×
ব্রেকিং নিউজ :
পিরোজপুরে বিশ্বকবি ও জাতীয় কবির জন্মবার্ষিক উদযাপনে প্রস্তুতি সভা রাঙ্গামাটিতে বজ্রপাতে দুইজন নিহত নাগরিকতা সিভিক এনগেজমেন্ট ফান্ড (সিইএফ)-এর উদ্বোধন হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হয়েছে খালেদা জিয়াকে শনিবার থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান চলবে আওয়ামী লীগের প্রয়াত সংসদ সদস্য আবদুল হাইয়ের অবদানের কথা স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও গাজা,ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অ্যাকশন প্ল্যান প্রস্তুত করতে হবে : স্পিকার নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পূর্ণ বিবরণ
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০৮-৩০
  • ৮১৪৭ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
অবশেষে যশোরবাসীর দীর্ঘদিনের আরেকটি স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। যশোর মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার এক যুগ পর ৫০০ শয্যার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আলোর মুখ দেখছে। মঙ্গলবার ২৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এতে উন্নয়ন প্রকল্প; স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অ্যাস্টাবলিশমেন্ট অব ৫০০ বেডেড হসপিটাল ও এনসিলারি ভবন ইন যশোর প্রকল্পটি স্থান পেয়েছে। যশোর মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন খাতের ২৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে একনেক এর মধ্যে ১৩টি নতুন প্রকল্প, সাতটি প্রকল্প সংশোধন করা হয়েছে। এ ছাড়া চতুর্থ-পঞ্চম দফায় মেয়াদ বেড়েছে পাঁচটি প্রকল্পের। নতুন প্রকল্পের অর্থ ও চলমান প্রকল্পের বাড়তি ব্যয়সহ প্রকল্পগুলোতে মোট খরচ হবে ১৪ হাজার ৭৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা বলে জানিয়েছে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এদিকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হওয়ার খবরে যশোরে আনন্দের বন্যা বইছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সরকার প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বৃহত্তর যশোর অঞ্চলের সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে যশোরে মেডিকেল কলেজ স্থাপন করা হয়। প্রথম দিকে কলেজটির সব কার্যক্রম পরিচালিত হতো যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে। একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের পর শহরের শংকরপুর বাস টার্মিনাল এলাকার হরিনার বিলে নিজস্ব ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করা হয় মেডিকেল কলেজটির কার্যক্রম। বর্তমানে কলেজে ইন্টার্নসহ চার শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। কলেজ সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি চালুর ১২ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত এখানে চালু হয়নি হাসপাতাল। অথচ যশোরের পরে স্থাপিত পাশের জেলা সাতক্ষীরা ও কুষ্টিয়ায় চালু হয়েছে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এতে ব্যাহত হচ্ছে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম। ব্যবহারিক শিক্ষার জন্য তাদের যেতে হয় পাঁচ কিলোমিটার দূরের যশোর জেনারেল হাসপাতালে। হাসপাতাল বাস্তবায়নের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন হয়ে আসছে।
এদিকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হওয়ার খবরে আনন্দের বন্যা বইছে যশোরে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সরকার প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। যশোর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান বলেন, অভিভক্ত বাংলার প্রথম জেলা যশোর। যশোরকে নিয়ে গর্ব করার মতো অতীত ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য নেতৃত্বের সংকটের কারণে অনেক জেলা থেকে উন্নয়নে পিছিয়ে। এখন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে এটা অত্যন্ত আনন্দের খবর। যশোরের পরে স্থাপিত পাশর্^বর্তী জেলা সাতক্ষীরা ও কুষ্টিয়ায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চালু হয়েছে। কিন্তু যশোর নেতৃত্বের কারণে পায়নি। না পাওয়ার ফলে এখানে সবশ্রেণী পেশার মানুষ আন্দোলন করেছে। আজ আন্দোলনের সফল বা স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে যশোরবাসী। এ জন্য সরকারপ্রধান শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানায়।
যশোরে ৫শ’ শয্যার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান ভিটু বলেন, যশোরবাসীর প্রাণের দাবি যশোর মেডিকেল কলেজ বাস্তবায়ন হয়েছিল আন্দোলনের মাধ্যমে। মেডিকেল কলেজ চালুর এক যুগ পেরিয়ে গেলেও হাসপাতাল বাস্তবায়ন হয়নি। হাসপাতালের দাবিতে যশোরবাসী সংগ্রাম করেছে। করোনাকালে যশোরবাসী ৫শ’ শয্যার হাসপাতালের প্রয়োজনীয়তা বেশি অনুভব করেছি। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে দাবি বাস্তবায়নের আন্দোলন জোরদার করা হয়েছিল। জনসভায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিতে পারেননি। আজ একনেকের সভায় প্রকল্প অনুমোদন দেয়ায় ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা খুবই খুশি হয়েছি। আমাদের দাবি, নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হোক। জেলা শিল্পকরা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বুলু বলেন, একনেকে প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে, এটা খুশির খবর। আমরা চাই এ প্রকল্প দ্রুত কার্যকর হোক। কারণ আগেও একটি প্রকল্প পাস হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়নি। দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রামের পর অবশেষে একনেকে প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। এ প্রকল্পটি যেন আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ভেস্তে না যায়। দ্রুত হাসপাতাল নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে হবে। শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়ন নয়, একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল চালুর জন্য প্রয়োজনীয় জনবল ও যন্ত্রপাতি সরবরাহ করতে হবে। তাহলে সাধারণ মানুষের উপকারে আসবে এ হাসপাতালটি। আমাদের দাবি, সরকার এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, দীর্ঘদিন পরেও হলে আমরা খুশি। যশোরবাসীর চিকিৎসাসেবায় আরোও একধাপ উন্নতি হলো। মেডিকেল কলেজ অনেক চিকিৎসক আসবে, চিকিৎসার আধুনিক যন্ত্রপাতি যুক্ত হবে। মেডিকেল কলেজ অনুমোদন দেওয়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat