই সুস্বাদু। এক্সপোর্ট চ্যানেল বাদেও দেশের বিভিন্ন পাইকারি বাজারে যায় এই চিংড়ি। চিংড়ির দাম রফতানির সাথে জড়িত থাকার ফলে চাহিদা বেশি হলে দামও বেশি হয়। চাহিদা কম হলে আবার দাম কমে যায়। চিংড়ির প্যাকেটজাত খাবারের অধিকাংশ বাইরে থেকে আসে। বৈশ্বিক কারণে সবকিছুরই দাম বেড়েছে। ফলে চাষিদের খরচও বেড়েছে। তবে আমরা চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছি বাড়িতে তৈরি খাবার চিংড়িকে খাওয়ানোর জন্য। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat