×
ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনার প্রচেষ্টা আছে সরকারের : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী জাতির পিতার সমাধিতে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন জাতির পিতার সমাধিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপ-উপাচার্যের শ্রদ্ধা দিনাজপুরে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর বাম্পার ফলন তাপপ্রবাহে টুঙ্গিপাড়ায় প্রশান্তির নীড় ‘কৃষক সেড’ দিনাজপুরে ৭ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা এসটিপি ছাড়া নতুন বিল্ডিং করার অনুমোদন নয় : গণপূর্ত মন্ত্রী ঢাকা-ব্যাংকক রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করবে নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে সরকার নিরন্তর কাজ করছে : মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শেরেবাংলার অসীম মমত্ববোধ, কর্মপ্রচেষ্টা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে : শেখ হাসিনা
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০৯-২৫
  • ৯৩২০ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
লেখক,তৌফিক সুলতান
ছেলেটির নাম তালহা ওয়েলফশন থানার অন্তর্ভুক্ত ছোট একটি গ্রাম মুসলিম নগরী সেখানে তার জন্ম।বাবা মসজিদের ইমাম তার মা অসুস্থ তালহা তার মা বাবা কে অনেক ভালোবাসে।বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান তালহা মা অসুস্থ থাকায় মায়ের জন্য তালহার ভিষণ মনখারাপ।তালহা ভাবতে পছন্দ করে তার মাথায় এখন যে প্রশ্ন টা ঘুরপাক খাচ্ছে তা হলো মানুষ কেন অসুস্থ হয়?এর উত্তর তার অজানা ভেবেও তেমন কিছুই পেলো না সে—তালহা তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে সে মাছ ধরতে অনেক পছন্দ করে। তালহা মানুষের উপকার করা মধ্যে নিজের আনন্দ পায় সে মানুষকে বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে। তবে এর জন্য কোনো বিনিময় গ্রহণ করে না। একটা উদাহরণ দেওয়া যাক একবার সে একজন বৃদ্ধকে অনেক গুলো মাছ ধরে দিয়ে ছিলো এর বিনিময় বৃদ্ধার থেকে সে কিছু গ্রহণ করে নি। যদিও বৃদ্ধা তাকে এর বিনিময় ৭০০ টাকা দিতে চেয়ে ছিলো। তবুও সে তা গ্রহণ করে নি। সে এই মাছ ধরেছিলো তাদের বাড়ির পিছনের খাল থেকে ধর্মজালের মাধ্যমে। সে ছোট মানুষ কিন্তু তার ভাগ্য অনেক ভালো তালহার ধারণা তার মা - বাবা ও মানুষের দোয়ার বরকতে সে সব কাজে সফল হয়।তালহা একটা আম গাছের নিচে বসে ভাবছে আচ্ছা! মানুষ কে বৃদ্ধ হয়?
তার উত্তর ও অজানা তার তালহা ভাবছে স্কুলে গিয়ে তার প্রিয় শিক্ষিকা শামীমা মেম কে জিজ্ঞেস করবে।কিন্তু তা এই মুহূর্তে সম্ভব নয় কারণ স্কুল বন্ধ দেওয়া হয়েছে। স্কুলে পানি উঠেছে তাই এখন আর তালহার স্কুলে যাওয়া হচ্ছে না। তালহার মাথায় এখন একটা প্রশ্ন তা হলো পৃথিবী গোলাকার ডিম আকৃতির সে তার বিজ্ঞান বই থেকে জেনেছে। এর উপরিভাগে মানুষের বসবাস তবে মানুষ কিভাবে এর উপর চলাফেরা করছে বিষয় টা তার কোনো ভাবে বোধগম্য হচ্ছে না। তালহার মতে পৃথিবী হলো সমতল যা চারদিকে বিস্তৃত। কিন্তু বিজ্ঞান বইয়ে তো সে পড়েছে পৃথিবী ডিমের মতো বইয়ে তো আর ভুল লেখবে না! তালহা চিন্তা করছে বিষয় টা কিভাবে পরিক্ষা করা যায়। তার মাথায় একটা ধারণা আসলো পৃথিবীর বাহিরে যেতে পারলে হয়তো সে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারবে। এই বিষয়ে সে তার বন্ধুদের সাথে কথা বলার জন্য তার বন্ধু জিহাদ, ইলমা,সায়েম,সাদিয়া,
মাসুম,তানিসা,রাইহান কে ডাকলো। তারা আট জন মিলে সিদ্ধান্ত নিলো তারা পৃথিবীর বাহিরে যাবে। তারা ঠিক করলো রবিবারে তারা ওয়েল্ফশন শহরের যাবে। কথা অনুযায়ী তারা তাদের গ্রাম থেকে ওয়েল্ফশন শহরের দিকে রওনা দিলো। এই বিষয়ে তারা কেউ-ই তাদের বাড়িতে কিছুই জানালো না। প্রধান সড়ক যেতেই রহমত কাকুর সাথে দেখে রহমত কাকু জিজ্ঞেস করলে কিরে তোরা দলবেঁধে কোথায় যাচ্ছিস? সবাই এক সুরে বলে উঠলো শহরে যাবো।রহমত কাকু আবারও জিজ্ঞেস করলো কার সাথে যাচ্ছিস তোরা? আমরা বলাম আমরাই আর কে যাবে।রহমত কাকু তো অবাক কি বলে এইসব এটুকুন বাচ্চা। আচ্ছা! তাহলে শহরে কেন যাচ্ছিস শুনি?আমরা বলাম পৃথিবীর বাহিরে যাবো যাচাই করার জন্য সত্যি পৃথিবী ডিম্বাকৃতির কি না? রহমত কাকু অনেক বুদ্ধিমান মানুষ রহমত কাকু বললো, শুন বাচ্চারা আমি দুই দিন পর শহরে যাবো তখন আমার সাথে সবাই যাবি কেমন? আচ্ছা আমাকে একটা কথা বলতো তোরা কি বিশ্বাস করিস নি যে পৃথিবী ডিম্বাকৃতির? আমরা বলাম হ্যা বিশ্বাস করছি তবুও দেখতে চাচ্ছি।রহমত কাকু বললো বিশ্বাস করলে আবার দেখতে হবে কেন?আমরা কেউ-ই এই প্রশ্নের কোনো জবাব দিলাম না।রহমত কাকু তারপর আমাদের কে বুঝালো পৃথিবী কিভাবে ডিম্বাকৃতির এবং কেন সমতল হতে পারে না। মহাকর্ষ শক্তি সম্পর্কে ধারণা দিলো আমরা সবাই বিষয় টা ভালো ভাবে বুঝলাম এবং পৃথিবীর বাহিরে যাওয়া ইচ্ছেও বাদ দিলাম।রহমত কাকু তারপর একদিন আমাদের সবাইকে ওয়েলফশন শহরে নিয়ে গেলো।সেখানে অনেক বড় বড় দালান দেখালেন আমাদের কে জিজ্ঞেস করলেন বলতো এই গুলো কে তৈরি করছে আমরা সবাই বলে উঠলাম আল্লাহ্। রহমত কাকু তারপর আমাদের কে বলেন, সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ্ তায়ালা।এই দালানে ব্যাবহৃিত যা কিছু আছে সব কিছুই মহান সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেছেন। তারপর মানুষ এই গুলো ব্যাবহার করে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নানারকমের রূপ দিয়েছে। একটা দালান তৈরির পেছনে অনেক মানুষের পরিশ্রম রয়েছে। দালানের ডিজাইন থেকে শুরু করে এর অবকাঠামো তৈরি ইত্যাদি এর অনেক গুলো ধাপ সম্পূর্ণ হলেই আমরা একটা সুন্দর বিল্ডিং দেখতে পাই। এই দালা টা কিন্তু আপনা আপনি তৈরি হয় নি। রহমত কাকু তার কথা থামিয়ে এবার আমাদের কে জিজ্ঞেস করলেন তোরা বড় হয়ে কে কি হতে চাস?
আমি বলে উঠলাম আমি ডাক্তার হতে চাই!জিহাদ বললো আমি ইন্জিনিয়ার, ইলমা বললো পুলিশ, সায়েম বললো সেনাপ্রধান, সাদিয়া বললো নার্স, মাসুম শিক্ষক, তানিসা বললো উকিল ,রাইহান বললো কৃষক। তখন সবাই হেঁসে উঠলো এমন সময় রহমত কাকু সবার হাসি থামিয়ে কিছু বলতে যাবে তখনই একটা বোমার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেলো চারপাশ।
বাস্ততায় অদৃশ্য বোমার আঘাতে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে তালহার মতো অনেক গ্রাম থেকে আসা যুবকের। আবার কেউ কেই নিজেকে এই বাস্তবতার সাথে মানিয়ে নিতে গিয়ে হারাচ্ছে হারাচ্ছে মানবিকতা।

লেখক,তৌফিক সুলতান

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat