যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান হওয়ার দৌড়ে শামিল হলেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ।
টুইটারে নিজের প্রার্থিতার ঘোষণা দিয়ে জাভিদ বলেন, ‘প্রথম ও সবচেয়ে অগ্রাধিকার পাওয়া কাজ হবে ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করা।’
এ পদের জন্য টোরি পার্টির নবম প্রার্থী হিসেবে নিজের নাম লেখালেন সাজিদ। যিনি এই দলের প্রধান নির্বাচিত হবেন, তিনিই হবেন যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।
গত শুক্রবার এক ভাষণে আগামী ৭ জুন কনজারভেটিভ পার্টির প্রধানের পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন থেরেসা মে ।
আবেগঘন সে ভাষণে মে জানান, তিনি নতুন নেতা নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে যাবেন। তবে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত থেরেসা মেকে প্রধানমন্ত্রীর পদে দেখতে চান।
টুইটারে এক ভিডিও বার্তায় পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাজিদ বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের মানুষের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে চাই। দেশকে এক্যবদ্ধ করে দেশবাসীর জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করতে চাই।’
সদ্য শেষ হওয়া ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে গতবারের ২৫ শতাংশের চেয়ে কম ভোট (১০ শতাংশ) পেয়েছে সাজিদের দল।
এই নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে সাজিদ বলেন, ‘নির্বাচনের ফলাফল সব স্পষ্ট করে দিয়েছে। আর তা হলো ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করে আমাদের গণতন্ত্রে নতুন করে বিশ্বাস স্থাপন নিশ্চিত করতে হবে।’
‘কমিউনিটিগুলোর মধ্যে বিভাজন দূর করে মেলবন্ধন নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের সমাজ ও অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে হবে, যাতে করে একটি সমৃদ্ধশালী জাতির দেওয়া সব সুযোগ সবাই সমানভাবে ভোগ করতে পারে।’
এখন পর্যন্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পদের অন্য প্রার্থীরা হলেন—বর্তমান পরিবেশবিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল গোভ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন-বিষয়ক মন্ত্রী ররি স্টুয়ার্ট, হাউস অব কমন্সের সাবেক নেতা আন্দ্রিয়া লিডসম, সাবেক মন্ত্রী এস্টার ম্যাকভে ও ডমিনিক রাব।