×
ব্রেকিং নিউজ :
ভৌগোলিক কারণে সিঙ্গাপুরের জন্য চট্টগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ : হাই কমিশনার কৃষকবান্ধব রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে: গণপূর্তমন্ত্রী জাতির পিতার সমাধিতে বিজিএমইএ’র নবনির্বাচিত কমিটির শ্রদ্ধা আগামী দুই মাসের মধ্যে ভাঙ্গা-খুলনা-যশোর পর্যন্ত ট্রেন চালু হবে :রেলপথ মন্ত্রী আগামীকাল থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে গণতান্ত্রিক বিষয়কে বিএনপি ফাঁদ মনে করে : ওবায়দুল কাদের বিডিইউতে জিএসটি গুচ্ছভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত পরিবেশ সাংবাদিকতা সুরক্ষায় প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেয়া হবে : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী টেনিস খেলাকে জনপ্রিয় করতে কাজ করা হচ্ছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী কাপ্তাই লেকের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০৭-১২
  • ৬৮৯১ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
‘জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ খাদ্য’ এ প্রতিপাদ্যে  গোপালগঞ্জে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে কাজ করছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ । গত ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ব্যাপক কর্মকান্ড পরিচালনা করেছে। এতে গোপালগঞ্জে খাদ্যে ক্ষতিকর রং ও হাইড্রসের ব্যবহার বন্ধ হয়েছে। আমসহ মৌসুমী ফলে ফরমালিনের পাশাপাশি কেমিক্যালের ব্যাবহার শতভাগ হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে ।হোটেল-রেস্তোরা বেকারী, মুড়ি, চানাচুর ফ্যাক্টরী, মিস্টি কারখানা, পানি পরিশোধন স্থাপনাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ প্রায় নিশ্চিত করা হয়েছে। খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে টেবিলে খাদ্য পরিবেশন পর্যন্ত সর্বস্তরে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে সভা-সোমিনার উঠান বৈঠক করা হয়েছে । এছাড়া খাদ্যের শুনগত মান নিশ্চিতে নমূনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার রির্পোটের ওপর ভিত্তি করে সংশ্লি¬ষ্ট খাদ্য উৎপাদনকারীদের সতর্ক করা হয়েছে।নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে কেমিক্যালের ব্যাহার কমিয়ে আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ভাবে গোপালগঞ্জের প্রায় ১৮ লাখ মানুষের  নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে কাজ করছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মুন্নী খাতুন।
তিনি বলেন, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে গোপালগঞ্জে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে আমরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভা করিছি ৯টি। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করণে জনসচেতনামূলক স্কুল সেমিনার করা হয়েছে ৬টি । প্রতিটি সেমিনারে ২ শ’ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচিত জন প্রতিনিধি মেয়র, চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর ও মেম্বারদের অংশ গ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে জনসচেতনতামূলক ৪ টি কর্মসূচি বাস্তবায়িত্ব হয়েছে । গ্রামীণ  মহিলাদের নিয়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক ৪টি জনসচেতনামূলক উঠান বৈঠক করেছি। এতে ২০০ গ্রামীণ মহিলা অংশ নেন। জেলার ৫ উপজেলার ২২টি বাজারের ৯২টি হোটেল রেেেস্তারা , মিস্টি কারখানা, ১৮টি বেকারি, মুড়ি, চানাচুর ফ্যাক্টরী, ২০টি পানি পরিশোধন স্থাপনা পরিদর্শন, মনিটরিং ও পুনঃপরিদর্শন করা হয়েছে। খাদ্য ব্যবসায়ী ও খাদ্য কর্মীদের নিয়ে প্রতিমাসে ১ দিন ও পবিত্র মাহে রমজান মাসে ০২ দিন নিরাপদ খাদ্য তৈরী ও পরিবেশন নিয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, পোড়াতেলের ৫০টি, পাউরুটির ৯টি,আচারের ০১ টি, খাবার লবনের ০৫ টি, খাবার পানির ০৮ টি, হলুদ গুড়ার ৩টি, প্উারুটির ফলোআপ ২টি নমূনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানে হয়। অধিকাংশ পণ্য ঝুঁকি মুক্ত হিসেবে রিপোর্ট আসে। সামান্য কিছু পণ্য ঝুঁকিপূর্ণ পণ্য হিসেবে ওই প্রতিবেদনে উল্লে খ করা হয়। এ নিয়ে সংশ্লি¬ষ্টদের সতর্ক করা হয়।পণ্যের ঝুঁকি নিরসনের পরামর্শ দেওয়া হয়। পরে ফলোআপ রিপোর্টে এগুলোর ঝুঁকিমুক্ত পণ্য হিসেবে রিপোর্ট আসে। বেকারির মালিক , পানি উৎপাদনকারী , খাদ্য ব্যবসায়ী, খাদ্য কর্মী, রোভার স্কাউটস সদস্যদের সাথে নিরাপদ খাদ্য নিয়ে সচেতনতামূলক ৬টি সভা করা হয়েছে।  গোপালগঞ্জ জেলার সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এবং সরকারি সকল দপ্তরে ৬০০ পারিবারিক নিরাপদ খাদ্য নির্দেশিকা বিতরণ করা হয়েছে।এছাড়া রোভার স্কাউটস টিমের সহযোগিতায় পবিত্র রমজানে,  ইফতার সামগ্রী প্রস্তুত , বিক্রয় ও ঈদুল আযহার কোরবানির পশুর হাটে ৭ দিন মাইকিং করা হয়েছে। প্রতি মাসে ২দিন রোভার স্কাউটস টিমের সহযোগিতায় বাজার বাসস্ট্যান্ড ও মেলায় নিরাপদ খাদ্য নিয়ে ২০ হাজার সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।     
মুন্নি খাতুন আরো বলেন, বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতির যথাযথ অনুশীলনের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করতে খাদ্য উৎপাদন, আমদানি, প্রক্রিযাকরণ, মজুদ, সরবারহ, বিপণন, বিক্রি সংশ্লি¬ষ্ট কার্যক্রমের সমন্বয়ের মাধ্যমে সহযোগিতা প্রদান ও নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে গঠিত হয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি।
শহরের হোটের ব্যবসায়ী খান স্নাক্সের সত্ত্বাধিকারী ইসতিয়াক খান বলেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা নিয়মিত হোটেল পরিদর্শন করেন। তাই এখানে হোটেল গুলোতে নিরাপদ খাদ্য পরিবেশন করা হচ্ছে । হোটেলের পরিবেশ মনোরম করা হয়েছে। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি রান্নার জায়গাটি নিরাপদ খাদ্য কর্তপক্ষের পরামর্শে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে স্থাপন করা হয়েছে   ।
গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জণ কার্যারয়ের মেডিকেল অফিসার ডা.এসএম সাকিবুর রহমান বলেন, জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ খাদ্যের কোন বিকল্প নেই। এটি নিশ্চিতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা গেলে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনীরোগসহ জটিলরোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ করে মানুষ সুস্থ  ও সবল জীবনযাপন করতে পারবেন। তাই আমরাও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat