×
ব্রেকিং নিউজ :
ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে কৃষক অ্যাপ চালু করা হয়েছে : কৃষিমন্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন স্কুল এন্ড কলেজের ১ম ব্যাচে শতভাগ পাশ রুশ হামলার পর ইউক্রেনের খারখিভ এলাকা থেকে ৪ সহস্রা ধিক বাসিন্দা অপসারণ ফেনীতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১৫০ জন সুনামগঞ্জে পান্ডারখাল বাঁধ নির্মাণের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন গণমাধ্যম কর্মী আইন নিয়ে সাংবাদিক সংগঠন ও অংশীজনদের মতামত নেয়া শুরু : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির প্রতিনিধি দল শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে মুখস্ত শিক্ষার ওপর নির্ভরতা কমাতে পাঠ্যক্রমে পরিবর্তন আনা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড লু সম্পর্ক এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ সফরে আসছেন : ওবায়দুল কাদের শ্রম আইন সংশোধনে ৪১টি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা চলছে : আইনমন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০২৩-১২-০৪
  • ৫৬৬৪১ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
৫২ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় লক্ষ্মীপুর। সেদিন  জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা সর্বাত্মক আক্রমণ চালিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করে। মুক্তি পায় এ অঞ্চলের মানুষ। যেকারণে এ দিনটি লক্ষ্মীপুর হানাদার মুক্ত দিবস হিসেবে পরিচিত।
স্বাধীনতা যুদ্ধের পুরো সময়জুড়ে এ অঞ্চল ছিল পাক-হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার-আলবদরদের হত্যা, লুট, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণের ঘটনায় ক্ষত-বিক্ষত।
লক্ষ্মীপুরকে হানাদার মুক্ত করতে বীর  মুক্তিযোদ্ধারা জেলার বিভিন্ন স্থানে  পাকিস্তানী-হানাদার বাহিনীর সাথে ১৯টি সম্মুখ যুদ্ধসহ ২৯টি দুঃসাহসিক অভিযান চালায়। এতে শহীদ হন ১১৪ জন বীর  মুক্তিযোদ্ধাসহ কয়েক হাজার মুক্তিকামী বাঙ্গালী। পাক-হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে সর্বপ্রথম মুক্তিযোদ্ধারা জেলা শহরের মাদাম ব্রিজটি উড়িয়ে দেয়। আজও এর স্মৃতি হিসেবে ব্রিজের লোহার পিলারগুলো দাঁড়িয়ে আছে। যুদ্ধের দিনগুলোতে পাকি-হানাদার বাহিনী ও তার দোসররা লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন স্থানে নারকীয় তান্ডবলীলা চালিয়েছে। হানাদার বাহিনী শহরের বাগবাড়ীতে ক্যাম্প স্থাপন করে বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিকামী মানুষকে ধরে এনে পাশবিক নির্যাতন চালাতো। এরপর হত্যা করে বাগবাড়ি গণকবর, মাদাম ব্রীজ এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে গর্তে ফুতে রাখতো। আবার অনেককের লাশ ফেলে দিয়েছিল খরস্রোতা রহমতখালী নদীতে। নারকীয় এসব হত্যাযজ্ঞের নিরব সাক্ষী হয়ে আছে শহরের বাগবাড়ীস্থ গণকবর, মাদাম ব্রীজ ও মজুপুরের কয়েকটি হিন্দু ও মুসলমান বাড়ী।
দিবসটি উপলক্ষে প্রতিবছর শহীদদের কবর জিয়ারত ও মোনাজাত, শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জানানো হয় শ্রদ্ধা। এবারও থাকছে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে নানা কর্মসূচি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat