×
ব্রেকিং নিউজ :
রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের স্মার্ট কার্ড প্রদানের সুপারিশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয় স্থায়ী কমিটি এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল দিতে সরকার নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসছে : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডেপুটি স্পিকারের সঙ্গে চীনের প্রাদেশিক কংগ্রেসের ভাইস চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পেলে নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হবে : মেয়র তাপস বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে মরিশাসের প্রতি আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা কক্সবাজারে ভোটার তালিকায় থাকা রোহিঙ্গাদের তালিকা চেয়ে হাইকোর্ট আদেশ মন্ত্রী-এমপি’র স্বজনরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের
  • প্রকাশিত : ২০২১-০৩-২৯
  • ৫৬৬ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর রাজধানীর মাদানি এভিনিউর ফুডকোর্ট শেফস টেবিলের ৩৬টি রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে বড় আকারে ভ্যাট ফাঁকির তথ্য উদঘাটন করেছে।
অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মুনাওয়ার মুরসালীনের নেতৃত্বে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ২২ মার্চ শেফস টেবিলে অভিযানটি পরিচালনা করেন।
শেফস টেবিল ইউনাইটেড গ্রুপের আয়োজনে একটি ফুডকোর্ট। এটি ইউনাইটেড সিটি, মাদানি এভিনিউ, সাতারকুল, বাড্ডায় অবস্থিত। রাজধানীর ভোজন-রসিকদের একটি প্রিয় খাবারের সমাহার। এই ফুডকোর্টে বিভিন্ন ব্রান্ডের ৩৬টি খাবারের দোকান রয়েছে। এটি উদ্বোধন করা হয় ২০১৯ এর ডিসেম্বর মাসে।
অভিযানের সূত্রে অনুসন্ধানে দেখা যায়, শুরু থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত ১৩ মাসে মোট ১৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকার বিক্রির তথ্য গোপন করা হয়েছে। করোনার কারণে ফুডকোর্ট এপ্রিল ২০২০ থেকে জুন ২০২০ তিন মাস বন্ধ ছিল।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ওই ১১ মাসে ৩৬টি রেস্টুরেন্টে প্রকৃত বিক্রয় ছিল ২৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা এবং ভ্যাটযোগ্য মূল্য ছিল ২০ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এই ৩৬ টি রেস্টুরেন্ট পৃথকভাবে ভ্যাট রিটার্নে প্রদর্শন করেছে ২ কোটি ৮৩ লাখ টাকার বিক্রয়। তাদের অপ্রদর্শিত সেলসের পরিমাণ ১৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
এসব রেস্টুরেন্টের গোপনকৃত বিক্রয়ের উপর ভ্যাট ফাঁকি হয়েছে ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এসব রেস্টুরেন্টগুলোতে খাবার বিক্রির সময়ে ক্রেতাদের নিকট থেকে ভ্যাট আদায় করা হয়। কিন্তু জনগণের নিকট থেকে আদায়কৃত ভ্যাট সরকারী কোষাগারে জমা দেয়া হয়নি।
অভিযানে গোয়েন্দা দল ইউনাইটেড গ্রুপের শেফস টেবিলের কম্পিউটারের তথ্য ও অন্যান্য বাণিজ্যিক দলিলাদি জব্দ করে আনে। শেফস টেবিল প্রতিটি রেস্টুরেন্ট থেকে ১৮ শতাংশ রেভিনিউ শেয়ারিং করে। এই তথ্যাদি ও রেস্টুরেন্টের রিটার্ন যাচাই করে এই হিসাব বের করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানভিত্তিক তালিকা এই সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী, দেখা যায় বেশি ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে আফগান গ্রিল ২৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা, দরবার ক্যাটারিং ১৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, টরকা এক্সপ্রেস ২৪ কোটি ৬০ লাখ, পান্জাব কিচেন ১৪ কোটি ৪ লাখ টাকা, থাই এমারেল্ড ১৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, এবসলিউট থাই ১২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, সিলান্ট্রো ১২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, পিৎজা গাই ১২ কোটি ১৯ লাখ টাকা, আলফ্রেসকো -১১ লাখ টাকা।
ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে প্রত্যেকটি রেস্টুরেন্টকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা দায়ের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat