×
ব্রেকিং নিউজ :
ত্যাগের মহিমায় স্বামী বিবেকানন্দ মানবসেবা করে গেছেন : মেয়র তাপস ভোলায় মহান মে দিবস পালন রাঙ্গামাটিতে দুই দিনব্যাপী ন্যাশনাল ইয়ুথ লিডারশীপ ট্রেনিং ক্যাম্পের উদ্বোধন চুয়াডাঙ্গায় আজ দুপুরে ৪০.৭ ডিগ্রিতাপমাত্রা রেকর্ড গাজা যুদ্ধে আরো ৩৩ জনের মৃত্যু : নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৫৬৮ মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার জাতির পিতার সমাধিতে রাজউক চেয়ারম্যানের শ্রদ্ধা সিলেটের আদালত পাড়ায় ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে : স্পিকার শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগের জন্ম : শেখ পরশ
  • প্রকাশিত : ২০১৮-০৪-২৩
  • ৮৯৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
ঘুরতে ভালবাসেন কিন্তু গাড়িতে উঠলেই মাথা ঘুরায় ?  ক্লান্তি চলে আসে গাড়িতে উঠলেই। এই যদি হয় আপনার ভ্রমণকালীন অবস্থা তবে ঘুরতে যাওয়ার আনন্দটাই মাটি!  ভ্রমণে বিশেষ  এই সমস্যাকেডাক্তারি ভাষায় বলে ‘মোশন সিকনেস বা ট্র্যাভেল সিকনেস ’  । মোশন সিকনেস কিঃ মোশন সিকনেস মূলত কোন শারীরিক সমস্যা নয়। এটি একটি মস্তিষ্কজনিত সমস্যা। আক্ষরিক অর্থে, শরীর ও মস্তিষ্কের ভারসাম্যের তারতম্যের জন্যে শারীরিক যে প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায় সেগুলোই মোশন সিকনেস। গাড়িতে ওঠার পর মাথা ঘোরা, বমি ভাব, ক্লান্তি-অবসাদ  জাতীয় অনুভুতিগুলোই মোশন সিকনেস এর লক্ষণ। কেন হয় মোশন সিকনেসঃ মানব শরীর আর কম্পিউটারের মধ্যে বিশেষ মিল হলো মস্তিষ্কে। কম্পিউটার যেমন সিপিইউ এর নির্দেশ  মেনে চলে, আমাদের শরীরও মস্তিষ্কের আদেশ ছাড়া কিছুই বোঝে না। আর আমাদের গতি- স্থিরতার  ভারসাম্য  নিয়ন্ত্রণ করে  শরীরের অন্তঃকর্ণ। আমরা যখন গাড়ীতে চড়ি তখন অন্তঃকর্ণ আমাদের মস্তিষ্কে খবর পাঠায় যে সে গতিশীল। মস্তিষ্ক অন্তঃকর্ণের তথ্য অনুযায়ী কাজ শুরু করে  । কিন্তু আমাদের চোখের সামনে গাড়ির সিট ও সেখানে বসে থাকা মানুষটি থাকে স্থির । তখনই হয় শরীর ও মস্তিষ্কের ভারসাম্য ওলটপালট।  মস্তিষ্ক ভেবে নেয় শরীরে স্নায়ু-বিষক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। স্নায়ু-বিষক্রিয়াকে প্রাকৃতিক ভাবে প্রতিরোধ করার জন্যে  বমি ভাব শুরু হয়।  এটাই মোশন সিকনেসের কারণ । তবে সব মানুষের এই অসুস্থতা অনুভব হয় না । অনেকের মস্তিষ্ক মোশন সিকনেস বিষয়টি লক্ষ্য করতে পারে না । ফলে এই বিষয়ে তারা হয় অনুভুতি শূন্য। মোশন সিকনেস হলে যা করনীয়ঃ যেহেতু গাড়িতে সেসময় মস্তিষ্ক শরীরকে গতিময় বলে ধরে নেয় তখন আপনাকেও চলমান কিছুর দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। মোশন সিকনেস যাদের হয় তাদের উচিৎ গাড়ির জানালা বরাবর সিট নেওয়া। গাড়িতে খারাপ লাগা শুরু হলে মুখরোচক কিছু খেতে পারেন। মিষ্টি জাতীয় খাবার গাড়িতে না খাওয়াই ভাল । অনেকক্ষেত্রে লেবু , আদা , মিন্ট স্বাদের  চুইংগাম চিবালে সিকনেস নিয়ন্ত্রণে থাকে। ভ্রমণ যদি লম্বা সময়ের জন্যে হয় তবে তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাব আনার জন্যে কম মাত্রার ঘুমের ওষুধ  অথবা কোন বমির ওষুধ খেতে পারেন। যদিও চলার পথে না ঘুমানোই উত্তম। গাড়িতে বই পড়া  এবং যাত্রার আগেই বমির কথা ভাববেন না  ।এটি আপনাকে আরও অসুস্থ করে দেবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat