×
  • প্রকাশিত : ২০২১-০৩-২০
  • ৬৭৭ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

 সুনামগঞ্জের শাল্লার নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত স্বাধীনসহ মোট ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মুল হোতা ও মামলার প্রধান আসামী শহীদুল ইসলাম স্বাধীনকে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন ( পিবিআই) গ্রেফতার করেছে।
শনিবার সকালে তাকে শাল্লা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। স্বাধীনের বাড়ি শাল্লার পার্শ্ববর্তী দিরাই উপজেলার নাচনি গ্রামে। তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য।
জানা গেছে, গত ১৭ মার্চ সুনামগঞ্জের শাল্লার নোয়াগাঁওয়ে হিন্দুদের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার পর থেকেই উঠে আসে স্বাধীন মেম্বারের নাম। হামলার পরদিন স্থানীয় হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়ের করা মামলায়ও স্বাধীন মেম্বারকে আসামি করা হয়।
শুক্রবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও ৭ জনকে গ্রেফতার করে শাল্লা থানা পুলিশ।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২২জনকে গ্রেফতার করা হয়, এনিয়ে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মোট ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক জানান, হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় প্রথম দফায় গ্রেফতার হওয়া ২২জনকে শুক্রবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের বেগম ইসরাত জাহানের আদালতে হাজির করা হলে আদালত জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।এরমধ্যে একটির বাদী শাল্লা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল করিম, অন্য মামলার বাদী হামলার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল।
মামলা দুটিতে আসামি করা হয়েছে দিরাই থানার সরমঙ্গল ইউনিয়নের চন্দ্রপুর ও নাচনী এবং শাল্লা থানার হবিবপুর কাশিপুর গ্রামের অজ্ঞাতনামা ১৪ থেকে ১৫শ’ জনকে,এর মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ বকুলের মামলায় ৫০ জনকে এজাহার নামীয় আসামি করে আরো ১৪ থেকে ১৫শ’ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এক যুবকের একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে গত ১৭মার্চ বুধবার সকালে শাল্লা উপজেলার কাশিপুর, দিরাই উপজেলার নাসনি, সন্তোষপুর ও চন্দ্রপুর গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ লাঠিসোঁটা নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এতে প্রায় ৮৮টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত গ্রামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও র‌্যাবের মহাপরিচালক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat