- প্রকাশিত : ২০১৯-০১-৩১
- ৬৬০ বার পঠিত
-
নিজস্ব প্রতিবেদক
ভেজাল বা নিম্নমানের ওষুধ পেলে কঠোর ব্যবস্থা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক:–স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বাজারে ভেজাল বা নিম্নমানের ওষুধ পেলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ওষুধের গুণগত মান রক্ষায় সরকার কয়েক বছর ধরে কারখানা ও ফার্মেসিগুলোতে অভিযান চালাচ্ছে। আগামীতে এই অভিযান আরো জোরদার করা হবে। জনগণের জীবন রক্ষাকারী ওষুধ নিয়ে কোনো অনিয়মের অভিযোগ পেলেই শাস্তি দেওয়া হবে। গুটিকতক অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে ওষুধ শিল্পের সার্বিক সুনাম যেন ক্ষুন্ন না হয় সেদিকে সতর্ক থাকার জন্য ওষুধ শিল্প মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রী।
আজ কুড়িল বিশ^রোডে বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘১১তম এশিয়া ফার্মা এক্সপো’ এর উদ্বোধনকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রী একথা বলেন। বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি এই ফার্মা মেলার আয়োজন করে।
সমিতির সভাপতি সংসদ সদস্য নাজমূল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান ও সমিতির মহাসচিব এস এম শফিউজ্জামান বক্তৃতা করেন।
দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছ একটি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় ঘোষণার পূর্ণ বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কঠোর নজরদারি বাড়াচ্ছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণের দুর্ভোগ যেন না হয় সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। হাসপাতালে এসে যদি রোগী চিকিৎসক বা নার্স না পায়, মানুষের মনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। চিকিৎসক, নার্স উপস্থিতিসহ হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার নিয়মিত কঠোর নজরদারিতে তিন স্তরের মনিটরিং সেল তৈরি করা হচ্ছে। এসময় চিকিৎসক সমাজের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, কতিপয় চিকিৎসকের দায়িত্বে অবহেলার জন্য পুরো সমাজের মান ক্ষুন্ন হয়। তাই উপজেলায় পদায়নকৃত চিকিৎসকদেরকে কর্মস্থলে রাখার জন্য সকলকে তৎপর থাকতে হবে। কর্মস্থলে চিকিৎসক ও নার্স না থাকলে সরকার আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নিবে। এক্ষেত্রে কোনো ছাড় না দেওয়ার ঘোষণা পুনর্ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
আগামীতে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প সকল শিল্পের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আরো ভূমিকা রাখবে, এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমি শিল্প বান্ধব ব্যক্তি, দেশের ওষুধ শিল্পের উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করে যাবো’। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ওষুধের গুণগত মান আজ আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত। নতুন নতুন দেশ আগ্রহ দেখাচ্ছে বাংলাদেশের ওষুধ আমদানি করার জন্য। দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা পূর্ণমাত্রায় বিরাজ করছে মন্তব্য করে ওষুধ শিল্পখাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য দেশি উদ্যোক্তার পাশাপাশি বিদেশি উদ্যোক্তাদের প্রতিও আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিন দিনব্যাপী এই মেলায় বিশে^র ৫০টি দেশের ফার্মাসিউটিকেল প্ল্যান্ট নির্মাণে সহায়তাকারী ৬৫০ প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন।
পরে সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার ড. আদর্শ সোয়াইকা (উৎ. অফধৎংয ঝধিরশধ) স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে আসলে দু’দেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে একসাথে কাজ করার জন্যে উভয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বর্তমানে উচ্চ মাত্রায় বিরাজ করছে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ভারতের অব্যাহত সহায়তার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে মন্ত্রী আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
নিউজটি শেয়ার করুন
এ জাতীয় আরো খবর..