×
ব্রেকিং নিউজ :
বরেণ্য ব্যক্তিদের জন্মভিটা সংস্কার করে পর্যটকদের জন্য আকর্ষনীয় করা হবে : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশে গ্রিন এনার্জিতে বিনিয়োগ ও দক্ষকর্মী নেওয়ার প্রস্তাব অস্ট্রিয়ার আর অস্ত্র নয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ হোক মানুষের কল্যাণে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সম্পর্কে মিথ্যাচারের অভিযোগে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিবের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ দিতে হবে : ডেপুটি স্পীকার স্কুল-মাদ্রাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের ভোট কেন্দ্রে থাকবে সর্বোচ্চ সংখ্যক পুলিশ-আনসার, প্রতি ইউনিয়নে ম্যাজিস্ট্রেট ভূমি খাতে রাজস্ব বাড়ানোর ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ ভূমিমন্ত্রীর বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা ব্যাপক : এডিবি আবাসিক প্রধান উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে ইতিহাসে শেখ হাসিনার নাম লেখা থাকবে : ধর্মমন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০২০-১১-১৪
  • ৭২৯ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে ভুট্টার উৎপাদন বছরে ১ কোটি মেট্রিক টনে উন্নীত করতে কাজ চলছে।
আর এটি করতে পারলে ভুট্টা উৎপাদনে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন নয়, বিদেশে রপ্তানি করেও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।
কৃষিমন্ত্রী শুক্রবার রাতে আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্র (সিমিট) এবং বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজিত ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিসচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম।
দেশে ভুট্টা চাষের অপার সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, উন্নতজাত উদ্ভাবন হয়েছে, অনুকূল কৃষি জলবায়ু রয়েছে ও কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। যার ফলে ভুট্টার উৎপাদন বহুগুণে বাড়ানো সম্ভব। অন্যদিকে, দেশেবিদেশে ভুট্টার প্রচুর চাহিদা রয়েছে এবং দেশে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের খাদ্য হিসাবে ভুট্টা ব্যাপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে। সেজন্য, ভুট্টার উৎপাদন আরও বাড়াতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের হিসাব অনুযায়ী দেশে ভুট্টার উৎপাদন ২০০৯ সালে ছিল সাত লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন, ২০২০ সালে যা বেড়ে হয়েছে ৫৪ লাখ মেট্রিক টন। অন্যদিকে, ভুট্টার চাহিদা বছরে ৬৫-৭০ লাখ টন। আর দেশে ২০২০ সালে গম উৎপাদন হয়েছে ১২ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন।
আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে গমের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে,অথচ উৎপাদন খুবই কম। কিন্তু বাংলাদেশের কৃষিজলবায়ু গম চাষের খুব অনুকূল না হওয়ায় গমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন সম্ভব নয়। তবে এ দেশের উপযোগী আরও উন্নত ও উৎপাদনশীল জাত নিয়ে আসতে পারলে গমের উৎপাদন বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। চাহিদার পুরোটা না হলেও অন্তত অর্ধেক উৎপাদন করা সম্ভব উল্লেখ করে তিনি সিমিট এবং বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটকে এ ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
সিমিটের মহাপরিচালক মার্টিন ক্রোফ বলেন, সিমিট ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার সুসম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। সিমিট বাংলাদেশে গম ও ভুট্টার উন্নয়নে গবেষণার মাধ্যমে উন্নত জাত উদ্ভাবন, বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং ব্লাস্ট ও ফল আর্মিওয়ার্মসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ও দমনে সহায়তা আরও বাড়াবে।
সিমিটের মহাপরিচালক মার্টিন ক্রোফ এর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. এছরাইল হোসেন, সিমিটের বাংলাদেশ প্রতিনিধি টিমোথি জে. ক্রুপনিক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিমিটের কর্মসূচি পরিচালক ব্রুনো জেরার্ড ও বিএম প্রসন্ন। পরিচালনা করেন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক এমএ সাত্তার মন্ডল।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat