×
  • প্রকাশিত : ২০২১-০২-১৩
  • ৫৮৯ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন বাংলাদেশের ওপেনার শাহরিয়ার নাফিস ও বাঁ-হাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক।
আজ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবং ক্রিকেটার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (সিডব্লুএবি) আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষনা দেন দুই অভিজ্ঞ খেলোয়াড় নাফিস-রাজ্জাক।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাথে নতুন ক্যারিয়ার শুরু করেছেন নাফিস-রাজ্জাক। জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেলের তৃতীয় সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন রাজ্জাক। আর বিসিবি ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের পদে যোগ দিয়েছেন নাফিস।
বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান, পরিচালক এবং বোর্ডের উচ্চ-পর্যায়ের সদস্যরা ক্রেস্ট প্রদান করেন নাফিস-রাজ্জাককে।
৩৮ বছর বয়সী রাজ্জাক বলেন, ‘সবকিছুরই শেষ আছে এবং অন্য কেউ আমার জায়গা নিবে এটাই স্বাভাবিক।’
তিনি বলেন, ‘আমি বিকেএসপির ছাত্র ছিলাম এবং আজ আমি আমার শৈশবকালের কোচ সারওয়ার ইমরান ও নাজমুল আবেদিন ফাহিমকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমার ১৩ বছর বয়সে তাদের সাথে দেখা হয়েছিলো। এরপর তারা আমাকে এমনভাবে তৈরি করেছিলেন, দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছি।’
বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে ২শ শিকারের পাশাপাশি ৫০ ওভার ক্রিকেটে এক ম্যাচে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচ উইকেট নিয়েছেন রাজ্জাক।
প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে ১৩৭ ম্যাচে ৬৩৪ উইকেট শিকার করেছেন রাজ্জাক। চার বছর পর ২০১৮ সালে ৩৫ বছর বয়সে জাতীয় দলে ফিরেছিলেন রাজ্জাক। ঢাকায় শ্রীলংকার বিপক্ষে ঐ ম্যাচটিই ছিলো রাজ্জাকের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
বাংলাদেশের স্পিনারদের সমৃদ্ধ করেছেন রাজ্জাক। আর তামিম ইকবালের আগে ওপেনার হিসেবে প্রথম পছন্দ ছিলেন নাফীস।
২০০৬ সালে ফতুল্লা টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৩৮ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলেছিলেন নাফিস। যা বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম সেরা একটি ইনিংস হিসেবে বিবেচিত।
অবসরের ঘোষনাকালে নাফিস তার পরিবার ও প্রথম কোচ ওয়াহিদুল গনিকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি আমার স্ত্রী এবং সন্তান, আমার শ্বশুরবাড়ির পাশাপাশি প্রথম কোচ ওয়াহিদুল গণি স্যারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। একই সাথে আমার সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে হবে যারা আমাকে সর্বদা উৎসাহিত করেছেন এবং মিডিয়া যারা আমাকে সর্বদা সঠিকভাবে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করেছেন।’
২০০৭ সালের বিশ্বকাপে পারফরমেন্স করতে না পারায় দল থেকে বাদ পড়েন নাফীস। এরপর ২০০৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগে (আইসিএল) যোগ দেন তিনি। ফলে আইসিএলে খেলা সকল ক্রিকেটারকে দশ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু এক বছরের কম সময়ের ব্যবধানে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয় এবং প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরার অনুমতি দেয়া হয়।
২০১০ সালে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে আবারো জাতীয় দলে ফিরেন নাফিস। এরপর ২০১১ বিশ্বকাপসহ বিভিন্ন ফরম্যাটে দেশের হয়ে ২৩টি ম্যাচ খেলেন নাফীস।
দেশের হয়ে রাজ্জাক ১৩টি টেস্ট, ১৫৩টি ওয়ানডে ও ৩৪টি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলেন।
বাংলাদেশের জার্সি গায়ে নাফিস ২৪টি টেস্ট, ৭৫টি ওয়ানডে ও একটি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। টেস্টে একটি ও ওয়ানডেতে চারটি সেঞ্চুরি করেন নাফিস।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat