বুধবার ‘ডিসিপ্লিনারি বডি’র এক সভায় এশার সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের পাশাপাশি ছাত্রীদের ‘শোকজ’র সিদ্ধান্ত হয়ে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান।
তিনি বৃহস্পতিবার বলেন, “গত রাতে শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
তবে ২৬ শিক্ষার্থীর নাম প্রকাশ করতে চাননি উপাচার্য।
এশাকে হেনস্তার ঘটনায় ছাত্রলীগ এর আগে ২৪ জনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে। তার মধ্যে রয়েছেন হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান কেন্দ্রীয় সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক খালেদা হোসেন মুন, সুফিয়া কামাল হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি মোর্শেদা খানম, আতিকা হক স্বর্ণা ও মীরা।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের নির্যাতনের অভিযোগ মোর্শেদা তোলার পর গত ১০ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও ছাত্রলীগ প্রথমে এশাকে বহিষ্কার করেছিল।
এরপর অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ার কথা জানিয়ে ছাত্রলীগ এশার বহিষ্কারাদেশ তুলে নেয়।
তার দুদিন পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও একই পদক্ষেপ নেয়।
এরপর গত ১৬ এপ্রিল ছাত্রলীগ মোর্শেদাসহ ২৪ জনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানায়।
তার দুদিন বাদে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও একই পদক্ষেপ নিল।
১০ এপ্রিল রাতে প্রক্টর যখন এশাকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের রোষ থেকে উদ্ধার করছিলেন, তখন এই ছাত্রলীগ নেত্রী লাঞ্ছিতও হন।
সুফিয়া কামাল হলের ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্যের যে কমিটি হয়েছিল, সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ২৬ শিক্ষার্থীকে শোকজের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান উপাচার্য।
অভিযোগ প্রমাণিত হলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এটা একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে হবে, কী শাস্তি হবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়।”